Get on Google Play

বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ক আলোচনা
#3627
বাচ্য: বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ ভঙ্গিকে বলা হয় বাচ্য।
বাচ্য প্রধানত তিন প্রকার।
১.কর্তৃবাচ্য
২.কর্ম বাচ্য
৩.ভাব বাচ্য
কর্তৃবাচ্য: যে বাক্যে কর্তার অর্থের প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বাক্য বলে।
কর্তৃবাচ্যে ক্রিয়াপদ সর্বদাই কর্তার অনুসারী হয়।
কর্তৃবচ্যে ক্রিয়া সকর্মক ও অকর্মক দুইই হতে পারে।
কর্তৃবাচ্যে কর্তায় প্রথম বা শূণ্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া বা ষ্ষ্ঠী বিভক্তি হয়।
যথা: শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
কর্মবাচ্য: যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সমন্ধ প্রধার ভাবে প্রকাশিত হয় তাকে কর্মবাচ্য বলে।
কর্মবাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মের অনুসারী হয়।
কর্মবাচ্য কেবল সকর্মক ক্রিয়া হইতে গঠিত হয়।
কর্মবাচ্যে কর্মে প্রথমা, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি দ্বারা, কর্তৃক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
যথা: আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয়।
কখনো কখনো কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তিও হতে পারে। যথা: আসামিকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভাববাচ্য: যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাব বাচ্য বলে।
ভাববাচ্য ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়।
ভাববাচ্য কেবল অকর্মক ক্রিয়া হইতে গঠিত হয়।
ভাববাচ্যে কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়। যথা:
আমার খাওয়া হল না। (নাম পুরুষের ক্রিয়া)
তোমার দ্বারা এ কাজ হবেনা । (নাম পুরুষের ক্রিয়া)
আমাকে ভাত দেয়া হয় নি। (নাম পুরুষের ক্রিয়া)
কর্মকর্তৃবাচ্য: যে বাক্যে কর্ম পদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
যেমন:
সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।
তোমাকে রোগা দেখায়।
ফুলটি ফুটল।
বাঁশি বাজে।
কাজটা ভাল দেখায় না।
আকাশে মেঘ করিয়াছে।
চাঁদ দেখা যাচ্ছে।
’যদু বাঁশি বাজায়’ বলিলে কর্তৃবাচ্যের বাক্য হয়। আর, বাঁশি আপনি বাজিলে ইহা কর্ম-কর্তৃবাচ্যের বাক্য হয়। এইরূপ বাক্যের সংখ্যা বাংলায় খুব বেশি নহে। সাধারণত, প্রাকৃতিক ঘটনামূলক ক্রিয়ায় এই বাচ্যের প্রয়োগ দেখা যায়।

    সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী[…]

    সর্বশেষ সরকারী বিধি মোতাবেক রাজাফৈর উচ্চ বিদ্যালয[…]

    পুনঃআবশ্যক: কিরাটন ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ডাকঘর[…]

    সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের নিম্নে বর্ণিত শূন[…]