Page 1 of 1

ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর ইতিহাস

Posted: Mon Dec 17, 2018 3:09 am
by shohag
🗽ঢাকা:

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারন করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপঃ ক) একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) ছিল; খ) রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এখানে ঢাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল; গ) ‘ঢাকাভাষা’ নামে একটি প্রাকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল; ঘ) রাজতরঙ্গিণী-তে ঢাক্কা শব্দটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাকই হলো ঢাকা।

কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্দির রূপ ধারণ করে এবং তা থেকেই এই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉বাকরখানি
👉বিরিয়ানি

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
⛲ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
👉লালবাগ কেল্লা
👉আহসান মঞ্জিল
👉ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
👉জগন্নাথ হল
👉জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
👉শাঁখারিবাজার
👉হোসেনী দালান
👉ছোট কাটরা
👉বড় কাটরা
👉কার্জন হল
👉ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন)
👉ঢাকেশ্বরী মন্দির
👉তারা মসজিদ
👉মীর জুমলা গেট
👉পরীবিবির মাজার
⛲পার্ক, বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
👉HQ পার্ক
👉বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় 👉সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান
👉বোটানিক্যাল গার্ডেন
👉ঢাকা শিশু পার্ক
👉বুড়িগঙ্গা নদী
👉ঢাকা চিড়িয়াখানা
👉বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর
👉মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর
👉বলধা গার্ডেন
⛲স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ
👉জাতীয় শহীদ মিনার
👉শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ (রায়ের বাজার) 👉অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
👉জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভাস্কর্য আসাদ গেইট
⛲আধুনিক স্থাপত্যঃ
👉জাতীয় সংসদ ভবন
👉বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন
👉ভাসানী নভো থিয়েটার
👉বসুন্ধরা সিটি
👉যমুনা ফিউচার পার্ক
👉মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার
👉হাতিরঝিল
👉শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

🎀বিখ্যাত বস্তুঃ
👉বেনারসী শাড়ি

🗽গাজীপুর:

বিলু কবীরের লেখা 'বাংলাদেশের জেলা : নামকরণের ইতিহাস' বই থেকে জানা যায়, মহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে জনৈক মুসলিম কুস্তিগির গাজী এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বহুদিন সাফল্যের সঙ্গে এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। এ কুস্তিগির/পাহলোয়ান গাজীর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর বলে লোকশ্রুতি রয়েছে। আরেকটি জনশ্রুতি এ রকম সম্রাট আকবরের সময় চবি্বশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম 'প্রধান'। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত 'গাজী' পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। গাজীপুর নামের আগে এ অঞ্চলের নাম ছিল জয়দেবপুর। এ জয়দেবপুর নামটি কেন হলো, কতদিন থাকল, কখন, কেন সেটা আর থাকল না_ সেটিও প্রাসঙ্গিক ও জ্ঞাতব্য। ভাওয়ালের জমিদার ছিলেন জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী। বসবাস করার জন্য এ জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী পীরাবাড়ি গ্রামে একটি গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। গ্রামটি ছিল চিলাই নদীর দক্ষিণ পাড়ে। এ সময় ওই জমিদার নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে এ অঞ্চলটির নাম রাখেন 'জয়দেবপুর' এবং এ নামই বহাল ছিল মহকুমা হওয়ার আগ পর্যন্ত। যখন জয়দেবপুরকে মহকুমায় উন্নত করা হয়, তখনই এর নাম পাল্টে জয়দেবপুর রাখা হয়। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে 'জয়দেবপুর' বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো 'জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন'। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉কাঁঠাল
👉পেয়ারা

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉ভাওয়াল রাজবাড়ী
👉ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান (National Park)
👉আনসার একাডেমী, সফিপুর
👉নুহাশ পল্লী
👉জাগ্রত চৌরঙ্গী
👉বলিয়াদী জমিদার বাড়ী
👉নাগবাড়ী, চান্দনা, চৌরাস্তা
👉নাগরী, পাঞ্জুরা চার্চ
👉রাংগামাটিয়া, তুমিলিয়া, কালীগঞ্জ
👉বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
👉মন পুড়া পার্ক, কাশিমপুর,গাজীপুর
👉নাগরী টেলেন্টিনুর সাধু নিকোলাসের গীর্জা

🗽নারায়ণগঞ্জ:

১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে( বেণু ঠাকুর বা লক্ষীনায়ায়ণ ঠাকুর) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করে। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉রসমালাই

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉পানাম নগর, সোনারগাঁও
👉(অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল
👉সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১)
👉বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১)
👉গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯)
👉সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক 👉গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
👉হাজীগঞ্জের দূর্গ
👉সোনাকান্দা দুর্গ
👉কাঁচপুর ব্রিজ
👉কদমরসুল দরগাহ
👉বন্দর শাহী মসজিদ
👉লোকশিল্প জাদুঘর
👉বিবি মরিয়মের সমাধি
👉লাঙ্গলবন্দ মন্দির (পূন্যস্নানের জন্য হিন্দু ধর্মালম্বীদের র্তীথস্থান)
👉মেরি এন্ডারসন (পর্যটনের ভাসমান রেস্তোরা)
👉জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা
👉এডভ্যানচার ল্যান্ড

🗽নরসিংদী:

কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি নরসিংহ নামক একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্যক্ষ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেনঅ তাঁরই নামানুসারে নরসিংদী নামটি আবির্ভূত হয়। নরসিংহ নামের সাথে 'দী' যুক্ত হয়ে নরসিংদী হয়েছে। নরসিংহদী শব্দের পরিবর্তিত রূপই "নরসিংদী"।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉সাগর কলা

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉উয়ারী-বটেশ্বর - বেলাব উপজেলার অমলাব ইউনিয়ন
👉ড্রিম হলিডে পার্ক - চৈতাব
👉বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর - রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রাম
👉সোনাইমুড়ি টেক - শিবপুর উপজেলা
👉আশ্রাবপুর মসজিদ - শিবপুর উপজেলার আশ্রবপুর
👉বেলাব বাজার জামে মসজিদ - বেলাব উপজেলা সদর
👉শাহ ইরানি মাজার - বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়ন
👉দেওয়ান শরীফ মসজিদ - পলাশ উপজেলা
👉ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্তুভিটা - পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ল বুড়ারহাট গ্রাম

👕বিখ্যাত বস্তুঃ
👉লুঙ্গি

🗽মুন্সিগঞ্জ:

মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মোঘল শাসনামলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসক দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। কারো কারো মতে জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জে নামকরণ করা হয়।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉ভাগ্যকুলের মিষ্টি
👉কলা

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান
👉রাজা শ্রীনাথের বাড়ি
👉রামপালে বাবা আদমের মসজিদ
👉হাসারার দরগা
👉সোনারং জোড়া মন্দির
👉পদ্মার চর
👉ইদ্রাকপুর কেল্লা
👉রাজা বল্লাল সেন ও হরিশচন্দ্রের দীঘি
👉শ্যামসিদ্ধির মঠ
👉শুলপুরের গির্জা
👉মেঘনা ভিলেজ টুরিস্ট গার্ডেন

🗽মানিকগঞ্জ:

মূরত সংস্কৃত 'মানিক্য' শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পদ্মরাগ। গঞ্জ শব্দটি ফরাসী। মানিকগঞ্জের নামের ঋৎপত্তি ইতিহাস আজও রহস্যবৃত। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে সুফি দরবেশ মানিক শাহ সিংগাইর উপজেলার মানিকনগরে আসেন এবং খানকা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।কারও মতে দূর্ধর্ষ পাঠান সর্দার মানিক ঢালীর নামানুসারে মানিকগঞ্জ নামের উৎপত্তি। আবার কারো মতে, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাবাস ঘাতক মানিক চাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার নমানুসারে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ হয়। মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত উল্লেখ্য তিনটি পৃথক স্থানীয় জনশ্রুতি এবং অনুমান নির্ভর। এর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি, তবে মানিক শাহের নামানুসারে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত জনশ্রুতি এবং ঘটনা প্রবাহ থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তাই সঠিক বলে ধরা হয়।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
খেজুর গুড়

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা ঘাট এই এলাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। যমুনা সেতুর আগে এই ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হতো। বেউথা ঘাট কালিগঙ্গা নদীর তীর।
👉বালিয়াটি প্রাসাদ, সাটুরিয়াঃ মানিকগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির ইতিহাসে বালিয়াটির জমিদারদের অবদান উল্লেখ যোগ্য। বালিয়াটির জমিদারেরা উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে আরম্ভ করে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বছর বহুকীর্তি রেখে গেছেন যা জেলার পুরাকীর্তিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
👉তেওতা জমিদার বাড়ী , শিবালয়ঃ মানিকগঞ্জ উপজেলাধীন শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদার বাড়িটি বাবু হেমশংকর রায় চৌধুরী, বাবু জয় শংকর রায় চৌধুরী পিং দুই সহোদর ভ্রাতার নিজ বসতবাড়ী ছিল। তেওতা অবস্থান করে তারা জমিদারি পরিচালনা করতেন।

🗽টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তাঁর মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে।

টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’ শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’ শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে। টাঙ্গাইলের নামকরণ নিয়ে আরো বিভিন্নজনে বিভিন্ন সময়ে নানা মত প্রকাশ করেছেন। কারো কারো মতে, বৃটিশ শাসনামলে মোগল প্রশাসন কেন্দ্র আটিয়াকে আশ্রয় করে যখন এই অঞ্চল জম-জমাট হয়ে উঠে। সে সময়ে ঘোড়ার গাড়িছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন, যাকে বর্তমান টাঙ্গাইলের স্থানীয় লোকেরা বলত ‘টাঙ্গা’। বর্তমান শতকের মাঝামাঝি পর্যন্তও এ অঞ্চলের টাঙ্গা গাড়ির চলাচল স্থল পথে সর্বত্র। আল শব্দটির কথা এ প্রসঙ্গে চলে আসে। বর্তমান টাঙ্গাইল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের নামের সাথে এই আল শব্দটির যোগ লক্ষ্য করা যায়। আল শব্দটির অর্থ সম্ভবত সীমা নির্দেশক যার স্থানীয় উচ্চারণ আইল। একটি স্থানকে যে সীমানা দিয়ে বাঁধা হয় তাকেই আইল বলা হয়। টাঙ্গাওয়ালাদের বাসস্থানের সীমানাকে ‘টাঙ্গা+আইল’ এভাবে যোগ করে হয়েছে ‘টাঙ্গাইল’ এমতটি অনেকে পোষণ করেন। আইল শব্দটি কৃষিজমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই শব্দটি আঞ্চলিক ভাবে বহুল ব্যবহৃত শব্দ। টাঙ্গাইলের ভূ-প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক ভাবে এর ভূমি উঁচু এবং ঢালু। স্থানীয়ভাবে যার সমার্থক শব্দ হলো টান। তাই এই ভূমিরূপের কারণেই এ অঞ্চলকে হয়তো পূর্বে ‘টান আইল’ বলা হতো। যা পরিবর্তীত হয়ে টাঙ্গাইল হয়েছে।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉চমচম

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉ফালুচাঁদ চীশতি-এর মাজার - সখিপুর উপজেলা
👉আতিয়া মসজিদ
👉মধুপুর জাতীয় উদ্যান
👉যমুনা বহুমুখী সেতু
👉আদম কাশ্মিরী-এর মাজার
👉মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার
👉পরীর দালান
👉খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার
👉ঝরোকা
👉সাগরদীঘি
👉গুপ্তবৃন্ধাবন
👉পাকুটিয়া আশ্রম
👉ভারতেশ্বরী হোমস
👉মহেড়া জমিদারবাড়ি/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার
👉মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
👉পাকুল্লা মসজিদ
👉আরুহা-শালিনাপাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ
👉নাগরপুর জমিদারবাড়ি
👉পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল
👉উপেন্দ্র সরোব
👉গয়হাটার মঠ
👉তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
👉পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি
👉এলেঙ্গা রিসোর্ট
👉যমুনা রিসোর্ট
👉কাদিমহামজানি মসজিদ
👉ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি
👉করটিয়া সা’দত কলেজ
👉কুমুদিনী সরকারি কলেজ
👉বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়
👉দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস
👉পীরগাছা রাবারবাগান
👉ভূঞাপুরের নীলকুঠি
👉শিয়ালকোল বন্দর
👉ধনবাড়ী মসজিদ ও ধনবাড়ী নবাব প্যালেস
👉নথখোলা স্মৃতিসৌধ
👉বাসুলিয়া
👉রায়বাড়ী
👉কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ
👉মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
👚বিখ্যাত বস্তুঃ
👉টাঙ্গাইল শাড়ি

🗽কিশোরগঞ্জ:

১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার জন্ম হয়। মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন মিঃ বকসেল। বর্তমান কিশোরগঞ্জ তৎকালীন জোয়ার হোসেনপুর পরগনার অন্তর্ভক্ত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকেও কিশোরগঞ্জ এলাকা 'কাটখালী' নামে পরিচিত ছিল। ইতিহাসবিদদের ধারণা ও জনশ্রুতি মতে এ জেলার জমিদার ব্রজকিশোর মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামানিকের 'কিশোর' এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের 'গঞ্জ' যোগ করে কিশোরগঞ্জ নামকরণ করা হয়।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉বালিশ মিষ্টি

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
👉গুরুদয়াল কলেজ
👉চন্দ্রাবতীর বাড়ী (নীলগঞ্জ)
👉ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী জঙ্গলবাড়ী 👉এগারোসিন্দুর

🗽শরীয়তপুর:

বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে শরীয়তপুরের নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলা শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাসিম।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉বিবিখানা পিঠা

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉সুরেশ্বর দরবার শরীফ - নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর
👉বুড়ির হাট মসজিদ - ডামুড্যা উপজেলার বুড়ির হাট
👉বুড়ির হাট মুন্সী বাড়ী - ডামুড্যা উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন
👉লাকার্তা শিকদার বাড়ি - ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়ন
👉পন্ডিতসার
👉রুদ্রকর মঠ - সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন
👉মগর
👉শিবলিঙ্গ - নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন
👉মহিষারের দীঘি - দক্ষিণ বিক্রমপুর
👉রাজনগর
👉কুরাশি
👉হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি - গোসাইরহাট উপজেলা
👉রাম সাধুর আশ্রম - নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন
👉মানসিংহের বাড়ী - নড়িয়া উপজেলায় ফতেজংগপুর
👉ধানুকার মনসা বাড়ি

🗽মাদারীপুর:

মাদারীপুর জেলা একটি ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ মাদার (র) এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের নাম ছিল ইদিলপুর। ১৯৮৪ সালে মাদারীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉গুড়

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉পর্বতের বাগান-মস্তফাপুর
👉প্রণবানন্দের মন্দির- বাজিতপুর
👉গণেশ পাগলের মন্দির- কদমবাড়ী
👉রাজারাম রায়ের বাড়ি- খালিয়া
👉সেনাপতির দিঘি
👉সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি- মাইজপাড়া 👉নারায়ণ মন্দির-পািনছত্র
👉মাদারিপুর শকুনী দিঘি
👉শাহ মাদার (রঃ) দরগাহ শরীফ

👑বিখ্যাত বস্তুঃ
👉চর মুগুরিয়ার বানর

🗽গোপালগঞ্জ:

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। অতীতের রাজগঞ্জ বাজার আজকের জেলা শহর গোপালগঞ্জ। আজ থেকে প্রায় শতাব্দীকাল পূর্বে শহর বলতে যা বুঝায় তার কিছুই এখানে ছিলোনা। এর পরিচিতি ছিলো শুধু একটি ছোট্ট বাজার হিসেবে। এঅঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমণির এলাকাধীন ছিলো। উল্লেখ্য রানী রাসমণি একজন জেলের মেয়ে ছিলেন। সিপাই মিউটিনির সময় তিনি একজন উচ্চ পদস্থ ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার হিসাবে বৃটিশ সরকার রাসমণিরকে মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদারী প্রদার করেন এবং তাঁকে রানী উপাধিতে ভূষিত করেন। রানী রাসমণির এক নাতির নাম ছিলো নব-গোপাল তিনি তাঁর স্নেহাস্পদ নাতির নাম এবং পুরানো ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নাতিন নামের ‘গোপাল’ অংশটি প্রথমে রেখে তার সাথে রাজগঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে এ জাযগাটির নতুর নামকরণ করেন গোপালগঞ্জ। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার মহকুমা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টি হয়।

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স
👉চন্দ্রা ভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ)
👉কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী
👉কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী
👉হরিণাহাটির জমিদার বাড়ী
👉দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ী
👉বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত)
👉সেন্ট মথুরানাথের সমাধি
👉উজানীর জমিদার বাড়ী
👉শ্রীধাম ওড়াকান্দি
👉জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি
👉ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ
👉ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈত্রিক বাড়ী
👉ধর্মরায়ের বাড়ি
👉দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি
👉মধুমতি নদী
👉বিলরুট ক্যানেল
👉হেরন কান্দির আমগাছ
👉আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি
👉শুকদেবের আশ্রম
👉খানার পাড় দীঘি
👉উলপুর জমিদারবাড়ি
👉৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ)
👉রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের 👉আমলের তাম্রলিপি
👉সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)

🗽ফরিদপুর:

ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফী সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉খেজুরের গুড়

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
👉সুইচ গেট
👉ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)
👉রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)
👉পদ্মা বাধ
👉পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন।
👉পদ্মা নদীর বালুচর,সি এন্ড বি ঘাট
👉শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন (hindu temple)
👉নন্দালয় (hindu temple)
👉শেখ রাসেল শিশু পার্ক (amusement park)

👑বিখ্যাত বস্তুঃ
👉মাছের মেলা

🗽রাজবাড়ী:

রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়। রাজা সূর্য্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এস আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সূর্য্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৮৪ সালে ১মার্চ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

🌽বিখ্যাত খাবারঃ
👉শংকরের ক্ষীরের চমচম
👉খেজুরের গুড়

🌉বিখ্যাত স্থানঃ
👉রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন - ১৮৭৮ সালে বাণিবহের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও তার ভাই অভয় শংকর মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন; যা ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর এই স্থাপনাকে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে
👉শাহ পাহলোয়ানের মাজার
👉দাদ্শী মাজার শরীফ - রাজবাড়ী শহর থেকে ১ কিঃমিঃ পূর্বে
👉জামাই পাগলের মাজার - রাজবাড়ী শহরের ৬ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে আহলাদিপুর মোড়
👉নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির - বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া গ্রাম
👉সমাধিনগর মঠ - বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন
👉রথখোলা সানমঞ্চ - বেলগাছি
👉নীলকুঠি
👉মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র - পদমদী
👉দৌলতদিয়া ঘাট
👉চাঁদ সওদাগরের ঢিবি
👉কল্যাণদিঘি
👉গোয়ালন্দ ঘাট

সংগৃহিতঃ- Mohammad Shams