Page 1 of 1

বাড়িয়ে তুলুন নিজের কর্মদক্ষতা - পর্ব ০১

Posted: Sat Apr 30, 2022 1:47 pm
by raihan
এখন সময়টাই প্রচন্ড ব্যস্ত। প্রতি মুহুর্তে বেড়ে চলেছে মানুষের কাজের পরিধি, কাজের গতি। পৃথিবীর ঘূর্ণনের হয়তো বাড়ে নি, কিন্তু মানুষের কাজের গতি বেড়ে গেছে বহুগুণে। মানুষ এখন শুধুই ছুটছে। এই ছুটে চলাটা পুরোটাই শুধু সময়ের পিছনেই। সময়কে ধরার জন্যই মানুষের এই নিরন্তর চেষ্ট। আমরা এখন অনেক কম সময়েই অনকে বেশি কাজ করতে চাই। এই চাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই ‘সময় ব্যবস্থাপনা’ কথাটির জন্ম। কিছু ক্ষেত্রে এই সময় ব্যবস্থাপনাই একজন মানুষের কর্মদক্ষতা হিসেবে গন্য করা হয়। এই সময় ব্যবস্থাপনা কিংবা সব কাজ অসম্ভব দ্রুতগতিতে শেষ করতে চাওয়ার মানসিকতা হয়তো একদিক দিয়ে ভালো। কিন্তু আমাদের হয়তো মাথায়ই আসে না, দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের জন্য ক্ষতি কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

নদীর স্রোতের একটি স্বাভাবিক গতি থাকে। এই গতিতেই নদী অবিরাম বয়ে চলে একভাবে। কোনভাবে এই গতি যদি বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তা নদীর পাড় এর ভাঙ্গনের কারণ হিসেবে দেখা দিবে। মানুষের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য। কোন কাজ দ্রুত থেকে দ্রুত, তা থেকে আরো দ্রুত করতে গেলে একসময় মানুষের শরীর সেই চাপ আর নিতে পারে না। তা তখন সহ্যক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়। ক্রমান্বয়ে মানুষ হয়ে পরে বিষন্ন।

তাহলে আর কীভঅবে আমরা নিজেদের আরো বেশি কর্মক্ষম রাখতে পারি? কঠিন এই প্রতিযোগিতার যুগে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারি? কঠিন কিছুই না, শুধু এই কাজগুলো করতে হবে?
  • অগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাছাই করুনঃ আপনি সারাদিনে যত কাজ করেন, তার সবই কি গুরুত্বপূর্ণ ? আপনার জীবনের জন্য জরুরি? অবশ্যই না। যে কাজগুলো আপনার জন্য আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। এবং আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকা থেকে সেগুলো ছেটে ফেলুন। আপনি কিছুটা অবসর পাবেন। আপনার কর্ম দক্ষতাও বেড়ে যাবে।
  • কাজের পরম্পরা বুঝুনঃ আপনার হয়তো একদিন অনেক রকম কাজই থাকতে পারে। সব কাজই কি সমান গুরুত্বপূর্ণ? নিশ্চয়ই না। কোন কাজ সবার আগে শেষ করতে হবে অথবা কোন কাজটা সব কাজের পরে শুরু করলেও হবে, দিনের শুরুতেই সেটা বাছাই করে নিন। আপনারই সুবিধা হবে।
  • নিজেকে পুরষ্কৃত করুনঃ আপনি অনেক কঠিন একটা কাজে ব্যস্ত আছেন। হতে পারে আপনার অফিসের কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রিইং, অথবা কোন জটিল হিসেবের মারপ্যাচ। নিজেকেই নিজেই মনে মনে বলুন, “বাছাধন, এই কাজটা শেষ করতে পারলেই তুমি ‘পিজ্জা ইন’ এ একটা ফোর সিজন পিজ্জা খাচ্ছো।” দেখবেন, চোখের পলকে আপনার কাজের গতি আসবে। কাজের শেষে নিজেকে নিজেই ট্রিট দিন না! ভালো লাগবে।