Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#7401
অন্যদিকে, এই ১০ লাখ টাকা দিয়ে আপনি একটি বিস্কিট, পাউরুটি আর নাস্তা তৈরির বেকারী দিলেন। যেহেতু বেকারী দিলেন। যেহেতু ব্যবসায়ের আকার ছোট; তাই ৪ জন দক্ষ কর্মী নিয়ে পণ্যগুলো আশে পাশের দোকানগুলোতে সরবরাহ করতে লাগলেন। পণ্য গুণ ভালো হওয়ায় দ্রুত আপনার পণ্যের চাহিদা বাড়তে লাগলো। ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা এবং তিন বছরের মাথায় সারাদেশে আপনার ব্যবসা ছড়িয়ে গেল। অন্যদিকে ১০ লাখ টাকার মুদি ব্যবসাটি এখন মাত্র ১২ লাখ টাকার মুদি ব্যবসা পরিণত হয়ে আগের জায়গাতেই সীমাবদ্ধ আছে।

মূলধন কম হোক আর বেশি হোক সেটা কোন সমস্যা নয়। পচন্ড ইচ্ছাশক্তি, শ্রম আর ধৈর্য নিয়ে সত্যিই অনেক দুরে যাওয়া যায়।

মনে রাখবেন জিনিস যেটা ভালো সেটার দাম একটু বেশি। এই কথা অবশ্য আমি এক ঢেউটিনের বিজ্ঞাপনে শুনেছিলাম। সে যাইহোক, কথা কিন্তু সত্য। আপনার জীবন দ্রুত বদলে যাবে অথচ আপনাকে কোন পরিশ্রম করতে হবে না। কিংবা ক্ষতির কোন সম্ভাবনা থাকবে না, এটা তো হতে পারে না। ব্যবসার জগতের “No risk no gain” এই প্রবাদটি আপনাকে মানতেই হবে। আপনি যত বেশি ঝুঁকি নিবেন, আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা তত বেশি হবে।

উদ্যোক্তারা পরিবর্তনে বিশ্বাস করে। পরিবর্তন ভয় পেলে কখনো উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। উদ্যোক্তারা পরিবর্তনে বিশ্বাস করে বলেই দেখুন না পৃথিবীটা কেমন বদলে গেছে। উদ্যোক্তাদের কল্যাণে আমরা পেয়েছি পরিবহণ, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, বিনোদন সহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন। উদ্যোক্তারা পরিবর্তন না চাইলে কিংবা পরিবর্তনে বিশ্বাস না করলে আজকেও আমরা সে আদিম যুগে পড়ে থাকতাম। উদ্যোক্তারা অন্যের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের জীবনেও পরিবর্তন নিয়ে আসে। উদ্যোক্তারা নিজের চেষ্টা, পরিশ্রম আর ধৈর্যের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নিজেই রচনা করেন। কারণ আল্লাহ তাদেরকেই সাহায্য করেন যারা নিজেদেরকে সাহায্য করে।

বর্তমান বাংলাদেশে ২৮ লাখ শিক্ষিত বেকার; যাদের অধিকাংশ চাকরির পেছনে ছুটছে কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। চাকরিটা পাবে কোথায়? নতুন চাকরি তো কেউ তৈরি করছে না। সবাই চাকরি খুঁজছে। সরকার একা কতজনের চাকরির ব্যবস্থা করবে? সরকারের ও তো সীমাবদ্ধতা আছে। আমি, আপনি সবাই যদি চাকরির পেছনে ছুটি, তাহলে চাকরি তৈরি করবে কে? কাউকে না কাউকে তো উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি তৈরি করতে হবে।

বৃটিশরা এদেশের চাকরি নামক এক ভয়াবহ দাসত্বের বীজ বুনে গিয়েছিলো। যেখানে নিরাপত্তা ও সম্মানটাই আমাদের কাছে ছিলো মুখ্য। আমরা শিক্ষিত হয়ে বড় বড় আধুনি দাসে পরিণত হচ্ছি। অথচ একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে চাকরি তৈরি করা সম্ভব। শুধু লাগবে স্বপ্ন, পরিশ্রম আর পরিবর্তন গ্রহণ করার মানসিকতা।

মনে রাখবেন সফলতার কোন শর্টকাট নেই। সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় যেমন ১ম ধাপ থেকে এক লাফে ১০ ধাপে যাওয়া যায় না। সফলতার ক্ষেত্রেও আপনাকে তেমনি প্রতিটি ধঅপ ক্রমে ক্রমে অতিক্রম করতে হবে; যে কারণে সময়, শ্রম, মেধা ও ধৈর্য প্রয়োজন। বিলগেটস কিন্তু একদিনে বিলগেটস হয়নি। ওয়ারেন বাফেটকে আজকের ওয়ারেন বাফেট হতে অনেক সময় দিতে হয়েছে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    991 Views
    by sajib
    0 Replies 
    1302 Views
    by rajib
    0 Replies 
    685 Views
    by kajol
    0 Replies 
    381 Views
    by tasnima
    0 Replies 
    403 Views
    by mousumi

    বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য কোম্পানি 'বায়ো-ট্রেড[…]

    ঢাকার সন্নিকটে ঐত্যিবাহী মালখানগর কলেজ, মালখানগর, […]

    বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদ[…]