Page 1 of 1

সুইস ব্যাংক কোনো ব্যাংক নয়

Posted: Sat Oct 02, 2021 8:52 am
by raja
সুইস ব্যাংক বলতে আসলে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নেই। যেখানে মানুষ টাকা রাখবে বা ব্যাংকিং করবে। সুইস ব্যাংক মানে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটা সিস্টেম। স্বাভাবিকভাবেই ‘সুইস’ শব্দটি এসেছে ‘সুইজারল্যান্ড’ থেকে। সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ব্যাংকিং নিটওয়ার্ককে নির্দেশ করা হয়। এই ব্যাংকিং প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে। তখন ছয়টি ব্যাংক মিলে সুইচ ব্যাংক করপোরেশন নাম চালু করে সুইস ব্যাংক। ১৯৯৮ সালে এই ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন আর সুইস এই ব্যাংক নামে আলাদা করে কোনো ব্যাংক না থাকলেও Swiss Financial Market Supervisory Authority (FINMA)- এর অধীনে সুইজারল্যান্ডের সব ব্যাংকই সুইস ব্যাংক নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড গোটা দুনিয়ার ব্যাংকিং সেবার বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তাদের নিজস্ব ব্যাংকিং রীতিনীতির করণে। ১৯৩৪ সালে প্রথম সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার আইন করে। এই আইনের অধীনে গ্রাহকের টাকা – পয়সা এমনকি গ্রাহকের পরিচয়ও গোপন রাখা হয়। অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় প্রকাশে বাধ্য। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের প্রতি সম্মান রেখে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক বছর ধরে সে দেশে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করছে।

বিশ্বের প্রথম লেখক
খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০০ শতাব্দীর দিকে সম্পাদিত ব্যাবিলনীয় লেখক সিন-লেকি-উন্নিনির (Sin-leqi-unninni) ’এপিক অব গিলগামেশ’-কেই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্যকর্ম বলে ধরা হয়। সেই কারণে পুরুষ সিন-লেকি-উন্নিনিকেই বিশ্বের প্রথম লেখক বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, বিশ্বের প্রথম লেখক হলেন একজন নারী। তার নাম এনহেদুয়ান্না। তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ২৩০০ শতাব্দীর মেসোপটেমিয়ার আক্কাদ সাম্রাজ্যের সম্রাট সারগনের মেয়ে। সে হিসাবে উন্নিনির প্রায় এক হাজার বছর আগেই এনহেদুয়ান্নার লেখক বা কবি পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি প্রার্থনা সংগীত ও কবিতা লেখার জন্য পরিচিতি পান। তার কাজের মধ্যে রয়েছে- প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি ও ইবিহ পর্বত নিয়ে ৪২টি স্তবগান।