Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#4226
উচ্চতর বায়ুমন্ডল
ট্রাপোমন্ডলের উপরের বায়ুমন্ডলকে সাধারণত স্ট্রাটোমন্ডল, মোসোমন্ডল ও তাপমন্ডলের ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি স্তরের ভিন্ন ভিন্ন ল্যাপস রেট থাকে, যা দ্বারা উচ্চতা পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিবর্তন নির্দেশ করে। এরপর থেকে এক্সোমন্ডল হালকা হতে হতে চৌম্বকমন্ডলে মিলিয়ে যায় যেখানে ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রসমূহ সৌরবায়ুর সাথে মিথস্ক্রিয়া করে থাকে। স্ট্রাটোমন্ডলের মধ্যে রয়েছে ওজন স্তর, এটা হলো সেই উপাদান যা ভূ-পৃষ্ঠকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত হতে প্রকৃত পক্ষে রক্ষা করে এবং তাই পৃথিবী প্রানী জগতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্মান রেখা, টিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে, এটি পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে ১০০ কিমি উপরে থাকে, এবং এটা হল পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এবং মহাকাশের মধ্যে কার্যকর সীমা রেখা।
তাপশক্তির কারণে বায়ুমন্ডলের বাইরের প্রান্তে থাকা কিছু অনুর ভেতর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং এক পর্যায়ে এগুলো পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তিকে ছিন্ন করে মহাকাশে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার ফলে ধীরে কিন্তু নিয়মিতভাবে বায়ুমন্ডল মহাকাশে হারিয়ে যায়। যেহেতু মুক্ত হাইড্রোজেনের আণবিক ভর সবচাইতে কম এটা অতি দ্রুত নির্দ্ধিধায় অর্জন করতে পারে এবং এটির অন্যান্য গ্যাসের তুলনায় অধিক হারে বাইরের মহাকাশে বহির্গমন ঘটে। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনের পেছনে মহাকাশে হাইড্রোজেন গ্যাসের হারিয়ে যাওয়া একটি অন্যতম কারন এবং এটা প্রাথমিকভাবে ঘটে একটি জারণ বিক্রিয়া থেকে এটির বর্তমান বিজারণ ক্রিয়ায় আসায়। সালোকসংশ্লেষণের ফলে অক্সিজেনের সৃষ্টি হয় কিন্তু ধারণা করা হয় জারণের ফলে নির্গত উপাদান যেমন হাইড্রোজেন হল বায়ুমন্ডলে ব্যাপক হারে অক্সিজেনের সঞ্চয়নের পেছনে মূল পূর্বশর্ত। অতেএব, হাইড্রোজেনের বায়ুমন্ডল থেকে মুক্ত হওয়ার ঘটনা হয়তোবা পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে তার গতি-প্রকৃতির উপর প্রভাব রেখেছে। বর্তমানে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ুমন্ডলের বেশিরভাগ হাইড্রোজেন পরিণত হয় পানিতে, এটি বায়ুমন্ডল থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবার আগেই। এটির বদলে, হারিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয় উচ্চতর বায়ুমন্ডলে পুড়ানো মিথেনের ফলশ্রুতিতে।

অভিকর্ষজ ক্ষেত্র
পৃথিবীর অভিকর্ষজ বল হল সেই ত্বরণ যা পৃথিবীর সাথে কোন একটি বস্তুর উপর ক্রিয়া করে বস্তুটির ভরের কারণে। ভূ-পৃষ্ঠের উপর, অভিকর্ষক ত্বরণ হল প্রায় ৯.৮ মি/সে²। কোন স্থানের ভূসংস্থান, ভূতত্ত্ব এবং গভীর ভূত্বকীয় গঠনের পার্থক্যের কারণে স্থানীয় ও বৃহৎ অঞ্চলের পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মানের পরিবর্তন হয়ে থাকে, যাকে বলা হয়ে থাকে মাধ্যাকর্ষীয় ব্যত্যয়।

চৌম্বক ক্ষেত্র
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মূল অংশটি উৎপন্ন হয় এবং ভূ-কেন্দ্রে, ডায়নামো, ডায়নামো প্রক্রিয়ায়, তাপীয় ভাবে ও গাঠনিক ভাবে উৎপন্ন গতিশক্তির পরিবর্তন ঘটে পরিচলন পদ্ধতিতে পরিবাহিত হয় তড়িৎ শক্তি ও চৌম্বক শক্তিতে। চৌম্বক ক্ষেত্রটি ভূ-কেন্দ্রে থেকে পৃথিবীর বাইরের দিকে ছড়িয়ে যায়, গুরুমন্ডল ভেদ করে, পৃথিবীর পৃষ্ঠ পর্যন্ত, যেখানে এটা মোটামুটি একটি ডাইপোল। ডাইপোলের মেরুগুলোর অবস্থান পৃথিবীর ভৌগোলিক মেরুর কাছাকাছি। ভূ-েকেন্দ্র হকে পরিচলন পদ্ধতিতে প্রবাহিত চৌম্বক শক্তি সুশৃঙ্খল ভাবে চারিদেকে ছড়ায় না। চৌম্বকীয় মেরুর স্থান পরিবর্তন হয় এবং পর্যায়ক্রমে এটির অ্যালাইনমেন্টের পরিবর্তন ঘটে। সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ে ঘটা বিপর্যটি হয়েছিল প্রায় ৭০০,০০০ বছর আগে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    451 Views
    by tamim
    0 Replies 
    365 Views
    by raja
    0 Replies 
    310 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    836 Views
    by kajol
    0 Replies 
    773 Views
    by raihan

    সংগীত বিভাগের ০২ (দুই) টি স্থায়ী প্রভাষক-এর শূন্য[…]

    KEY RESPONSIBILITIES 1) To share product informa[…]

    বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর বরিশাল ব্যুরোর জন্য স্টাফ রিপ[…]

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক নিম্নবর্ণিত পদস[…]