Page 1 of 1

বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা: পার্ট-০১

Posted: Thu Oct 15, 2020 12:44 pm
by lipi
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা মেসোপটেমিয়া। আনুমানিক খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৫০০০ অব্দে ইরাকে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর উর্বর তীরাঞ্চলে মোসোপটেমীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটে। ‘মেসোপটেমিয়া একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, ও ক্যালডীয় সভ্যতা।
সুমেরীয় সভ্যতা
মেসোপটেমিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে তুলেছিল সুমেরীয়রা। তাদের আয়ের মূল উৎস ছিল কৃষি। তারা উন্নত সেচব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সুমেরীয়রা কিউনিফর্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্বাবন করে। জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকার আবিষ্কার সুমেরীয়দের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সভ্যতায় সুমেরীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান ‘চাকা’ আবিষ্কার।
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
সিরিয়ার মরুভূমি অঞ্চলের আমোরাইট জাতি মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে একটি নগরসভ্যতা গড়ে তোলে। ব্যবীলনীয় সভ্যতার স্থপতি ছিলেন বিক্যাত আমোরাইট নেতা হাম্মুরাবি। পৃথিবীতে প্রথম লিখিত আইনের প্রচলন হয় ব্যাবিলনে। প্রথম লিখিত আইন প্রণেতা ব্যাবিলনীয় সভ্যতার স্থপতি হাম্মুরাবি। পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় ব্যবিলনে।
আসিরীয় সভ্যতা
ইতিহাসের আসিরিয়ার পরিচয় সামরিক রাষ্ট্র হিসেবে। আসিরীয়রা প্রথম বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করে। পৃথিবীকে সর্বপ্রথম তারা অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশে ভাগ করেছিল।
ক্যালডীয় সভ্যতা
ক্যালডীয় সভ্যতা ইতিহাসে নতুন ব্যাবিলনীয় সভ্যতা নামেও পরিচিত। ক্যালডীয় সভ্যতার স্থপতি ছিলেন সম্রাট নেবুচাদনেজার। ব্যাবিলনের শূণ্য উদ্যান নির্মানের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। ক্যালডিয়রাই প্রথম সপ্তাহকে ৭ দিনে বিভক্ত করে। আবার প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘন্টায় ভাগ করার পদ্ধতি তারা বের করে।

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা
মিশরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে । নীল নদকে কেন্দ্র করে মিশরের এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস মিশরকে বলেছেন ‘নীল নদের দান’। মিশর কতকগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। এগুলোকে বলা হতো ‘নোম’ । ‘মেম্ফিস’ নামের এক রাজা সমগ্র মিশরকে একত্রিত করে একটি নগররাষ্ট্রে গড়ে তোলেন। ফারাও ইখনাটন সভ্যতার ইতিহাসে সর্বপ্রথম এক ঈশ্বরের ধারনা দেন। প্রাচীন মিশরের রাজা বলা হতো ফারাও। ফারাও রাজাদের মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয় পিরামিড। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন পিরামিড। মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিড হচ্ছে ফারাও খুফুর পিরামিড। মিশরীয় ভাস্করদের সবচেয়ে বড় গৌরব ‘স্ফিংস’ তৈরিতে। স্ফিংসের দেহ সিংহের আকৃতির আর মাথা ছিল ফারাওয়ের। ফারাওদের আভিজাত্যের প্রতীক ছিল এ মূর্তি। ১৯৯২ সালে তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কার করা হয়। প্যাপিরাস নামক এক ধরনের নল গাছের বাকল দিয়ে সাদা রঙের কাগজ তৈরি করত তারা। শিশরীয়রা সর্বপ্রথম ১২ মাসে ১ বছর, ৩০ দিনে ১ মাস এই গণনা রীতি চালু করেন। যেহেতু ফারাও মৃত্যুর পর পরকালে রাজা হবেন, তাই তার মৃতদেহকে পচন থেকে রক্ষার জন্য মিশরীয় বিজ্ঞানীরা মমি তৈরি করতে শেখেন।