- Thu Sep 17, 2020 6:58 pm#3348
কর্মধারয় সমাস
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস পরপদের অর্থই প্রধানরুপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। কর্মধারয় সমাস সাধারনত যে, যিনি, যেটি ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যে ব্যবহৃত হয় । যথা:
নীল যে আকাশ=নীলাকাশ
যে চালাক সেই চতুর=চালাক-চতুর
সুন্দরী যে লতা=সুন্দরলতা
মহৎ যে জ্ঞান=মহাজ্ঞান
মহতী যে কীর্তি=মহাকীর্তি
কু যে অর্থ=কদর্থ
নীল যে অম্বর=নীলাম্বর
যিনি জজ তিনিই সাহেব=জজ সাহেব
আগে ধোয়া পড়ে মোছা্=ধোয়া মোছা
মহান যে নবী=মহানবী
মহান যে রাজা=মহারাজ
কু যে আচার=কদাচার
প্রকারভেদ: কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকার:
ক.মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
খ.উপমান কর্মধারয়
গ.উপমিত কর্মধারয়
ঘ.রূপক কর্মধারয়
ক.মধ্যপদলোপী কর্মধারয়: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে । যথা:
সিংহ চিহিৃত আসন=সিংহাসন
হাসিমাখা মুখ=হাসিমুখ
পল মিশ্রিত অন্ন=পলান্ন
প্রীতি উপলক্ষে ভোজ=প্রীতি ভোজ
গোবরে নির্মিত গণেশ=গোবর গণেশ
সাহিত্য বিষয়ক সভা=সাহিত্য সভা
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ=স্মৃতিসৌধ
মৌ-সঞ্চয়কারী মাছি=মৌমাছি
বৌ পরিবেশ করা ভাত=বৌভাত
একের অধিক দশ=একাদশ
উপমেয় -উপমান: উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু। প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ্য বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয় , পরোক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমান। উপমান ও উপমেয়ের একটি সাধারণ গুণ থাকবে। যেমন-
ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ=ভ্রমরকৃষ্ণ কেশ
উপমান=ভ্রমর
উপমেয়=কেশ
সাধারণ গুণ=কৃষ্ণাত্ব
খ.উপমান কর্মধারয়: সাধারণ গুণবাচক পদের সাথে উপমান বাচক পদের যে সমাস হয় তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যথা:
তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষারশুভ্র (এখানে, উপমান-তুষার, সাধারণ গুণ-শুভ্র)
অরুণের ন্যায় রাঙা=অরুনরাঙা
বুকের ন্যায় ধার্মিক = বকধার্মিক
ঘনের ন্যায় শ্যাম = ঘনশ্যাম
মিশের ন্যায় কালো = মিশকালো
গ.উপমিত কর্মধারয়: উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এক্ষেত্রে সাধারণ গুণের উল্লেখ থাকে না, তা অনুমান করে নেওয়া হয় । যথা: মুখ চন্দ্রের ন্যায়=মুখচন্দ্র। এখানে, উপমান-চন্দ্র, উপমেয়-মুখ, সাধারণ গুণ উল্লেখ নেই। তাদের মধ্যে সাধারণ গুণ সহজেই অনুমেয়- তা হলো সৌন্দর্য।
পুরুষ সিংহের ন্যায়=পুরুষসিংহ
কথা আমৃতের ন্যায়=কথামৃত
চরণ কমলের ন্যায়=চরণ কমল
অধর পল্লবের ন্যায়=অধরপল্লব
ঘ. রূপক কর্মধারয়: উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে , রূপক কর্মধারয় হয়।
ক্রোধ রূপ অনল=ক্রোধানল
মন রূপ মাঝি=মনমাঝি
জীবন রূপ প্রদীপ=জীবন প্রদীপ
ভব রূপ নদী=ভব নদী
চাঁদ রূপ মুখ=চাঁদমুখ
বিষাদ রূপ সিন্ধু=বিষাদসিন্ধু
বিদ্যা রূপ ধন=বিদ্যাধন
পরাণ রূপ পাখি=পরানপাখি
হৃদয় রূপ মন্দির = হৃদয়মন্দির
ফুল রূপ কুমারী = ফুলকুমারী
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস পরপদের অর্থই প্রধানরুপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। কর্মধারয় সমাস সাধারনত যে, যিনি, যেটি ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যে ব্যবহৃত হয় । যথা:
নীল যে আকাশ=নীলাকাশ
যে চালাক সেই চতুর=চালাক-চতুর
সুন্দরী যে লতা=সুন্দরলতা
মহৎ যে জ্ঞান=মহাজ্ঞান
মহতী যে কীর্তি=মহাকীর্তি
কু যে অর্থ=কদর্থ
নীল যে অম্বর=নীলাম্বর
যিনি জজ তিনিই সাহেব=জজ সাহেব
আগে ধোয়া পড়ে মোছা্=ধোয়া মোছা
মহান যে নবী=মহানবী
মহান যে রাজা=মহারাজ
কু যে আচার=কদাচার
প্রকারভেদ: কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকার:
ক.মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
খ.উপমান কর্মধারয়
গ.উপমিত কর্মধারয়
ঘ.রূপক কর্মধারয়
ক.মধ্যপদলোপী কর্মধারয়: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে । যথা:
সিংহ চিহিৃত আসন=সিংহাসন
হাসিমাখা মুখ=হাসিমুখ
পল মিশ্রিত অন্ন=পলান্ন
প্রীতি উপলক্ষে ভোজ=প্রীতি ভোজ
গোবরে নির্মিত গণেশ=গোবর গণেশ
সাহিত্য বিষয়ক সভা=সাহিত্য সভা
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ=স্মৃতিসৌধ
মৌ-সঞ্চয়কারী মাছি=মৌমাছি
বৌ পরিবেশ করা ভাত=বৌভাত
একের অধিক দশ=একাদশ
উপমেয় -উপমান: উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু। প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ্য বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয় , পরোক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমান। উপমান ও উপমেয়ের একটি সাধারণ গুণ থাকবে। যেমন-
ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ=ভ্রমরকৃষ্ণ কেশ
উপমান=ভ্রমর
উপমেয়=কেশ
সাধারণ গুণ=কৃষ্ণাত্ব
খ.উপমান কর্মধারয়: সাধারণ গুণবাচক পদের সাথে উপমান বাচক পদের যে সমাস হয় তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যথা:
তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষারশুভ্র (এখানে, উপমান-তুষার, সাধারণ গুণ-শুভ্র)
অরুণের ন্যায় রাঙা=অরুনরাঙা
বুকের ন্যায় ধার্মিক = বকধার্মিক
ঘনের ন্যায় শ্যাম = ঘনশ্যাম
মিশের ন্যায় কালো = মিশকালো
গ.উপমিত কর্মধারয়: উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এক্ষেত্রে সাধারণ গুণের উল্লেখ থাকে না, তা অনুমান করে নেওয়া হয় । যথা: মুখ চন্দ্রের ন্যায়=মুখচন্দ্র। এখানে, উপমান-চন্দ্র, উপমেয়-মুখ, সাধারণ গুণ উল্লেখ নেই। তাদের মধ্যে সাধারণ গুণ সহজেই অনুমেয়- তা হলো সৌন্দর্য।
পুরুষ সিংহের ন্যায়=পুরুষসিংহ
কথা আমৃতের ন্যায়=কথামৃত
চরণ কমলের ন্যায়=চরণ কমল
অধর পল্লবের ন্যায়=অধরপল্লব
ঘ. রূপক কর্মধারয়: উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে , রূপক কর্মধারয় হয়।
ক্রোধ রূপ অনল=ক্রোধানল
মন রূপ মাঝি=মনমাঝি
জীবন রূপ প্রদীপ=জীবন প্রদীপ
ভব রূপ নদী=ভব নদী
চাঁদ রূপ মুখ=চাঁদমুখ
বিষাদ রূপ সিন্ধু=বিষাদসিন্ধু
বিদ্যা রূপ ধন=বিদ্যাধন
পরাণ রূপ পাখি=পরানপাখি
হৃদয় রূপ মন্দির = হৃদয়মন্দির
ফুল রূপ কুমারী = ফুলকুমারী