Page 1 of 1

মহাকাশে আইনস্টাইনের ‘ভূতুড়ে কান্ড’

Posted: Mon Aug 31, 2020 11:50 am
by romen
মঙ্গল গ্রহে বরফের হ্রদ!
মঙ্গল গ্রহে বরফের বিশাল হ্রদ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA), যা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে গ্রহটিতে একটি বরফের হ্রদ। ESA’র মার্স এক্সপ্রেস মিশন ছবিটি তুলেছে। ৮২ কিমি প্রস্থ ও ১.৮ কিমি গভীর হ্রদ আসলে নন-পোলার বরফের বিরাট আধার। ESA জানায়, মঙ্গল গ্রহে স্থায়ী জলাধারের অস্তিত্ব এটাই প্রথম।

মহাকাশে আইনস্টাইনের ‘ভূতুড়ে কান্ড’
আইনস্টাইন যাকে ’ভূতুড়ে কান্ড’ বলেছিলেন, মহাকাশে এবার তাই ঘটিয়েছে চীন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে ১,১২০ কিমি দূরের দুটি কেন্দ্রে বার্তা চালাচালি করেন দেশটির বিজ্ঞানীরা , যা এর আগে আর সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানীরা বলেন, এটি যুগান্তকারী ঘটনা। ঐ বার্তা পৃথিবীর ঐ দুটি জায়গায় বসে থাকা দুটি মানুষ ছাড়া তৃতীয় কারও পক্ষে কখনও জানা সম্ভব হবে না। এমনকি এটি আগামী দিনে অত্যন্ত শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমেও গোপনে জানা সম্ভব হবে না। ৫০০ কিমি উপরে পৃথিবীর একটি কক্ষপথে থাকা ‘মিকিয়াস’ নামে কৃ্ত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এ পরীক্ষা চালানো হয়। ঐ কৃত্রিম উপগ্রহের ভেতরে পদার্থের একটি বিশেষ অবস্থা তৈরি করা হয়। এর নাম ‘কোয়ান্টাম অ্যানট্যাঙ্গলমেন্ট’। আইনস্টাইন একে বলতেন ‘ভূতুড়ে কান্ড’। চীনের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক জিয়ান-গুয়েই পান ও তার সহযোগীদের এ গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশ পায়।

ব্ল্যাক হোল থেকেও বের হয় আলো
ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহবর মহাবিশ্বের এমন একটি জিনিস, যার ভেতর থেকে কোনো কিছুই বের হতে দেয় না । এমনকি আলোর মতো তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণও বের হতে পারে না। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, ব্ল্যাক হোল থেকেও নাকি আলো বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছে। ২১ মে ২০১৯ সেটি নাসার নজরে আসে। নাসা জানায় , এ আলোর ঝিলিক দেখা যায় একে অন্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে কাছে এসে পড়া দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে খুব জোরে সংঘর্ষের কারণে। ঐ ধাক্কাধাক্কিতে তুলনায় ছোটখাটো দুটি ব্ল্যাক হোল (সূর্যের চেয়ে একটু বেশি ভারী) মিলেমিশে একটি বড় ব্ল্যাক হোল তৈরি করে। আলোর ঝিলিকটা বেরিয়ে আসতে দেখা যায় নতুন সৃষ্ট বড় ব্ল্যাক হোলটি থেকে। নাসা জানায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর কাছে পালোমার অবজারভেটরিতে বসানো ‘জুইকি ট্রনসিয়েন্ট ফেসিলিটি (ZTF) টেলিস্কোপেই ধরা পড়ে এ বিরল দৃশ্য। গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল Physical Review letters-এ।