Get on Google Play

বাংলা সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা
#2344
নাটকঃ সুখদুঃখযুক্ত মানুষের যে স্বাভাবিক আঙ্গিকাদি অভিনয়ের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তার নাম নাটক। নাটকের রস উপলব্ধির বিষয়টি জড়িত বলে, তাকে বলা হয় দৃশ্যকাব্য।
নাটকের শ্রেণী বিভাগঃ
১। বিষয়বস্তুর দিক থেকে নাটককে প্রধানত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
যথাঃ পৌরাণিক নাটক, ঐতিহাসিক নাটক ও সামাজিক নাটক।
২। রসের দিক থেকে নাটককে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ নাটক ও প্রহসন।
৩। অভিনয়ের দিক থেকে দুই ভাগে নাটক বিভক্ত। যথাঃ নাটক ও যাত্রা।
৪। আকারের দিক থেকে নাটককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ নাটক ও নাটিকা বা একাঙ্কিকা।
৫। ইংরেজি আদর্শের প্রেক্ষিতে নাটককে রসের দিক থেকে পাঁচভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ ট্র্যাজেডি, কমেডি, মেলোড্রামা, ট্র্যাজি-কমেডি ও ফার্স।
৬। ভাবের দিক থেকে নাটককে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ ক্লাসিক্যাল, নিও-ক্লাসিক্যাল ও রোমান্টিক।
নিও-ক্লাসিক্যাল নাটককে আবার কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ রসপ্রধান, ভাবপ্রধান ও উদ্দেশ্যপ্রধান।
রসপ্রধান – ট্র্যাজেডি, কমেডি, মেলোড্রামা, ট্র্যাজি-কমেডি ও ফার্স।
ভাবপ্রধান – ক্লাসিক, রোমান্টিক ও বাস্তব।
রূপপ্রধান – গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য।
উদ্দেশ্যপ্রধান – সমস্যামূলক, রূপক ও চরিত।

বাংলা নাটকের উৎপত্তি
১। ১৭৫৩ সালে ইংরেজরা কলকাতার লালবাজারে ‘প্লে হাউস’ নামে প্রথম রঙ্গমঞ্চ স্থাপন করেন।
২। বাংলা নাটকের প্রথম অভিনয় হয় ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে। হেরাসিম লেবেডফ নামে একজন রুশদেশীয় আগন্তুক কলকাতায় ‘বেঙ্গল হিয়েটার’ নামে একটি রঙ্গালয় স্থাপন করেন। তিনি ‘The Disguis’ এবং ‘Love is the best Doctor’ নামে দুটি নাটক বাংলায় ভাষান্তরিত করে এদেশীয় নায়ক-নায়িকা দ্বারা অভিনয় করান। ‘The Disguis’ এবং ‘Love is the vest Doctor’ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম নাটক (অনুবাদ নাটক)।
৩। ভদ্রার্জুন: বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে তারাচরণ শিকদার এটি রচনা করেন। এটি একটি কমেডি।
৪। কীর্তিবিলাস: বাংলা ভাষার প্রথম বিয়োগান্তক বা ট্র্যাজেডী নাটক। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে যোগেন্দ্র চন্দ্র গুপ্ত এটি রচনা করেন।
৫। শর্মিষ্ঠা: প্রথম সার্থক বাংলা নাটক। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি রচনা করেন।
৬। পদ্মাবতী: প্রথম সার্থক বাংলা কমেডি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি রচনা করেন।
৭। কৃষ্ণকুমারী: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক বিয়োগান্তক বা ট্র্যাজেডী নাটক। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি রচনা করেন।
ট্র্যাজেডি, কমেডি এবং ফার্সের মূল পার্থক্য হচ্ছে – জীবানুভূতির গভীরতায়।
নাটক ও প্রহসনের পার্থক্য হচ্ছে – ব্যঙ্গ বিদ্রুপে।

বিখ্যাত নাটক
রামনারায়ণ তর্করত্ন – কুলীনকুলসর্বস্ব: কৌলিন্য প্রথা অবলম্বনে রচিত সামাজিক নাটক।
বেণীসংহার, নবনাটক, যেমন কর্ম তেমন ফল (প্রহসন), উভয়সঙ্কট (প্রহসন)।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ – প্রফুল্ল: প্রথম নাটক-বিয়োগাত্নক ধরনের।
জনা, হারানিধি, বিল্বমঙ্গল ও সিরাজদ্দৌলা।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি. এল. রায়) – সাজাহান: ঐতিহাসিক নাটক। সম্রাট সাজাহানের কাহিনী নিয়ে রচিত প্রথম নাটক।
নূরজাহান: ঐতিহাসিক নাটক।
মেবারপতন: ঐতিহাসিক নাটক।
কল্কির অবতার (প্রহসন): সামাজিক নাটক।
তারাবাঈ।
নূরুল মোমেন – রূপান্তর, নয়া খানদান ও নেমেসিস।
নেমেসিস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সুযোগে গড়ে উঠা বিত্তশালী জনৈক লোকের মনোজগতের দ্বিধা-সংশয়-দ্বন্দ্বের চিত্র। নাটকটি সমকালীন দুর্ভিক্ষ (পঞ্চাশের মন্বন্তর) ও নিরন্নদের হাহাকারের বাস্তবচিত্র।
মামুনুর রশীদ – ওরা কদম আলী, ইবলিস।
ইব্রাহিম খলিল – স্পেন বিজয়ী মুসা।
বিজন ভট্টাচার্য – নবান্ন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন – সেনাপতি, সুবচন নির্বাসনে।
ক্ষিরোদপ্রসাদ – আলিবাব, আহেরিয়া।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর – পুরুবিক্রম , কিঞ্চিত জলযোগ (প্রহসন) ও মৃচ্ছকটিক।
মৃচ্ছকটিক অনুবাদ নাটক। মূল নাটকটির রচয়িতা শুদ্রক।
তুলশী লাহিড়ী – পথিক, ছেড়াতার।
সিকান্দার আবু জাফর – সিরাজদ্দৌলা।
আব্দুল হক – অদ্বিতীয়া।
আনিস চৌধুরী - মানচিত্র।
জিয়া হায়দার – এলেবেলে।
অমৃতলাল বসু – প্রহসন: ডিসমিস, বিবাহবিভ্রাট, সম্মতি সংকট, ব্যাপিয়া বিদায়।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1122 Views
    by sajib
    0 Replies 
    780 Views
    by kajol
    0 Replies 
    444 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    193 Views
    by shanta
    0 Replies 
    642 Views
    by afsara

    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক […]

    প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শতভাগ পাশ ও ৭০% জিপিএ-৫ প্রাপ্তি[…]

    আবশ্যক: জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী[…]

    আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়, পোষ্ট: চাঁদপুর, উপজেলা: সালথা[…]