Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#7416
এখন সময়টাই প্রচন্ড ব্যস্ত । প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে মানুষের কাজের পরিধি , কাজের গতি । পৃথিবীর ঘূর্ণনের গুত হয়তো বাড়ে নি , কিন্তু মানুষের কাজের গতি বেড়ে গেছে বহুগুণ । মানুষ এখন শুধুই ছুটছে । এই ছুটে চলাটা পুরোটাই শুধু সময়ের পিছনেই । সময়কে ধরার জন্যই মানুষের এই নিরন্তর চেষ্টা । আরা এখন অনেক কম সময়েই অনেক বেশি কাজ করতে চাই । এই চাওয়াটা অস্বাভাবিক নয় । এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই ‘সময় ব্যবস্থাপনা’ কথাটির জন্ম । কিছু ক্ষেত্রে এই সময় ব্যবস্থাপনাই একজন মানুষের কর্মদক্ষতা হিসেবে গন্য করা হয় । এই সময় ব্যবস্থাপনা কিংবা সব কাজ অসম্ভব দ্রুতগতিতে শেষ করতে চাওয়ার মানসিকতা হয়তে একদিক দিয়ে ভালো । কিন্তু আমাদের হয়তো মাথায়ই আসে না , দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে ।
নদীর স্রোতের একটি স্বাভাবিক গতি থাকে । এই গতিতেই নদী অবিরাম বয়ে চলে একভাবে । কোনভাবে এই গতে যদি বাড়িয়ে দেওয়া হয় , তাহলে তা নদীর পাড় এর ভাঙনের কারণ হিসেবে দেখা দিবে । মানুষের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য । কোন কাজ দ্রুত থেকে দ্রুত , তা থেকে আরো দ্রুত করতে গেলে একসময় মানুষের শরীর সেই চাপ আর নিতে পারে না । তা তখন সহ্যক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায় । ক্রমান্বয়ে মানুষ হয়ে পরে বিষণ্ন ।
তাহলে আর কীভাবে আমরা নিজেদের আরো বেশি কর্মক্ষম রাখতে পারি ? কঠিন এই প্রতিযোগিতার যুগে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারি ? কঠিন কিছুই না , শুধু এই কাজগুলো করতে হবে :
-অগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাছাই করুন : আপনি সারাদিনে যত কাজ করেন , তার সবই কি গুরুত্বপূর্ণ ? আপনার জীবনের জন্য জরুরি ? অবশ্যই না । যে কাজগুলো আপনার জন্য আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয় , সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন । এবং আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকা থেকে সেগুলো ছেঁটে ফেলুন । আপনি কিছুটা অবসর পাবেন । আপনার কর্মদক্ষতাও বেড়ে যাবে ।

-কাজের পরস্পরা বুঝুন : আপনার হয়তো একদিন অনেক রকম কাজই থাকতে পারে । সব কাজই কি সমান গুরুত্বপূর্ণ ? অথবা একই সময়ে শেষ করতে হবে ? নিশ্চয়ই না । কোন কাজ সবার আগে শেষ করতে হবে অথবা কোন কাজটা সব কাজের পরে শুরু করলেও হবে , দিনের শুরুতেই সেটা বাছাই করে নিন । আপনারই সুবিধা হবে ।

-নিজেকে পুরস্কৃত করুন : আপনি অনেক কঠিন একটা কাজে ব্যস্ত আছেন । হতে পারে আপনার অফিসের কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং , অথবা কোন জটিল হিসাবের মারপ্যাঁচ । নিজেকে নিজেই মনে মনে বলুন , ‘’বাছাধন , এই কাজটা শেষ করতে পারলেই তুমি ’পিজ্জা ইন’ এ একটা ফোর সিজন পিজ্জা খাচ্ছো । “ দেখবেন , চোখের পলকে আপনার কাজে গতি আসবে । কাজের শেষে নিজেকে নিজেই ট্রিট দিন না ! ভালো লাগবে ।
-নেতিবাচক চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন : আপনার চিন্তাভাবনা হতে হবে ইতিবাচক । সারক্ষণই মাথায় নেতিবাচক চিন্তা থাকলে তা ক্রমশই আপনার কর্মদক্ষতা কমিয়ে দিবে । আপনাকে পরিণত করবে অসার , অলস এক ব্যাক্তিতে । কাজেই , ইতিবাচক থাকুন ।
-নিজেকে নিজের অর্জনের জন্য ধন্যবাদ দিন : এক জীবনে মানুষ কি সবকিছু অর্জন করতে পারে ? পারে না । এটা সম্ভব ও না । এই কথা ভেবে অনেকেরই মন খারাপ হতে পারে । অমুকের এটা আছে । তমুকের সেটা আছে । আমার আপনার ভিতরেই এমন কিছু আছে , আপনিই এমন কিছু জীবনের অর্জন করেছেন যা তাদের নেই । হয়তো কারোরই তা নেই । নিজেকে ধন্যবাদ দিন । সামনে এগিয়ে যান ।
-নিজের সক্ষমতার উপর মনোনিবেশ করুন : কোন মানুষই সব কাজের কাজী হয় না । কেউ হয়তো ভালো গান গায় । কেউ হয়তোবা ভালো ছবি আাঁকে । কেউ অনেক মেধাবী , বিসিএস ক্যাডারে ফার্স্ট হয় । কেউবা আবার ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই ছক্কা মারে । ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয় । নিজের সক্ষমতা বুঝতে হবে সবার আগে । এটা অনেক বেশি জরুরি । কে কি বললো , কানে তোলৈাই যাবে না । জীবন আপনার , তাদের না ।
-ভুল থেকে মুক্ত থাকুন : কোন একটা কাজ করতে গেলে অনেক রকম ভুল – ত্রুটিই হতে পারে । এসব ভুল আপনার কাজের সময় এবং কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । ভুল হতেই পারে । কিন্তু এই ভুলের পরিমাণটা যতটুকু পারা যায় কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন ।
-একসাথে কাজ করুন : অনেক সময় দেখা যায় , অফিসের এক কোণে একা একা বসে কাজ করতে গেলে কর্মদক্ষতা কমে যায় । কাজ করতে ইচ্ছা করে না । কিছু কিছু কাজ আছে এমনই যে একা করার থেকে একসাথে কয়েকজন মিলে করলে কাজটা করতেও ভালো লাগে । তাই বলে আবার সব কাজ দলীয়ভাবে করতে যাবেন না যেন !
-চারপাশের পরিবেশ পরিবর্তন করুন : ধরা যাক , আপনার নিজস্ব একটা অফিসরুম আছে । অফিসে আপনার চেয়ারটা হয়তো এমন এক জায়গায় আপনি রেখেছেন , যেখানে বচসে একটানা কাজ করলে আপনার ক্লান্তি আসে। একঘেয়ে লাগে । আপনার চেয়ারটা রুমের জানালার পাশে নিয়ে যান । অথবা রুমের দেয়ালে লাগিয়ে দিন পাবলো পিকাসোর কোন বিখ্যাত ছবি । রুমের পরিবেশটাই বদলে যাবে । আপনার কাজের আগ্রহও বেড়ে যাবে বহুগুণ ।
-নিজেকে নিখুঁত ভাববেন না : কোন মানুষই নিখুঁত না । প্রত্যেকেরই কোন না কোন খুঁত আছেই । খুঁত থাকতে পারে কাজে । আপনি যদি সব কাজ নিখুঁতভাবে করতে চান , আপনি কোনদিনও তা পারবেন না । কিছুটা উনিশ-বিশ থেকেই যাবে । এ নিয়ে মন খারাপ করাটা বোকামি । আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সুন্দরভাবে কাজটা শেষ করুন ।
এই ১০টি কাজকে নিজের জীবনাচরনের সাথে যোগ করে নিন । সময় গেলো , সময় গেলো বলে হা-হুতাশ করা বাদ দিন। আপনার কর্মদক্ষতা বেড়ে যাবে বহুগুণ । আপনি সফল হবেনই ।

সংগৃহীত:-

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]