- Mon Sep 27, 2021 6:39 pm#7294
ল্যাবের দুজন পিএইচডি গবেষক ড. হুজ্জত উল্লাহ ও ড. মো. আল-আমীন ছিলেন বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তাঁদের পরামর্শ ও উৎসাহ আমাকে বেশ সাহস জুগিয়েছে। যেদিন ল্যাব থাকত না, সেদিন সারা দিন পড়তাম।
প্রস্তুতিতে আমার বিশেষ কৌশল ছিল, টপিক ধরে ধরে টানা পড়তাম। একটি বিষয়ের ওপর একধিক সহায়ক ও রেফারেন্স বই অনুসরণ করতাম। প্রথমে পরিকল্পনা করে নিতাম, কতটুকু সময়ে কতটুকু পড়া শেষ করব। তারপর সেই অনুযায়ী পড়তাম। নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম, বিশেষ করে অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক আর সম্পাদকীয় পাতা পড়তাম। একই খবর ইংরেজি পত্রিকা থেকে পড়ে নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ রপ্ত রাখতাম। সমসাময়িক বিষয়গুলোতে আপডেট থাকার চেষ্টাকরতাম।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় যেসব বিষয় ভালোভাবে লিখলে বেশি নম্বর আসে, সেগুলো আগে রপ্ত করতাম। যেসব টপিক পড়ে গেলেও কমন পড়ে না কিংবা ভালো নম্বর পাওয়া যায় না, সেগুলোর পেছনে সময় কম দিয়েছি। বিগত এক বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ফিচার ও উল্লেখযোগ্য সম্পদাকীয়গুলো কেটে একত্র করে নোট করেছিলাম, যা সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে নির্ভার ছিলাম, কারণ আমার সামনে আরও পথ খোলা ছিল। বিসিএসে না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা দেশের বাইরে গবেষণার সুযোগ ছিল। তাই চাপমুক্ত থেকে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা ভালো হয়েছিল । ফল প্রকাশের আগে থেকেই ভাইভার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। ভাইভা ভালো হয়েছিল, বোর্ডে আমাকে প্রায় ৩০ মিনিট রাখা হয়েছিল। পরীক্ষা শেষে নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল যে ক্যাডার পাব। তবে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হব ভাবিনি।
একটা কথা মনে পড়ছে, বিসিএস পরীক্ষার আগে আমাকে কেউ কেউ হতাশ করত, পররাষ্ট্র ক্যাডার পেতে সুদর্শন হতে হয়, প্রথম বিসিএসেই পররাষ্ট্র ক্যাডার পাওয়া যায় না, লিখিত পরীক্ষা ভালো দিয়েছ তো কী হয়েচে, প্রথমবারে কারোরই ফরেন ক্যাডার আসে না ইত্যাদি। তবে এক সিনিয়র ভাই আমাকে বলেছিলেন, ’যদি বিসিএস দিতে চাও এমনভাবে দাও, যাতে ফার্স্ট হতে পার’। যখন পররাষ্ট্রে প্রথম হই, তখন তিনি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমি ভাবিনি, তুমি সত্যি সত্যি প্রথম হবে।’
সংগৃহীত
প্রস্তুতিতে আমার বিশেষ কৌশল ছিল, টপিক ধরে ধরে টানা পড়তাম। একটি বিষয়ের ওপর একধিক সহায়ক ও রেফারেন্স বই অনুসরণ করতাম। প্রথমে পরিকল্পনা করে নিতাম, কতটুকু সময়ে কতটুকু পড়া শেষ করব। তারপর সেই অনুযায়ী পড়তাম। নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম, বিশেষ করে অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক আর সম্পাদকীয় পাতা পড়তাম। একই খবর ইংরেজি পত্রিকা থেকে পড়ে নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ রপ্ত রাখতাম। সমসাময়িক বিষয়গুলোতে আপডেট থাকার চেষ্টাকরতাম।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় যেসব বিষয় ভালোভাবে লিখলে বেশি নম্বর আসে, সেগুলো আগে রপ্ত করতাম। যেসব টপিক পড়ে গেলেও কমন পড়ে না কিংবা ভালো নম্বর পাওয়া যায় না, সেগুলোর পেছনে সময় কম দিয়েছি। বিগত এক বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ফিচার ও উল্লেখযোগ্য সম্পদাকীয়গুলো কেটে একত্র করে নোট করেছিলাম, যা সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে নির্ভার ছিলাম, কারণ আমার সামনে আরও পথ খোলা ছিল। বিসিএসে না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা দেশের বাইরে গবেষণার সুযোগ ছিল। তাই চাপমুক্ত থেকে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা ভালো হয়েছিল । ফল প্রকাশের আগে থেকেই ভাইভার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। ভাইভা ভালো হয়েছিল, বোর্ডে আমাকে প্রায় ৩০ মিনিট রাখা হয়েছিল। পরীক্ষা শেষে নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল যে ক্যাডার পাব। তবে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হব ভাবিনি।
একটা কথা মনে পড়ছে, বিসিএস পরীক্ষার আগে আমাকে কেউ কেউ হতাশ করত, পররাষ্ট্র ক্যাডার পেতে সুদর্শন হতে হয়, প্রথম বিসিএসেই পররাষ্ট্র ক্যাডার পাওয়া যায় না, লিখিত পরীক্ষা ভালো দিয়েছ তো কী হয়েচে, প্রথমবারে কারোরই ফরেন ক্যাডার আসে না ইত্যাদি। তবে এক সিনিয়র ভাই আমাকে বলেছিলেন, ’যদি বিসিএস দিতে চাও এমনভাবে দাও, যাতে ফার্স্ট হতে পার’। যখন পররাষ্ট্রে প্রথম হই, তখন তিনি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমি ভাবিনি, তুমি সত্যি সত্যি প্রথম হবে।’
সংগৃহীত