- Tue Nov 10, 2020 11:16 am#4206
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা কিছু বিন্যাস অনুসরণ করে বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত হয়। যখন বায়ুমন্ডলীয় পরিবেশ গরম, আদ্রর্তাযুক্ত বাতাসকে উপরের দিকে উঠার সুযোগ করে দেয়, তখন এই পানি ঘনীভূত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠের দিকে অধ:ক্ষিপ্ত ভাবে পতিত হয়। বেশির ভাগ পানি এরপর নিম্নবূমির দিকে ধাবিত হয় নদী নালার মাধ্যমে এবং সাগরে পুনরায় পৌছায় কিংবা এটি জমা হয় কোনো হ্রদে। ভূমিতে জীবণ ধারণের জন্য এই পানি চক্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং কোন একটি ভূত্বাত্ত্বিক সময়ের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠনের ভূমিক্ষয়ের জন্য এটি মূল কারণ। বৃষ্টিপাত পতনের বিন্যাস পরিবর্তিত হয় ব্যাপকভাবে, যার মাত্রা হতে পারে প্রতি বছর কয়েক মিটার থেকে এক মিলিমিটারের থেকেও কম। বায়ুপ্রবাহ, অবস্থানগত বৈশিষ্ঠ্য ও তাপমাত্রার পার্থক্য – নির্ধারণ করে কোন অঞ্চলে পতিত হওয়া গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমন্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলসরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ ড্রিগ্রী সেলসিয়াস। পৃথিবী পৃষ্ঠকে কিছু সুনির্দিষ্ট অক্ষরেখায় উপবিভাজন করা যায় যেখানে মোটামুটি একই রকম জলবায়ু বিরাজ করে। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চল পর্যন্ত বিরাজমান এই জলবায়ুগুলো হল ক্রান্তীয় জলবায়ু, উপক্রান্তীয় জলবায়ু, নাতীশীতোষ্ণ জলবায়ু এবং পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের জলবায়ু।
এই অক্ষাংশ নিয়মের কিছু ব্যতয় রয়েছে:
জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয় যদি কাছাকাছি কোথায় সমুদ্র থাকে। উদাহরণস্বরূপ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পেনিনসুলায় অনেক সহনীয় জলবায়ু এটির সমগোত্রীয় উত্তর অক্ষাংশ অবস্থিত উত্তর কানাডার তুলনায়।
বায়ু সহনীয় পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভূমির বায়ুবাহিত দিক এটির বায়ুপ্রবাহ বিহীন দিকের তুলনায় অনেক সহনীয় অবস্থা অনুভব করে। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে, বাতাস প্রবাহিত হয় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম তীর কোমল হয়ে থাকে পূর্ব তীরের তুলনায়। এটা দেখা যায় উত্তর আমেরিকার পূর্বাংশে এবং পশ্চিম ইউরোপে সমুদ্রের উবয় দিকে পাশাপাশি কোমল জলবায়ু থাকলেও অন্যদিকে বন্ধুর জলবায়ু দেখা যায় এটির পূর্ব তীরের দিকে। দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস প্রবাহিত হয় পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে এবং পূর্ব তীরের জলবায়ু কোমল হয়ে থাকে।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব পরিবর্তিত হয়। পৃথিবী সূর্যের সবচাইতে কাছে থাকে জানুয়ারি মাসে, যেটা দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং অনুসূরবিন্দুর তুলনায় সূর্য থেকে আসা সৌর বিকিরণের মাত্র ৯৩.৫৫% পতিত হয় ভূমির কোন নির্দিষ্ট বর্গ এলাকায়। এটা সত্ত্বেও উত্তর গোলার্ধে ভূমির আকার অনেক বড়, যা সমুদ্রের তুলনায় অনেক সহজে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুতরাং গ্রীষ্মকাল ২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ম হয়ে থাকে উত্তর গোলার্ধে, দক্ষিণ গোলার্ধের তুলনায় অনুরূপ পরিবেশ থাকা শর্তেও।
সমুদ্র সমতল থেকে অধিক উচ্চ ভূমির ক্ষেত্রে জলবায়ু অনেক ঠান্ডা থাকে কারণ সেখানে বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে।
বহুল ব্যবহৃত কোপ্পেন জলবায়ু শ্রেনীবিভাগ পাঁচটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত, যা পরবর্তীতে আরও বিভাজন করা হয় বিভিন্ন উপভোগে। কোপ্পান ব্যবস্থায় বিভিন্ন ভূ-অঞ্চলের মান প্রদান করে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের উপর পর্যবেক্ষণ করে।
পৃথিবী পৃষ্ঠে সৌর শক্তির পরিমাণ কমতে থাকে অক্ষাংশের মান বাড়তে থাকার সাথে সাথে। উচ্চ অক্ষাংশে সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় নিম্ন কোণে এবং এটিকে পার করতে হয় বায়ুমন্ডলের পুরু স্তর। ফলাফলসরূপ, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রতি ডিগ্রী অক্ষাংশ পরিবর্তনে সমুদ্র সমতল থেকে গড় বার্ষিক বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ০.৪ ড্রিগ্রী সেলসিয়াস। পৃথিবী পৃষ্ঠকে কিছু সুনির্দিষ্ট অক্ষরেখায় উপবিভাজন করা যায় যেখানে মোটামুটি একই রকম জলবায়ু বিরাজ করে। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চল পর্যন্ত বিরাজমান এই জলবায়ুগুলো হল ক্রান্তীয় জলবায়ু, উপক্রান্তীয় জলবায়ু, নাতীশীতোষ্ণ জলবায়ু এবং পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের জলবায়ু।
এই অক্ষাংশ নিয়মের কিছু ব্যতয় রয়েছে:
জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয় যদি কাছাকাছি কোথায় সমুদ্র থাকে। উদাহরণস্বরূপ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পেনিনসুলায় অনেক সহনীয় জলবায়ু এটির সমগোত্রীয় উত্তর অক্ষাংশ অবস্থিত উত্তর কানাডার তুলনায়।
বায়ু সহনীয় পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভূমির বায়ুবাহিত দিক এটির বায়ুপ্রবাহ বিহীন দিকের তুলনায় অনেক সহনীয় অবস্থা অনুভব করে। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে, বাতাস প্রবাহিত হয় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম তীর কোমল হয়ে থাকে পূর্ব তীরের তুলনায়। এটা দেখা যায় উত্তর আমেরিকার পূর্বাংশে এবং পশ্চিম ইউরোপে সমুদ্রের উবয় দিকে পাশাপাশি কোমল জলবায়ু থাকলেও অন্যদিকে বন্ধুর জলবায়ু দেখা যায় এটির পূর্ব তীরের দিকে। দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস প্রবাহিত হয় পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে এবং পূর্ব তীরের জলবায়ু কোমল হয়ে থাকে।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব পরিবর্তিত হয়। পৃথিবী সূর্যের সবচাইতে কাছে থাকে জানুয়ারি মাসে, যেটা দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং অনুসূরবিন্দুর তুলনায় সূর্য থেকে আসা সৌর বিকিরণের মাত্র ৯৩.৫৫% পতিত হয় ভূমির কোন নির্দিষ্ট বর্গ এলাকায়। এটা সত্ত্বেও উত্তর গোলার্ধে ভূমির আকার অনেক বড়, যা সমুদ্রের তুলনায় অনেক সহজে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুতরাং গ্রীষ্মকাল ২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ম হয়ে থাকে উত্তর গোলার্ধে, দক্ষিণ গোলার্ধের তুলনায় অনুরূপ পরিবেশ থাকা শর্তেও।
সমুদ্র সমতল থেকে অধিক উচ্চ ভূমির ক্ষেত্রে জলবায়ু অনেক ঠান্ডা থাকে কারণ সেখানে বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে।
বহুল ব্যবহৃত কোপ্পেন জলবায়ু শ্রেনীবিভাগ পাঁচটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত, যা পরবর্তীতে আরও বিভাজন করা হয় বিভিন্ন উপভোগে। কোপ্পান ব্যবস্থায় বিভিন্ন ভূ-অঞ্চলের মান প্রদান করে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের উপর পর্যবেক্ষণ করে।