Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#7250
মঙ্গলে উড়ল হেলিকপ্টার
মঙ্গলগ্রহে ভূমি থেকে উপরে ওড়ার সময় নিচের দৃশ্য দেখতে কেমন লাগে। সেই প্রশ্নের উত্তর হাতে-কলমে পৃথিবীতে পাঠাল মঙ্গলে পাঠানো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হেলিকপ্টার ‘ইনজেনুইটি’। ২২ এপ্রিল ২০২১ হেলিকপ্টারটির দ্বিতীয় ফ্লাইট চলাকালীন মঙ্গলের ভূমি থেকে ১৭ ফুট ওপর থেকে প্রথম রঙিন চিত্রটি ধারণ করে। ১৯ এপ্রিল ২০২১ প্রথমবার ওড়ার সময় এটি সাদাকালো ছবি সংগ্রহ করেছিল। মঙ্গলের বুকে হেলিকপ্টারের ওড়া-উড়ি ‘দারুণ ও রোমঞ্চকর’ এক অভিজ্ঞতা বলে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন।
নাসা জানায়, গ্রিনিচ সময় ১৯ এপ্রিল ২০২১ ভোররাত ৪টা ৩৪ মিনিটে প্রায় দুই কেজি ওজনের হেলিকপ্টারটি মঙ্গলের আকাশে ডানা মেলে। সৌরজগতের লাল গ্রহটির কম ঘনত্বের বাতাসে উড়োযানটি উড়তে পারবে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ছিল। তবে সে আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে মঙ্গলপৃষ্ঠের ১০ ফুট ওপর দিয়ে ৩৯.১ সেকেন্ড উড়ে বেড়ায় ‘ইনজেনুইটি’ নামের হেলিকপ্টারটি। ৩০ জুলাই ২০২০ পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় নাসার মঙ্গলযান পারসিভারেন্স। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পারসিভারেন্স সফলভাবে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করে। ইনজেনুইটির গবেষক দলের প্রধান প্রকৌশলী মিমি অং সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই মঙ্গলের বুকে রাইট সহোদরদের মুহূর্তের কথা বলছি। আজ সে মুহূর্ত উপস্থিত।’

এক দিনেই পানিশূন্য হয়নি মঙ্গল
সৌরজগতের লোহিত গ্রহ মঙ্গল এক সময় উষ্ণ ও ভেজা ছিল। জীবনধারনের উপযুক্ত পরিবেশও ছিল সেখানে। কিন্তু একটা সময় গ্রহটির বায়ুমণ্ডল পাতলা হতে থাকে, হারিয়ে যেতে থাকে পানি। এভাবে শত কোটি বছর পর মঙ্গল গ্রহ রুক্ষ, শীতল পরিবেশ পেয়েছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এসব ধারণার কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। ২৬ নভেম্বর ২০১১ নাসা মহাকাশযানে করে পৃথিবী থেকে কিউরিওসিটিকে উৎক্ষেপণ করে। পরের বছর অর্থাৎ ৬ আগস্ট ২০১২ মঙ্গলগ্রহের গেল ক্রেটারে অবতরণ করে মঙ্গলযানটি। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরে এই মঙ্গলযান গেল ক্রেটার থেকে তিন মাইল উঁচু মাউন্ট শার্পে উঠে আসে। গেল ক্রেটার মঙ্গলের বুকে বিশাল একটি খাদ। এ খাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেই কিউরিওসিটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। নাসার গবেষকরা বলছেন, মঙ্গল আসলে বেশ কয়েক দফায় আদ্র ও শুষ্ক হয়েছে। এভাবে চলতে চলতে একসময় গ্রহটির পৃষ্ঠের সব পানি হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা ঘটেছে আজ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে। সম্প্রতি নাসা জানায়, কিউরিওসিটিতে কেমক্যাম নামের একটি যন্ত্রাংশ রয়েছে। এটি লেজার রশ্মি ছুড়ে যেকোনো পাথরকে ১৮,০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উত্তপ্ত করতে পারে। এ তাপে পাথর বাষ্পীভূত হয়ে প্লাজমা তৈরি করে। সেই প্লাজমা বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা পাথরের খনিজ ও রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে ধারণা পান।

মঙ্গলগ্রহে প্রথমবার অক্সিজেন তৈরি
সৌরজগতের লাল গ্রহ মঙ্গলে বায়ুমণ্ডলের ৯৫ শতাংশই কার্বন ডাই-অক্সাইড। এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অনেক কম। সব মিলিয়ে গ্রহটি মানুষের বসবাসের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। তবে সেই বৈরী পরিবেশকে অনুকূল করার প্রচেষ্টায় যেনো এক ধাপ এগিয়ে গেল মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল থেকে কিছু কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে তা শ্বাসযোগ্য বিশুদ্ধ অক্সিজেনে পরিণত করেছে। নাসা জানায়, ছয় চাকার মঙ্গলযান পারসিভারেন্সে সংযুক্ত এক বিশেষ যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ১৮ এপ্রিল ২০২১ এ সাফল্য অর্জন করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণের সাত মাস পর ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে পারসিভারেন্স। পারসিভারেন্সের যে যন্ত্রাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করেছে, তার নাম Mars Oxygen In-Situ Resource Utilization Experiment (MOXIE) । নাসা জানায়, যন্ত্রাংশটি ৫ গ্রামের মতো অক্সিজেন তৈরি করেছে। এ পরিমাণ অক্সিজেনে একজন মহাকাশচারী প্রায় ১০ মিনিটের শ্বাস নিতে পারে। নাসা আরো জানায়, মক্সি উচ্চ তাপে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে ভেঙে অক্সিজেনে পরিণত করে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    15444 Views
    by apple
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]