- Mon Nov 23, 2020 6:34 pm#4462
বাংলাদেশের সংবিধান নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, নির্বিশেষে সবার জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান নিশ্চিতকরণের অধিকার দিয়েছে। সে প্রেক্ষিতে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে মোট ২২,৪৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG)-এর ৪নং লক্ষ্যমাত্রায় ‘সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে সকল শিশুর জন্য মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, বিদ্যালয় গমনোপযোগী সকল শিশুকে ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার উপবৃত্তি প্রকল্প, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪), রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, চাহিদাভিত্তিক সরকারি ও নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এবং মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪জেলা) সহ আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৪৯,৫৩৯টি। বর্তমানে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়েয়েছে ১,৩৪,১৪৭টি (ব্র্যাক সেন্টার, রস্ক সেন্টার, বিভিন্ন এনজিও স্কুল, শিশু কল্যাণ ও মাদ্রাসা/মসজিদভিত্তিক কেন্দ্র/কওমী মাদ্রাসাসহ মোট ২৫ ধরনের বিদ্যালয়)। প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা ও হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বেশি। ১৯৯১ সালে ছাত্রছাত্রীর ভর্তির অনুপাত ছিল ৫৫:৪৫। বর্তমানে তা ৪৯.২৫:৫০.৭৫-এ উন্নীত হয়েছে।