Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#3937
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ
১৮৫৬ সালে ‘এনফিল্ড’ নামক এক ধরনের বন্দুকের ব্যবহার শুরু হয়। এ বন্দুকের কার্তুজ দাত দিয়ে কেটে বন্দুকে ব্যবহার করা হতো। গুজব রটে যে, এ কার্তুজ শুকর ও গরুর চর্বি দিয়ে তৈরি। হিন্দু ও মুসলমান সিপাহীদের মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল যে, তাদের আদর্শ বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য ইংরেজ সরকার এ কার্তুজ প্রচলন করে। এ কারণে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয় এবং দেশময় ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৫৭ সালে ব্যারাকপুরের সিপাহিরা প্রথম বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহীরা দিল্লি অধিকার করে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে। ১৮৫৭ সালের বিপ্লবকে সিপাহী বিদ্রোহ আবার কেউ কেউ জাতীয় সংগ্রাম বলে অভিহিত করেন । এটি ছিল পাকিস্তান ভারত উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ। চার মাস অবরোধের পর ব্রিটিশরা দিল্লি দখল করে নেয়।

নীল বিদ্রোহ
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের ফলে বস্ত্রশিল্পের অভূতপূর্ব উন্নতি হয় এবং কাপড়ের রং করার জন্য নীলের চাহিদা বেড়ে যায়। এ ব্যবসা ছিল অত্যন্ত লাভজনক। ফলে ইংরেজরা এ দেশে নীল চাষ শুরু করে। কিন্তু নীলকররা এ দেশের চাষিদের বিভিন্নভাবে ঠকাত। এতে প্রতিবাদ করলে বা নীল চাষে সম্মত না হলে চাষি ও তার পরিবারের ওপর চলত অমানুষিক অত্যাচার। নীল চাষিরা তাই প্রথমে সংঘবদ্ধভাবে নীল চাষে অসম্মতি জানান। ১৮৫৯-৬০ সালের এ আন্দোলন ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, রাজশাহী, মালদহ, নদীয়া প্রভৃতি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। নীল বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজ সরকার নীল কমিশন গঠন করে। কমিশন সরেজমিন নীল চাষিদের অভিযোগের সভ্যতা পায়। ফলে সরকার একটি আইন দ্বারা ঘোষণা করেন যে নীল কররা বলপূর্বক চাষিদের নীল চাষে বাধ্য করতে পারবে না। এবং সেটা করলে আইনত দন্ডনীয় হবে। এ আইন পাসের ফলে ১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়।

বাংলায় সশস্ত্র বৈপ্লবী আন্দোলন
১৯০৬ সাল থেকে পরিচালিত এ বৈপ্লবিক আন্দোলনকে ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে। ঢাকার অনুশীলন সমিতি এবং কলকাতার যুগান্তর পার্টি ছিল বৈপ্লবিক আন্দোলনের দুই প্রধান শক্তিশালী সংগঠন। ঢাকার অনুশীলন সমিতির নেতা ছিলেন পুলিন বিহারী দাস এবং যুগান্তর পার্টির নেতা ছিলেন বাঘা যতীন।
বিপ্লবীরা ১৯০৮ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসামের লেফট্যানেন্ট গভর্নর ব্যামফিল্ড ফুলারকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকি বিহারের মোজাফফরপুরে কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেন। কিন্তু কিংসফোর্ড গাড়িতে ছিলেন না ছিলেন অন্য এক ইংরেজ স্ত্রী ও তার কন্যা। এ বোমায় উভয়ই মারা যান। ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন এবং তার ফাসি হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের পরের বিপ্লবী আন্দোলন চলতে থোকে। বাংলার স্বশস্ত্র আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের ঘটনা। এই দু:সাহসিক অব্যূত্থানের নেতা ছিলেন সূর্যসেন, যিনি মাস্টার দা নামে পরিচিত। ১৯৩০ সালে তিনি তার দলবল নিয়ে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠর করেন। ১৯৩২ সালে প্রীতিলতা পাহাড়তলীর রেলওয়ে ক্লাব আক্রমণ করেন। ১৯৩৪ সালে চট্টগ্রামে সূর্যসেনের ফাঁসি হয়।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    4103 Views
    by raja
    0 Replies 
    4441 Views
    by Romana
    0 Replies 
    9340 Views
    by raja
    0 Replies 
    12029 Views
    by rafique
    0 Replies 
    4030 Views
    by raihan

    ১. সমাস শব্দের অর্থ হলো – - সংক্ষেপণ ২. কোনট[…]

    ১. মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত? - ২৩ জোড়া ২. দূষি[…]

    ১. সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম &ndas[…]