Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#3915
বারাসাত বিদ্রোহ
তিতুমীর ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাত মহকুমার অন্তর্গত চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিতুমীরের প্রকৃত নাম মীর নিছার আলী। তিতুমীর প্রথম বারাসাতে ইংরেজদের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি চব্বিশ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া, ও ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। তাকে দমন করতে প্রেরিত ইংরেজ বাহিনী তিতুমীরের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয় হয়। এ বিদ্রোহ বারাসাতের বিদ্রোহ নামে পরিচিত। বারাসাতের বিদ্রোহের পর তিতুমীর নারিকেলবাড়িয়ায় ১৮৩১ সালে বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। কোম্পানি সরকার ১৮৩১ সালে ইংরেজ লেফট্যানেন্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে এক বিরাট বাহিনী প্রেরণ করেন। ইংরেজ কামান ও গোলাগুলিতে বাশের কেল্লা চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। তিতুমীর প্রথম বাঙালি হিসেবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরূদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে শহীদ হন।

দ্বৈত শাসন
১৭৬৫ খ্রিষ্ট্রাব্দে লর্ড রবার্ট ক্লাইভ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করার পর কোম্পানির পক্ষে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব নাজিমউদ্দৌলাকে কাক্ষিত ৫৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে রাজস্ব আদায় এবং দেওয়ানি মামলার ভার গ্রহণ করেন। দেশ শাসনের দায়িত্ব আগের মতোই নবাবের হাতে থাকে। এই ব্যবস্থা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। রবার্ট ক্লাইভ দেওয়ানি সনদের নামে বাংলার সম্পদ লুন্ঠনের একচেটিয়া ক্ষমতা লাভ করে। দিল্লি কর্তৃক বিদেশি বণিক কোম্পানিকে এই অবারিত ক্ষমতা প্রদানে সৃষ্টি হয় দ্বৈত শাসন, অর্থাৎ যাতে কোম্পানি লাভ করে দায়িত্বহীন ক্ষমতা, নবাব পরিণত হন ক্ষমতাহীন শাসকে।
১৭৬৫-৭০ খ্রিষ্ট্রাব্দে বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যা ছিল দুর্ভিক্ষের বছরও আদায়ের পরিমাণ প্রায় তার কাছাকাছি ছিল। ফলে চরম শোষণ নির্যাতনে বাংলার মানুষ হতদরিদ্র ও অসহায় হয়ে পড়ে। দ্বৈত শাসনব্যবস্থায় নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রশাসন পরিচালনায় তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন। সারা দেশে শূরু হয় বিশৃঙ্খলা। এই পরিস্থিতিতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটান।

দ্বিজাতিতত্ত্ব
১৯৩৭ সালে ভারতের স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হলেও মুসলমানরা উপেক্ষিত হতে থাকে। এমন অবস্থায় ১৯৪০ সালের ২২ মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে জিন্নাহ মুসলমান ও হিন্দুদের জাতিসত্তা সম্পর্কে যে তাত্ত্বিক ভাবধারা বিশ্লেষণ করেন, তাই দ্বিজাতিত্ত্ব নামে পরিচিত। এ ভাষণে জিন্নাহ বলেন, যে-কোনো আন্তর্জাতিক মানদন্ডে মুসলমানরা একটা জাতি। তাই তাদের একটি পৃথক আবাসবূমি প্রয়োজন, প্রয়োজন একটা ভূখন্ড এবং একটি রাষ্ট্র। জিন্নাহ তার দ্বিজাতিতত্বের পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি পেশ করেন –
ক. ভারত একটি দেশ নয়; বরং একটি উপমহাদেশ।
খ. যে ভিত্তিতে এ উপমহাদেশের হিন্দুরা একটি জাতি, সে ভিত্তিতে মুসলমানরাও একটি জাতি।
গ. মুসলমানদের ভাষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, নৈতিক বিধান, আচারব্যবহার, ইতিহাস, ঐতিহ্য হিন্দুদের থেকে ভিন্ন।
ঘ. হিন্দু- মুসলিম জনগণ অনুপ্রেরণা লাভ করে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে । অতএব আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গায় আমরা একটি জাতি।

লক্ষ্ণৌ চুক্তি
ব্রিটিশদের নির্যাতনমূলক কার্যকলাপের বিরূদ্ধে সংগ্রাম অবতীর্ণ হয়ে স্বাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় একমত হলে শড়হরে ১৯১৬ সালে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাই ইতিহাসে লক্ষ্ণৌ চুক্তি নামে পরিচিত।
মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন পাস হয় ১৯০৯ সালে।
মন্টেগু -চেমসফোর্ড সংস্কার আইন পাস হয় ১৯১৯ সালে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    5457 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    108 Views
    by raihan
    0 Replies 
    92 Views
    by masum
    0 Replies 
    691 Views
    by shanta
    0 Replies 
    22775 Views
    by shanta

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]