Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#3903
ফকির – সন্ন্যাসী আন্দোলন
ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতা লাভের পর সর্বপ্রথম যে বিদ্রোহ হয়েছিল, তা ইতিহাসে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ফকিররা ১৭৬০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেছিলেন। ফকিরদের সাথে সন্ন্যাসীরাও ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন এবং কোম্পানির বিরূদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিম ইংরেজদের বিরূদ্ধে ফকির- সন্ন্যাসীদের সমর্থন কামনা করেন। ফকির-সন্ন্যাসীরা মীর কাশেমের পক্ষে যুদ্ধও করেছিলেন। মীর কাসিম পরাজিত হলেও ফকির-সন্ন্যাসীরা যুদ্ধ চালিয়ে যান। ফকির আন্দোলনের নেতা মজনু শাহ ও ভবানি পাঠক। মজনু শাহের মৃত্যুর পর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।

চামকা বিদ্রোহ
১৭৬০ সালে চট্টগ্রামে জেলা ইস্ট কোম্পানির অধীনে আসে। নতুন কোম্পানি সরকার বারবার রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে থাকে। চাকমা রাজা জোয়ান বকসকে মুদ্রায় রাজস্ব দিতে বাধ্য করা হয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে মুদ্রা অর্থনীতি প্রচলনের ব্যবস্থা করা হয়। ১৭৭৭ সালে রাজস্বের হার আরও বৃদ্ধি করা হলে প্রধান নায়েব রানু খান রাজা জোয়ান বকসের সম্মতিক্রমে কোম্পানির বিরূদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। যুদ্ধ চলে প্রায় ১০ বছর । অবশেষে কোম্পানি ১৭৮৭ সালে চাকমা রাজার সাথে সন্ধি স্থাপন করে।

ফরায়েজি আন্দোলন
বাংলায় ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুসলমান সমাজে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে চরম দুর্দশা নেমে আসে। মুসলমান সমাজের এ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অধ:পতন দেখে যিনি এর সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসেন, তিনি হলেন হাজি শরিয়তুল্লাহ। হাজি শরিয়তুল্লাহ ১৭৮১ সালে মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের ফরজ পালনের জন্য তিনি জোর প্রচার চালান। এ ফরজ থেকে এ আন্দোলনের নাম ফরায়েজি আন্দোলন। ফরায়েজি আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুর জেলা। হাজি শরীয়তুল্লাহ এর মৃত্যুর পর এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তার পুত্র মহসিন উদ্দীন ওরফে দুদু মিয়া। দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এ আন্দোলন রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। ধর্মীয় সংস্কারের পাশাপাশি কৃষকদের জমিদার ও নীলকরদের অত্যাচার থেকে বাচানোর ছিল এ আন্দোলনের লক্ষ্য। জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থি- খাজনা আদায়ের জন্য জমিদারদের অত্যাচার রোধকল্পে দুদু মিয়া আ্ল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ উক্তি করেন।

তেভাগা আন্দোলন
তেভাগা আন্দোলন ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলে। মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে চাষি, এক ভাগ পাবে জমির মালিক – এই দাবি থেকে তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত। বাংলার প্রায় ১৯টি জেলায় তেভাগা আন্দোলন নামে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন ইলা মিত্র।

স্বদেশী আন্দোলন
বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তাকে সাধারণভাবে স্বদেশী আন্দোলন বলে। কবি মুকুন্দ দাস বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ‘পড়ো না রেশমী চুরি বঙ্গরাণী’ এ গান গেয়ে জনগণের মধ্যে স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করেন। শেষ পর্যায়ে স্বদেশেী আন্দোলন বৈপ্লবিক সশস্ত্র আন্দোলনের রূপ নেয়।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    149 Views
    by raihan
    0 Replies 
    122 Views
    by masum
    0 Replies 
    720 Views
    by shanta
    0 Replies 
    22880 Views
    by shanta
    0 Replies 
    55 Views
    by bdchakriDesk

    Thanks for the information.

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]

    Creating a website easily on WordPress is a popula[…]

    Creating a website on BigCommerce offers a seamles[…]