- Thu Oct 22, 2020 3:12 pm#3873
মেগাস্থিনিস:
মেগাস্থিনিস প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ ছিলেন। তিনি এশিয়া মাইনরে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রিক সেনাপতি সেলিউকাস খ্রিষ্টপূর্ব ৩০২ অব্দে তাকে দূত হিসেবে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি কয়েক বছর এ দেশে অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন।
ফা হিয়েন
ফা হিয়েন প্রাচীন চৈনিক তীর্থযাত্রী। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে তিনি ভারতে আসেন। ফা-হিয়েন ৪০১-৪১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতবর্ষে অবস্থান করেন। ফা হিয়েন ভারতে অবস্থানকালে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফো কুয়ো কিং।
হিউয়েন সাঙ
হিউয়েন সাঙ ছিলেন বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের কোনো একসময় তিনি ভারতবর্ষে এসেছিলেন। হর্ষবর্ধণ রাজদরবারে তিনি আট বছর কাটান। শীলভদ্র বৌদ্ধশাস্ত্রের একজন শাস্ত্রজ্ঞ এবং দার্শনিক ছিলেন।
তিনি নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। হিউয়েন সাঙ ২২ বছর ধরে শীলভদ্রের কাছে যাবতীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি সিদ্ধি নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। ১১৯৩ সালে তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খলজি নালন্দা মহাবিহার ধ্বংস করে ফেলেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চম শতকে।
ইবনে বতুতা
ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।
মা হুয়ান
মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।
সিমা কিয়েন
সিমা কিয়েন ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তাকে চৈনিক ইতিহাস লিখন ধারার জনক বলা হয়।
মেগাস্থিনিস প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ ছিলেন। তিনি এশিয়া মাইনরে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রিক সেনাপতি সেলিউকাস খ্রিষ্টপূর্ব ৩০২ অব্দে তাকে দূত হিসেবে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি কয়েক বছর এ দেশে অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন।
ফা হিয়েন
ফা হিয়েন প্রাচীন চৈনিক তীর্থযাত্রী। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে তিনি ভারতে আসেন। ফা-হিয়েন ৪০১-৪১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতবর্ষে অবস্থান করেন। ফা হিয়েন ভারতে অবস্থানকালে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফো কুয়ো কিং।
হিউয়েন সাঙ
হিউয়েন সাঙ ছিলেন বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের কোনো একসময় তিনি ভারতবর্ষে এসেছিলেন। হর্ষবর্ধণ রাজদরবারে তিনি আট বছর কাটান। শীলভদ্র বৌদ্ধশাস্ত্রের একজন শাস্ত্রজ্ঞ এবং দার্শনিক ছিলেন।
তিনি নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। হিউয়েন সাঙ ২২ বছর ধরে শীলভদ্রের কাছে যাবতীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি সিদ্ধি নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। ১১৯৩ সালে তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খলজি নালন্দা মহাবিহার ধ্বংস করে ফেলেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চম শতকে।
ইবনে বতুতা
ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।
মা হুয়ান
মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।
সিমা কিয়েন
সিমা কিয়েন ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তাকে চৈনিক ইতিহাস লিখন ধারার জনক বলা হয়।