- Mon Oct 19, 2020 3:54 pm#3828
ইসলাম ধর্ম
দুনিয়ার প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ.) আল্লাহ প্রেরিত প্রথম নবী। হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে মুসলিম জাতির আদি পিতা বলা হয়। হেবরনে তার মাজার অবস্থিত। প্রাক-ইসলামিক আরবে একেশ্বরবাদীদের হানিফ বলা হতো।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরব দেশের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। সত্যবাদীতার জন্য আরবের লোকেরা তাকে আল-আমিন বা বিশ্বাসী বলে ডাকত। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুয়তপ্রাপ্ত হন বা নবী হন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম আল্লাহর আদেশে তখন একদিন মক্কা থেকে মদিনায় চলে যান। ইতিহাসে এ ঘটনাকে হিজরত বলা হয়। ৬২২ খ্রিষ্ট্রাব্দে এ ঘটনা ঘটে। এ বছর থেকে হিজরি সাল গণনা করা হয়। ৬২৮ খ্রিষ্ট্রাব্দে তিনি মক্কার কুরাইশদের সাথে বিখ্যাত হুদাইবিয়ার সন্ধি করেন। ৬৩০ খ্রিষ্ট্রাব্দে তিনি মক্কা জয় করে মক্কার লোকদের সব অপরাধ মাফ করে দেন। মহানবি ৬৩২ খ্রিষ্ট্রাব্দে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
আসমানি কিতাব ৪টি – তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জল ও আল-কুরআন। পবিত্র শবে কদরের রাতে কুরআন নাজিল হয়। ওহির মাধ্যমে কুরআন শরিফ নাজিল হতে ২৩ বছর সময় লাগে।
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.): ইসলামের প্রথম খলিফা। তিনি ভন্ড নবিদের কঠোরহস্তে দমন করেন। এজন্য তাকে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয়।
আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ জ্ঞানচর্চার জন্য বাইতুল হিকমা প্রতিষ্ঠা করেন। কুখ্যাত মঙ্গোলীয় নেতা হালাকু খানের হাতে বাগদাদ নগরীর পতন হয়।
হিন্দুধর্ম
হিন্দু ধর্মকে প্রাচীনতম ধর্ম বলা হয়। হিন্দু শব্দটা ফারসি। এক সনাতন ধর্ম বলা হয়। শ্রীচৈতন্য হিন্দুধর্মের একজন বড় সংস্কারক। হিন্দুরা তকে কলিযুগের অবতার বলে শ্রদ্ধা করে। তিনি বৈষ্ণব ধর্মমত প্রচার করেন। প্রাচীন হিন্দু সমাজে চারটি বর্ণ ছিল প্রধান – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
জৈন ধর্ম
২৪ জন ঋষি জৈনধর্ম প্রচার করেন। তাদের এওকত্রে তীর্থাঙ্কর বলে। মহাবীর ছিলেন সর্বশেষ ঋষি। মহাবীর ভারতের বিহার রাজ্যে শূদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বৌদ্ধ ধর্ম
প্রায় আড়াই বছর আগে বুদ্ধদেব হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের লুম্বনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতা তার নাম রাখে গৌতম। বাল্যকালে তার নাম ছিল সিদ্ধার্থ। শাক্যবংশে জন্ম বলে তাকে শাক্যসিংহ ও বলা হয়। যে গাছের নিচে বসে তিনি ধ্যান করেছিলেন সে গাছটির নাম রাখা হয় বোধিবৃক্ষ। স্থানটির নাম রাখা হয় বুদ্ধগয়া। গৌাতম বুদ্ধ কুশীনগরে মৃত্যুবরণ করেন। বৌদ্ধধর্মের মূলকথা হচ্ছে – অহিংসা পরম ধর্ম। গৌতম বুদ্ধের মতে, দু:খ থেকে মুক্তির নাম ‘নির্বাণ লাভ’।
খ্রিষ্ট্রধর্ম
যিশুখ্রিষ্ট্র জেরুজালেমের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম মেরি। রোম সম্রাট অগাস্টিন সিজারের প্রতিনিধি পন্টিয়াস তার প্রাণদন্ডের আদেশ দেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতে তাকে ক্রশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে বর্তমানে খ্রিষ্ট্রধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা সর্বাধিক। রোমের ভ্যাটিকান শহরে খ্রিষ্ট্রজগতের শ্রেষ্ঠ ধর্মগুরু পোপ বাস করেন। পোপের দেহরক্ষী বাহিনীকে সুইটস গার্ড বলে।
বিশ্বের প্রধান ধর্ম, প্রবর্তক, ধর্মগ্রন্থ ও পবিত্র স্থান
ধর্ম – প্রবর্তক – ধর্মগ্রন্থ – উপাসনালয় – তীর্থস্থান
ইসলাম – হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কুরআন মাজিদ – মসজিদ – মক্কা, মাদিনা, জেরুজালেম
হিন্দু – আর্য ঋষিরা – বেদ – মন্দির – কাশী, গয়া
খ্রিষ্ট্র – যিশুখ্রিষ্ট – বাইবেল – গির্জা – জেরুজালেম
বৌদ্ধ – গৌতম বুদ্ধ – ত্রিপিটক – মন্দির – বুদ্ধগয়া
ইহুদি – মোজেস – তাওরাত – সিনাগগ – জেরুজালেম
শিখ – গুরু নানক – গ্রন্থ সাহেব – গুরু দুয়ারা – পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্নমন্দির
**জেরুজালেম শহরটি মুসলমান, খ্রিষ্টান, ও ইহুদি তিনটি ধর্মের জন্যই পবিত্র স্থান।
দুনিয়ার প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ.) আল্লাহ প্রেরিত প্রথম নবী। হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে মুসলিম জাতির আদি পিতা বলা হয়। হেবরনে তার মাজার অবস্থিত। প্রাক-ইসলামিক আরবে একেশ্বরবাদীদের হানিফ বলা হতো।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরব দেশের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। সত্যবাদীতার জন্য আরবের লোকেরা তাকে আল-আমিন বা বিশ্বাসী বলে ডাকত। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুয়তপ্রাপ্ত হন বা নবী হন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম আল্লাহর আদেশে তখন একদিন মক্কা থেকে মদিনায় চলে যান। ইতিহাসে এ ঘটনাকে হিজরত বলা হয়। ৬২২ খ্রিষ্ট্রাব্দে এ ঘটনা ঘটে। এ বছর থেকে হিজরি সাল গণনা করা হয়। ৬২৮ খ্রিষ্ট্রাব্দে তিনি মক্কার কুরাইশদের সাথে বিখ্যাত হুদাইবিয়ার সন্ধি করেন। ৬৩০ খ্রিষ্ট্রাব্দে তিনি মক্কা জয় করে মক্কার লোকদের সব অপরাধ মাফ করে দেন। মহানবি ৬৩২ খ্রিষ্ট্রাব্দে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
আসমানি কিতাব ৪টি – তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জল ও আল-কুরআন। পবিত্র শবে কদরের রাতে কুরআন নাজিল হয়। ওহির মাধ্যমে কুরআন শরিফ নাজিল হতে ২৩ বছর সময় লাগে।
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.): ইসলামের প্রথম খলিফা। তিনি ভন্ড নবিদের কঠোরহস্তে দমন করেন। এজন্য তাকে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয়।
আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ জ্ঞানচর্চার জন্য বাইতুল হিকমা প্রতিষ্ঠা করেন। কুখ্যাত মঙ্গোলীয় নেতা হালাকু খানের হাতে বাগদাদ নগরীর পতন হয়।
হিন্দুধর্ম
হিন্দু ধর্মকে প্রাচীনতম ধর্ম বলা হয়। হিন্দু শব্দটা ফারসি। এক সনাতন ধর্ম বলা হয়। শ্রীচৈতন্য হিন্দুধর্মের একজন বড় সংস্কারক। হিন্দুরা তকে কলিযুগের অবতার বলে শ্রদ্ধা করে। তিনি বৈষ্ণব ধর্মমত প্রচার করেন। প্রাচীন হিন্দু সমাজে চারটি বর্ণ ছিল প্রধান – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
জৈন ধর্ম
২৪ জন ঋষি জৈনধর্ম প্রচার করেন। তাদের এওকত্রে তীর্থাঙ্কর বলে। মহাবীর ছিলেন সর্বশেষ ঋষি। মহাবীর ভারতের বিহার রাজ্যে শূদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বৌদ্ধ ধর্ম
প্রায় আড়াই বছর আগে বুদ্ধদেব হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের লুম্বনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতা তার নাম রাখে গৌতম। বাল্যকালে তার নাম ছিল সিদ্ধার্থ। শাক্যবংশে জন্ম বলে তাকে শাক্যসিংহ ও বলা হয়। যে গাছের নিচে বসে তিনি ধ্যান করেছিলেন সে গাছটির নাম রাখা হয় বোধিবৃক্ষ। স্থানটির নাম রাখা হয় বুদ্ধগয়া। গৌাতম বুদ্ধ কুশীনগরে মৃত্যুবরণ করেন। বৌদ্ধধর্মের মূলকথা হচ্ছে – অহিংসা পরম ধর্ম। গৌতম বুদ্ধের মতে, দু:খ থেকে মুক্তির নাম ‘নির্বাণ লাভ’।
খ্রিষ্ট্রধর্ম
যিশুখ্রিষ্ট্র জেরুজালেমের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম মেরি। রোম সম্রাট অগাস্টিন সিজারের প্রতিনিধি পন্টিয়াস তার প্রাণদন্ডের আদেশ দেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতে তাকে ক্রশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে বর্তমানে খ্রিষ্ট্রধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা সর্বাধিক। রোমের ভ্যাটিকান শহরে খ্রিষ্ট্রজগতের শ্রেষ্ঠ ধর্মগুরু পোপ বাস করেন। পোপের দেহরক্ষী বাহিনীকে সুইটস গার্ড বলে।
বিশ্বের প্রধান ধর্ম, প্রবর্তক, ধর্মগ্রন্থ ও পবিত্র স্থান
ধর্ম – প্রবর্তক – ধর্মগ্রন্থ – উপাসনালয় – তীর্থস্থান
ইসলাম – হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কুরআন মাজিদ – মসজিদ – মক্কা, মাদিনা, জেরুজালেম
হিন্দু – আর্য ঋষিরা – বেদ – মন্দির – কাশী, গয়া
খ্রিষ্ট্র – যিশুখ্রিষ্ট – বাইবেল – গির্জা – জেরুজালেম
বৌদ্ধ – গৌতম বুদ্ধ – ত্রিপিটক – মন্দির – বুদ্ধগয়া
ইহুদি – মোজেস – তাওরাত – সিনাগগ – জেরুজালেম
শিখ – গুরু নানক – গ্রন্থ সাহেব – গুরু দুয়ারা – পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্নমন্দির
**জেরুজালেম শহরটি মুসলমান, খ্রিষ্টান, ও ইহুদি তিনটি ধর্মের জন্যই পবিত্র স্থান।