Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#3628
ভয়াবহ বিপর্যয়ে বন্যপ্রানী
বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রানীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কমে গেছে। গত পঞ্চাশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ সংখ্যা কমে যায। এর মধ্যে প্রানী, পাখি ও মাছ রয়েছে। বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিয়োজিত ওয়াল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বণ্যপ্রাণীর কয়েক হাজার প্রজতি এবং তাদের বাসস্থান নিয়ে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিদিন তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০-২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪৬ বছরে স্তন্যপায়ী প্রানী, পাখি ও মাছের বিভিন্ন প্রজাতির ওপর পরীক্ষা চালান। তারা লক্ষ্য করেন, এ সময় ২০ হাজারের বেশি প্রাণীর মধ্যে গড়ে ৬৮% ই কমে গেছে। প্রতিবেদন আরো বলে প্রায় ৮৪% জলজ প্রাণী বিলিন হয় এ সময়ের ব্যবধানে।গত ৪৬ বছরে বিশ্বের অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায় লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলেই বন্যপ্রাণীর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়।

৮,১৫০ ডলারের গাছ
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে অনলাইনে ৮,১৫০ নিউজিল্যান্ড ডলার বা প্রায় ৪,৬৭,৩২৯ টাকায় ব্রিক্রি হয় চার পাতার একটি বিরল প্রজাতির গাছ। গাছটির বিশেষত্ব হলো এর চারটি পাতার প্রত্যেকটিকে দুটি পৃথক রং রয়েছে। প্রতিটি পাতায় অদ্ভুতভাবে হলুদ রঙের ছোপ রয়েছে । তাও আবার একেবারে মাঝখান দিয়ে। পাতার অর্ধেকটা সবুজ আর ঠিক অর্ধেকটা হলুদ। এমন রঙের গাছ আগে কখনো দেখা যায়নি। গাছটির সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো – এ ধরনের গাছের সবুজ অংশে সালোকসংশ্লেষণ হয় এবং হলুদ অংশে শর্করা তৈরি হয়।

হাঁটতে পারে ১২ প্রজাতির মাছ
এক প্রজাতির মাছ হাঁটতে পারে, এ প্রমাণ পাওয়া গেছে কয়েক বছর আগেই। সর্বশেষ এক গবেষণায় জানা যায়, প্রায় ১২ প্রজাতির মাছ হাটতে পারে। কেইভ অ্যাঞ্জেল ফিশসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ নিয়ে গবেষণা করেন গবেষকরা। কেইভ অ্যাঞ্জেল ফিশকে প্রথম হাটতে দেখা যায় ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের এক গুহায়। সেখানে থাকা শিলা বা পাহাড়ের গায়ে এ মাছকে হাটতে দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, এটি এমন কোনো মাছের জাত, যার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পাহাড়ি ঝরণার পানিতে সাতার কাটে এমন ৩০টি প্রজাতির মাছ নিয়ে গবেষণায় আরো অন্তত ১১টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়।

সমুদ্রে নতুন ৩০ প্রজাতির প্রাণ
প্রশান্ত মহাসাগরের বিষুব রেখার দুই পাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অপার সৌন্দর্যে ভরা গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। এ দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০ টি বিরল প্রজাতির প্রাণের সন্ধান আবিষ্কার করেন একদল সমুদ্র বিজ্ঞানী। গালাগোসের চারপাশে গভীর সমুদ্র থেকে বিশেষজ্ঞরা ১০ টি বাশের প্রবাল, চারটি অষ্টকোষ, একটি ভঙ্গুর প্রবাল এবং স্পঞ্জ গোত্রীয় জিনিসের আবিষ্কার করেন। এছাড়াও ভঙ্গুর তারকা এবং ১১ টি স্পঞ্জের পাশাপাশি স্কোয়াট লবস্টার্স নামে পরিচিত চারটি নতুন প্রজাতির ক্রাস্টাসিয়ান লবস্টার্স আবিষ্কার করেন তারা। বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনীক রিমোট অপারেটেড ভেহিক্যাল ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রের ৩,৪০০ মিটার গভীরতায় বাস্তুসংস্থান অনুসন্ধানে নেমেছিলেন। আর সেখানে থেকেই বিরল ৩০ টি প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণের সন্ধান পান।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    745 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    16502 Views
    by apple
    জানা অজানা
    by shahan    - in: জানা-অজানা
    0 Replies 
    305 Views
    by shahan
    0 Replies 
    441 Views
    by Romana
    0 Replies 
    94 Views
    by rana

    • মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। এই বাক্যের মেঘ থেকে কো[…]

    • হে কব, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্ত[…]

     ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থা[…]