- Mon Oct 05, 2020 2:39 pm#3610
ঠিক কোন কারণে একক পঙ্গপাল দলবদ্ধ হয়, তা এত দিন পর্যন্ত অজানা ছিল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এর রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হন চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী লি ক্যাং ও ওয়াংয়ের নেতৃত্বে আটজন গবেষকের একটি দল। দলবদ্ধ পঙ্গপালের শরীর ও বর্জ্য পদার্থ থেকে নি:সৃত মোট ছয় ধরনের রাসায়নিক চিহ্নিত করেন। এরপর ছয়টি আলাদা বাক্সে ছয়টি রাসায়নিক দিয়ে পঙ্গপাল ছেড়ে দেয়া হয়। দেখা যায়, ক্যামিক্যাল একক পঙ্গপালের চরিত্র বদলে দিয়ে তাদের দলবদ্ধ করছে। এ বিশেষ রাসায়নিক বা ফেরোমন পঙ্গপালের দেহের প্রায় সব জায়গা থেকে নি;সৃত হয়। ঠিক কয়টি পতঙ্গ কাছাকাছি এলে দলবদ্ধকরণ শুরু হয় বিজ্ঞানীরা তা জানার জন্য নানা সংখ্যার পঙ্গপাল রেখে তাদের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেন। মাত্র ৪-৫ টি পঙ্গপাল কাছাকাছি এলেই তারা শরীর থেকে ফেরোমন নি:সরণ করে এবং দলবদ্ধ হতে শুরু করে। পঙ্গপালের কাছাকাছি হওয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ফেরোমন তাদের শরীরে তৈরি হয় এবং৭২ ঘন্টার মধ্যে নি:সরণের মাত্রা সাংঘাতিক রকমের বেড়ে যায়। দেখা যায়, লার্ভা বা পূর্ণাঙ্গ পুরুষ বা নারী, যে কোনো ধরণের পঙ্গপাল এ ফেরোমনের গন্ধে দলবদ্ধ হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এরপর এ ফেরোমনের সাথে পঙ্গপালের কীভাবে সম্পর্কযুক্ত তা দেখার চেষ্টা করেন । তারা খঁজে বের করেন সেই পঙ্গপালের অ্যান্টেনায় থাকা রিসেপটর যা কিনা বাতাসে ভাসমান ফেরোমনের সাথে যুক্ত হয়। ওআর ৩৫ নামক এ রিসেপটরগুলো এরপরে বিশেষ কোষগুচ্ছকে উত্তেজিত করে। আর এর ফলেই নি:সরিত হয় ‘ফেরোমন’।