- Sun Sep 20, 2020 8:10 pm#3362
সাগরতলে গবেষণাকেন্দ্র
পৃথিবীপৃষ্ঠে ৭১%-ই সাগর-মহাসাগর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্টেশনের তথ্যমতে, মানুষ এ বিশাল জলরাশির মাত্র ৫% জয় করতে পেরেছে। আর মানচিত্রে আনতে পেরেছে বিশ শতাংশ। বাকি অংশটিই এখনো মানুষের অজানা। সেই অজানাকে জানতে সাগরতলেই গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ফ্যাবিয়ান কস্তা ও শিল্প নির্দেশক ইভস বেহার সাগরতলে এ গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যারীবীয় সাগরে নেদারল্যান্ডের দ্বীপ কিউরাসাওয়ের উপকূলে সাগরপৃষ্ঠে ৬০ ফুট নিচে গবেষণা কেন্দ্রটি হবে। এর আয়তন হবে ৪,০০০ বর্গফুট। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এসে সাগরের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সাগরতলের প্রানী নিয়ে গবেষণা করবেন। দ্বিতল-চক্রাকার এ গবেষণাগারে ,গবেষকদের থাকার জায়গা, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং একটি পুল। এ পুলে নেমে যে কেউ চলে যেতে পারবেন সাগরতলে। মহাকাশ গবেষণার জন্য যেমন পৃথিবীর কক্ষপথে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, ঠিক তারই আদলে তৈরি হবে সাগরতলের এ গবেষণাকেন্দ্র। এখানেও সরকারি সংস্থা, বিজ্ঞানী ও বেসরকারি খাত অংশ নিতে পারবে।
দৈত্যাকার হীরা
৭ আগস্ট ২০২০ রাশিয়ার অ্যানাবার নদীর ধারে আলরোসার এবিলিয়াক খনি থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৭x ২৪ x ২২ মিলিমিটার আয়তনের একটি হীরা খন্ড। হলদে-বাদামি এ বৃহদাকার হীরা খন্ডটি ২৩ কোটি বছরের পুরনো হতে পারে। প্রখর উজ্জল এ হীরাটির আনুমানিক মূল্য কয়েকশ কোটি ডলার।
প্রস্তরযুগে প্রথম মহামারি
প্রথম কবে মহামারি শুরু হয়েছিল, সেই তথ্য এতদিন নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। মহামারির প্রাচীনতম লিখিত ইতিহাস থেকে জানা যায়, হয়রত ঈসা (আ) এর জন্মেরও ৪৩০ বছর আগে এথেন্সে দেখা দিয়েছিল প্লেগ। এরপর ১৬৫ খ্রিস্টাব্দে রোস সম্রাট অ্যান্টোনিয়াস পায়াসের আমলে মহামারি আকার নিয়েছিল প্লেগ। এতে মৃত্যু হয়েছিল ৫০ লাখ মানুষের । ৫৪১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব রোমের জাস্টিনিয়ান সম্রাটের আমলেও হানা দিয়েছিল প্লেগ। ইতিহাসে প্লেগ মহামারিতে মারা যায় ৫ কোটির বেশি মানুষ। এসব মহামারিকেই আগে প্রাচীন মহামারি মনে করা হতো। কিন্তু মহামারি নিয়ে নানা তথ্য তুলে আনছে বিজ্ঞানের এক নতুন শাখা। কার্যত বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানের এ শাখাটি। সম্প্রতি প্যালিয়োজেনোমিক্স এর গবেষণায় বলা হচ্ছে প্রথম মহামারির ইতিহাস আগের ধারণার চেয়ে হাজার হাজার বছরের পুরনো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন প্রস্তর যুগে এখন থেকে প্রায় ৫,০০০ বছর আগে প্লেগ ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয় মানুষ। প্রস্তরযুগের ঐ সময়কার মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পান বিজ্ঞানীরা ।
তুতেনখামেন স্মৃতি জাদুঘর
মিশরের বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেন। তিনি ছিলেন মিশরের সবথেকে অল্প বয়সের ফারাও। মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন তুতেনখামেন। বিশ্ব বাসীর কাছে তিনি বিশেষ এক পরিচিতি এনে দেয় ৩,৩০০ বছর আগে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি তার ২৪ পাউন্ট ওজনের এক প্রতিকৃতি। মিশরের ফারাওদের কথা উঠলে যে কারোর চোখেই ভেসে ওঠে তার সেই প্রতিকৃতি। নানা কারণেই মিশরসহ বিশ্বের অনেক ইতিহাসবীদ তুতেনখামেন সম্পর্কে বেশ কৌতুহলি। ১৯২৩ সালে সর্বপ্রথম একদল গবেষক তুতেনখামেনের নামাঙ্কিত পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করে মিশরীয় এ ফারাওয়ের অক্ষত ‘টুম্ব’ আবিষ্কার করেন। তুতেনখামেন সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জোগাড় করতে এরপর আরো বেশ কয়েকবার তার পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করেন গবেষকরা । গবেষকদের সংগদ্রহ করা সেসব তথ্য উপাত্ত আর পিরামিডের মধ্যে সমাধিস্থ যাবতীয় পার্থিব জিনিস, ধন-রত্ন নিয়ে তার পিরামিডের কাছাকাছি গড়ে তোলা হচ্ছে তুতেনখামেনের স্মৃতি জাদুঘর। ৫ লাখ স্কয়ার মিটার এলাকা জুড়ে ওঠা এ জাদুঘরে থাকবে তুতেনখামেন এবং তার পূর্বপুরুষ ফারাওদের ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র ,ধন, রত্ম ইত্যাদি। জাদুঘরের স্থাপনাটি নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে কংক্রিট ও কাচ দিয়ে। আট বছর ধরে চলছে নির্মাণ যজ্ঞ। আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হতে পারে জাপান থেকে ঋণ দিয়ে নির্মিত এ জাদুঘরটি।
পৃথিবীপৃষ্ঠে ৭১%-ই সাগর-মহাসাগর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্টেশনের তথ্যমতে, মানুষ এ বিশাল জলরাশির মাত্র ৫% জয় করতে পেরেছে। আর মানচিত্রে আনতে পেরেছে বিশ শতাংশ। বাকি অংশটিই এখনো মানুষের অজানা। সেই অজানাকে জানতে সাগরতলেই গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ফ্যাবিয়ান কস্তা ও শিল্প নির্দেশক ইভস বেহার সাগরতলে এ গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যারীবীয় সাগরে নেদারল্যান্ডের দ্বীপ কিউরাসাওয়ের উপকূলে সাগরপৃষ্ঠে ৬০ ফুট নিচে গবেষণা কেন্দ্রটি হবে। এর আয়তন হবে ৪,০০০ বর্গফুট। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এসে সাগরের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সাগরতলের প্রানী নিয়ে গবেষণা করবেন। দ্বিতল-চক্রাকার এ গবেষণাগারে ,গবেষকদের থাকার জায়গা, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং একটি পুল। এ পুলে নেমে যে কেউ চলে যেতে পারবেন সাগরতলে। মহাকাশ গবেষণার জন্য যেমন পৃথিবীর কক্ষপথে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, ঠিক তারই আদলে তৈরি হবে সাগরতলের এ গবেষণাকেন্দ্র। এখানেও সরকারি সংস্থা, বিজ্ঞানী ও বেসরকারি খাত অংশ নিতে পারবে।
দৈত্যাকার হীরা
৭ আগস্ট ২০২০ রাশিয়ার অ্যানাবার নদীর ধারে আলরোসার এবিলিয়াক খনি থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৭x ২৪ x ২২ মিলিমিটার আয়তনের একটি হীরা খন্ড। হলদে-বাদামি এ বৃহদাকার হীরা খন্ডটি ২৩ কোটি বছরের পুরনো হতে পারে। প্রখর উজ্জল এ হীরাটির আনুমানিক মূল্য কয়েকশ কোটি ডলার।
প্রস্তরযুগে প্রথম মহামারি
প্রথম কবে মহামারি শুরু হয়েছিল, সেই তথ্য এতদিন নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। মহামারির প্রাচীনতম লিখিত ইতিহাস থেকে জানা যায়, হয়রত ঈসা (আ) এর জন্মেরও ৪৩০ বছর আগে এথেন্সে দেখা দিয়েছিল প্লেগ। এরপর ১৬৫ খ্রিস্টাব্দে রোস সম্রাট অ্যান্টোনিয়াস পায়াসের আমলে মহামারি আকার নিয়েছিল প্লেগ। এতে মৃত্যু হয়েছিল ৫০ লাখ মানুষের । ৫৪১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব রোমের জাস্টিনিয়ান সম্রাটের আমলেও হানা দিয়েছিল প্লেগ। ইতিহাসে প্লেগ মহামারিতে মারা যায় ৫ কোটির বেশি মানুষ। এসব মহামারিকেই আগে প্রাচীন মহামারি মনে করা হতো। কিন্তু মহামারি নিয়ে নানা তথ্য তুলে আনছে বিজ্ঞানের এক নতুন শাখা। কার্যত বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানের এ শাখাটি। সম্প্রতি প্যালিয়োজেনোমিক্স এর গবেষণায় বলা হচ্ছে প্রথম মহামারির ইতিহাস আগের ধারণার চেয়ে হাজার হাজার বছরের পুরনো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন প্রস্তর যুগে এখন থেকে প্রায় ৫,০০০ বছর আগে প্লেগ ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয় মানুষ। প্রস্তরযুগের ঐ সময়কার মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পান বিজ্ঞানীরা ।
তুতেনখামেন স্মৃতি জাদুঘর
মিশরের বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেন। তিনি ছিলেন মিশরের সবথেকে অল্প বয়সের ফারাও। মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন তুতেনখামেন। বিশ্ব বাসীর কাছে তিনি বিশেষ এক পরিচিতি এনে দেয় ৩,৩০০ বছর আগে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি তার ২৪ পাউন্ট ওজনের এক প্রতিকৃতি। মিশরের ফারাওদের কথা উঠলে যে কারোর চোখেই ভেসে ওঠে তার সেই প্রতিকৃতি। নানা কারণেই মিশরসহ বিশ্বের অনেক ইতিহাসবীদ তুতেনখামেন সম্পর্কে বেশ কৌতুহলি। ১৯২৩ সালে সর্বপ্রথম একদল গবেষক তুতেনখামেনের নামাঙ্কিত পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করে মিশরীয় এ ফারাওয়ের অক্ষত ‘টুম্ব’ আবিষ্কার করেন। তুতেনখামেন সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জোগাড় করতে এরপর আরো বেশ কয়েকবার তার পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করেন গবেষকরা । গবেষকদের সংগদ্রহ করা সেসব তথ্য উপাত্ত আর পিরামিডের মধ্যে সমাধিস্থ যাবতীয় পার্থিব জিনিস, ধন-রত্ন নিয়ে তার পিরামিডের কাছাকাছি গড়ে তোলা হচ্ছে তুতেনখামেনের স্মৃতি জাদুঘর। ৫ লাখ স্কয়ার মিটার এলাকা জুড়ে ওঠা এ জাদুঘরে থাকবে তুতেনখামেন এবং তার পূর্বপুরুষ ফারাওদের ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র ,ধন, রত্ম ইত্যাদি। জাদুঘরের স্থাপনাটি নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে কংক্রিট ও কাচ দিয়ে। আট বছর ধরে চলছে নির্মাণ যজ্ঞ। আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হতে পারে জাপান থেকে ঋণ দিয়ে নির্মিত এ জাদুঘরটি।