- Fri Sep 11, 2020 6:15 pm#3281
জন্ম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ । তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন
টুঙ্গিপাড়ায় এক পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষায় হাতেখড়ি ।
১৯৫৪ সালে ভর্তি হন টিকাটুলীর নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ।
১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গালর্স কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে এইচএসসি পাস করেন । সে বছরেই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে পুনরায় ভর্তি হন ইডেন কলেজ।
পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পারিবারিক জীবন
১৯৬৮ সালে জেলে অন্তরিন বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার (ডাক নাম সুধা মিয়া) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাদের দুই সন্তান : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় (জন্ম: ২৭ জুলাই ১৯৭১) এবং মনোবিজ্ঞানী ও অটিজম বিষয়ক চিকিৎসক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৯৭২)
ড. ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় কৈশোরেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তিনি আয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৭ সালে কলেজ ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ছাত্রদের ১১ দফার ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অগ্রভাগে ছিলেন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন । তিনি এখন পর্যন্ত দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার মধ্যে দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো জনগণের প্রধানমন্ত্রী নির্বচিত হন।
১৫ আগষ্টের কালরাত্রি: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে । কিন্তু কিছুদিন আগে ছোটবোন শেখ রেহেনাসহ শেখ হাসিনা স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে চলে যাওয়ায় অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
গৃহবন্দী এবং কারা জীবন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গন্ধুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনাসহ পুরো পরিবারকে গৃহবন্দি করে।
সামরিক সরকার ১৯৮৫ সালে বিভিন্ন সময় তাকে গৃহবন্দি করে রাখে
১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়।
১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে ১ মাস জেলে অন্তরিন রাখা হয়।
১৯৮৯ সালের ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার ও গৃহবন্দি করা হয় ।
১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে তাকে পুনরায় গৃহবন্দি করা হয়
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবনের সাব জেলে আটক রাখে । প্রায় ১ বছর পর ১৬ জুলাই ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৪১টি দেশি-বিদেশি পুরস্কার ,পদক, ডক্টরেট, ও সম্মননা অর্জন করেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া অর্জনগুলোর একটি খন্ডচিত্র নিচে দেওয়া হলো –
-নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন তাকে গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
-মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ফলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি দেন।
-লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ২০১৬ সালে প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ও এজেন্ট অব চেঞ্জ এই দুইটি পুরস্কার ভূষিত করে।
-জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি মোকাবিলায় জন্য ২০১৫ সালে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হন।
-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য লাভ করেন এসডিজি অ্যাওয়ার্ড২০১৮।
-২০১৩ সালে লাভ করেন South South Award খাদ্য নিরপিত্তা এবং ক্ষুধা দারিদ্র বিমোচনের বিশেষ অবদান রাখার কারণে।
শিক্ষাজীবন
টুঙ্গিপাড়ায় এক পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষায় হাতেখড়ি ।
১৯৫৪ সালে ভর্তি হন টিকাটুলীর নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ।
১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গালর্স কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে এইচএসসি পাস করেন । সে বছরেই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে পুনরায় ভর্তি হন ইডেন কলেজ।
পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পারিবারিক জীবন
১৯৬৮ সালে জেলে অন্তরিন বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার (ডাক নাম সুধা মিয়া) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাদের দুই সন্তান : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় (জন্ম: ২৭ জুলাই ১৯৭১) এবং মনোবিজ্ঞানী ও অটিজম বিষয়ক চিকিৎসক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৯৭২)
ড. ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় কৈশোরেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তিনি আয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৭ সালে কলেজ ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ছাত্রদের ১১ দফার ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অগ্রভাগে ছিলেন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন । তিনি এখন পর্যন্ত দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার মধ্যে দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো জনগণের প্রধানমন্ত্রী নির্বচিত হন।
১৫ আগষ্টের কালরাত্রি: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে । কিন্তু কিছুদিন আগে ছোটবোন শেখ রেহেনাসহ শেখ হাসিনা স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে চলে যাওয়ায় অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
গৃহবন্দী এবং কারা জীবন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গন্ধুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনাসহ পুরো পরিবারকে গৃহবন্দি করে।
সামরিক সরকার ১৯৮৫ সালে বিভিন্ন সময় তাকে গৃহবন্দি করে রাখে
১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়।
১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে ১ মাস জেলে অন্তরিন রাখা হয়।
১৯৮৯ সালের ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার ও গৃহবন্দি করা হয় ।
১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে তাকে পুনরায় গৃহবন্দি করা হয়
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবনের সাব জেলে আটক রাখে । প্রায় ১ বছর পর ১৬ জুলাই ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৪১টি দেশি-বিদেশি পুরস্কার ,পদক, ডক্টরেট, ও সম্মননা অর্জন করেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া অর্জনগুলোর একটি খন্ডচিত্র নিচে দেওয়া হলো –
-নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন তাকে গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
-মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ফলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি দেন।
-লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ২০১৬ সালে প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ও এজেন্ট অব চেঞ্জ এই দুইটি পুরস্কার ভূষিত করে।
-জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি মোকাবিলায় জন্য ২০১৫ সালে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হন।
-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য লাভ করেন এসডিজি অ্যাওয়ার্ড২০১৮।
-২০১৩ সালে লাভ করেন South South Award খাদ্য নিরপিত্তা এবং ক্ষুধা দারিদ্র বিমোচনের বিশেষ অবদান রাখার কারণে।