- Fri Sep 11, 2020 6:07 pm#3280
স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিট, সেক্টর, বিগ্রেড থেকে পাওয়া খেতাবের জন্য সুপারিশগুলো এয়ার ভাইস মার্শল একে খন্দকারের নেতৃত্বে একাটি কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা করা হয় । এরপর ১৯৭৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেতাব তালিকায় স্বাক্ষর করেন।
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সব মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ মুক্তিযোদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭জন
বীর-উত্তম: ৬৮জন
বীরবিক্রম: ১৭৫জন
বীরপ্রতিক: ৪২৬জন
১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয় । ২০০১ সালের ৭ মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয় । বাহিনীভিত্তিক খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা নিম্নরূপ –
সেনাবাহিনী: ২৮৮জন
নৌবাহিনী: ২৪ জন
বিমানবাহিনী: ২১জন
বাংলাদেশ রাইফেলস: ১৪৯ জন
পুলিশ: ৫জন
গণবাহিনী: ১৭৫ জন
মুজাহিদ/ আনসার: ১৪ জন
খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে দুজন মহিলা । পাঁচজন অবাঙালিও বীরত্বসূচক খেতাব পান, যাদেরমধ্যে একজন বিদেশি । বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ৩ জন সেনাবাহিনীর, ১জন নৌবাহিনীর ,১জন বিমানবাহিনীর এবং ২ জন ইপিআরের।
মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র আদিবাসী বীর বিক্রম ইউ কে চিং মারমা
বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউএস ওয়ারল্যান্ড।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত দুজন নারী তারামন বিবি (১১ নম্বর সেক্টর) ও ড. সেতারা বেগম (২ নম্বর সেক্টর) । মুক্তিযুদ্ধে বীরযোদ্ধা ,বীরাঙ্গনা, ও গুপ্তচর কাকন বিবি (খাসিয়া সম্প্রদায়ে জন্ম)। আসল নাম কাকন হেনইঞ্জিতা। স্বাধীনতার আগে তিনি এক মুসলমানকে বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করেন। নাম হয় কাকন ওরফে নুরজাহান।স্বামী মজিদ খান ছিলেন ইপিয়ার সৈনিক। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা করেন । কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি।
সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু (বীরপ্রতীক)
উল্লেখ্য, সর্বশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (কর্নেল জামিল নামে পরিচিত) । তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।তাই তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।মোট খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম ৬৯ জন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিছিন্নতাবাদীর বিরূদ্ধে লড়াইয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি হাসান সোহরাওয়ার্দী ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদকে বীরবিক্রম খেতাব দেওয়া হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধে ১৭৫ জন বীরবিক্রম খেতাব পেলেও মোট বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ১৭৭ জন।
বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা
৪ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মোট ২৩১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করল।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা
বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা পান একজন । বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা দেওয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পান ১৫ জন
মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পান ৩১২ জন ও ১০ টি সংগঠন।
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সব মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ মুক্তিযোদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭জন
বীর-উত্তম: ৬৮জন
বীরবিক্রম: ১৭৫জন
বীরপ্রতিক: ৪২৬জন
১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয় । ২০০১ সালের ৭ মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয় । বাহিনীভিত্তিক খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা নিম্নরূপ –
সেনাবাহিনী: ২৮৮জন
নৌবাহিনী: ২৪ জন
বিমানবাহিনী: ২১জন
বাংলাদেশ রাইফেলস: ১৪৯ জন
পুলিশ: ৫জন
গণবাহিনী: ১৭৫ জন
মুজাহিদ/ আনসার: ১৪ জন
খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে দুজন মহিলা । পাঁচজন অবাঙালিও বীরত্বসূচক খেতাব পান, যাদেরমধ্যে একজন বিদেশি । বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ৩ জন সেনাবাহিনীর, ১জন নৌবাহিনীর ,১জন বিমানবাহিনীর এবং ২ জন ইপিআরের।
মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র আদিবাসী বীর বিক্রম ইউ কে চিং মারমা
বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউএস ওয়ারল্যান্ড।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত দুজন নারী তারামন বিবি (১১ নম্বর সেক্টর) ও ড. সেতারা বেগম (২ নম্বর সেক্টর) । মুক্তিযুদ্ধে বীরযোদ্ধা ,বীরাঙ্গনা, ও গুপ্তচর কাকন বিবি (খাসিয়া সম্প্রদায়ে জন্ম)। আসল নাম কাকন হেনইঞ্জিতা। স্বাধীনতার আগে তিনি এক মুসলমানকে বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করেন। নাম হয় কাকন ওরফে নুরজাহান।স্বামী মজিদ খান ছিলেন ইপিয়ার সৈনিক। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা করেন । কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি।
সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু (বীরপ্রতীক)
উল্লেখ্য, সর্বশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (কর্নেল জামিল নামে পরিচিত) । তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।তাই তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।মোট খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম ৬৯ জন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিছিন্নতাবাদীর বিরূদ্ধে লড়াইয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি হাসান সোহরাওয়ার্দী ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদকে বীরবিক্রম খেতাব দেওয়া হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধে ১৭৫ জন বীরবিক্রম খেতাব পেলেও মোট বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ১৭৭ জন।
বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা
৪ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মোট ২৩১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করল।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা
বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা পান একজন । বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা দেওয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পান ১৫ জন
মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পান ৩১২ জন ও ১০ টি সংগঠন।