- Sat Sep 05, 2020 9:26 pm#3181
সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। গ্রহগুলো মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে।
সূর্য
সূর্যের ব্যাস ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার এবং এর ভর প্রায় ১.৯৯ X ১০¹³ কেজি । আয়তনে সূর্য পৃথিবীর চেয়ে ১৩ লক্ষ গুণ বড়। সূর্যের পৃষ্ঠভাগের উত্তাপ প্রায় ৬০০০° সেন্টিগ্রেড। সূর্যের উপাদান হাইড্রোজেন হিলিয়াম । সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা আটটি। বড় গ্রহ বৃহস্পতি। এজন্য একে গ্রহরাজও বলা হয় । আর সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ । বুধ সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ । শুক্র গ্রহ ভোরের আকাশে শুকতারা এবং সন্ধ্যার আকাশে সন্ধ্যাতারা নামে পরিচিত । শুক্র সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত ও উজ্জল গ্রহ । শুক্রে এসিড বৃষ্টি হয় । সব গ্রহ পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরলেও শুক্র পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবর্তিত হয় । পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ । শনির ভূতক বরফে ঢাকা । পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের বাকি সব গ্রহের নাম গ্রিক বা রোমান দেবতার নামানুসারে নেওয়া হয়েছে । পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। সর্বপ্রথম সৌরজগৎ আবিষ্কার করেন নিকোলাস কোপার্নিকাস। সৌরজগতের দ্রুততম গ্রহ বুধ। শুক্রকে বলা হয় পৃথিবীর যমজ গ্রহ । শনি গ্রহের হাজার বলয় আছে । ইউরেনাসকে বলা হয় সবুজ গ্রহ । ফেবোস ও ডিমোস মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ । চাঁদের তুলনায় পৃথিবী ৪৯ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২,৩৯,০০০ মাইল বা ৩,৬৮,০০০ কিলোমিটার । পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে একটি অভিগত গোলক । পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ৪৫০ কোটি বছর বা ৪৫০০ মিলিয়ন বছর । বৃহস্পতির সবচেয়ে বেশি ৭৯ টি উপগ্রহ আছে । শনির আছে ৬২ টি উপগ্রহ । সম্প্রতি ‘প্লানেট নাইন’ নামে নতুন একটি গ্রহের সন্ধান সৌরজগতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ
অমাবস্যার তিথিতে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে । এ সময় চাদঁ , পৃথিবীর ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে । ফলে চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর পড়ে, যা সূর্যগ্রহণ নামে পরিচিত। আবার পূর্ণিমার তিথিতে পৃথিবী চন্দ্র ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাদেঁর ওপর পড়ে । িএ ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে ।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
NASA: National Aeronautics and Space Administration । এটি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা , যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে । এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডেসিতে । নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নাম কেপকেনভিরাল । পূর্ব নাম কেপকেনেডি, যা ফ্লোরিডায় অবস্থিত ।
মহাকাশ অভিযান
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম মহাশূন্যে স্পুটনিক-১ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে । এটি মহাশূন্যে পাঠানো প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ । জীবন্ত প্রাণী বহনকারী প্রথম মহাশূন্যযান হলো স্পুটনিক-২। সোভিয়েত নির্মিত এই মহাশূন্যযানের যাত্রী ছিল কুকুর ।
পৃথিবীর প্রথম মহাশূন্যচারী মানুষ হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন। তিনি ১৯৬১ সালে ভস্টক-১ এ করে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন । প্রথম মহিলা মহাশূন্যচারী হলেন সোভিয়েতের ভেলেন্তিনা তেরেস্কোভা । তিনি ভস্টক-৬ এ করে ১৯৬৩ সালে মহাশূন্য যাত্রা করেন। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম মানুষ্যবাহী যান অ্যাপোলো-১১। এই অভিযানে অংশ নেন মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন অলড্রিন । ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানব হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠ পা রাখেন। মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে প্রেরিত একটি মার্কিন নভোযান হলো পাথ ফাইন্ডার । পাথ ফাইন্ডারের সঙ্গে পাঠানো রোবটের নাম সোয়ার্জনার । প্রথম রকেট আবিষ্কার করে রাশিয়া । চাঁদে পানির সন্ধান পাওয়া ভারতীয় মহাকাশযানটির নাম চন্দ্রযান-১। মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত আরেকটি মহাকাশযান হলো ভাইকিং । পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ হলো গ্যালিলিও । পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ কৃত্রিম উপগ্রহ আলিবার্ড হল ।
মহাকাশে প্রথম পর্যটক মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টিটো । মহাকাশে প্রথম নারী পর্যটক ইরানি বংশোদ্ভত মার্কিনি আনুশেহ আনসারি । মহাশূন্যে মনুষ্যবাহীযান উৎক্ষেপণ কারী তৃতীয় দেশ চীন । মহাশূন্যের বিভিন্ন চিত্র গ্রহণের জন্য ১৯৯০ সালে NASA এবং ESA (European Space Agency) এর যৌথ উদ্যেগে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয় টেলিস্কোপ ।প্রথম বেসরকারী মহাকাশযানের নাম ‘ড্রাগন’।
Big Bang Theory
বিগব্যাং Theory-র প্রবক্তা বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী লেমেটার । ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্বের ব্যাখা উপস্থাপন করেন স্টিফেন হকিং । যিনি ‘A brief history of time’ গ্রন্থের লেখক । বিজ্ঞানী হাবল মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলেন – মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে ।
টলমি: টলেমি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন বিখ্যাত রোমান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ । তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Almagest’ ।
গ্যালিলিও : তিনি ছিলেন ইতালীয় পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদ । গ্যালিলিওকে বলা হয় আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক ।
সূর্য
সূর্যের ব্যাস ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার এবং এর ভর প্রায় ১.৯৯ X ১০¹³ কেজি । আয়তনে সূর্য পৃথিবীর চেয়ে ১৩ লক্ষ গুণ বড়। সূর্যের পৃষ্ঠভাগের উত্তাপ প্রায় ৬০০০° সেন্টিগ্রেড। সূর্যের উপাদান হাইড্রোজেন হিলিয়াম । সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা আটটি। বড় গ্রহ বৃহস্পতি। এজন্য একে গ্রহরাজও বলা হয় । আর সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ । বুধ সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ । শুক্র গ্রহ ভোরের আকাশে শুকতারা এবং সন্ধ্যার আকাশে সন্ধ্যাতারা নামে পরিচিত । শুক্র সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত ও উজ্জল গ্রহ । শুক্রে এসিড বৃষ্টি হয় । সব গ্রহ পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরলেও শুক্র পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবর্তিত হয় । পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ । শনির ভূতক বরফে ঢাকা । পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের বাকি সব গ্রহের নাম গ্রিক বা রোমান দেবতার নামানুসারে নেওয়া হয়েছে । পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। সর্বপ্রথম সৌরজগৎ আবিষ্কার করেন নিকোলাস কোপার্নিকাস। সৌরজগতের দ্রুততম গ্রহ বুধ। শুক্রকে বলা হয় পৃথিবীর যমজ গ্রহ । শনি গ্রহের হাজার বলয় আছে । ইউরেনাসকে বলা হয় সবুজ গ্রহ । ফেবোস ও ডিমোস মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ । চাঁদের তুলনায় পৃথিবী ৪৯ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২,৩৯,০০০ মাইল বা ৩,৬৮,০০০ কিলোমিটার । পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে একটি অভিগত গোলক । পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ৪৫০ কোটি বছর বা ৪৫০০ মিলিয়ন বছর । বৃহস্পতির সবচেয়ে বেশি ৭৯ টি উপগ্রহ আছে । শনির আছে ৬২ টি উপগ্রহ । সম্প্রতি ‘প্লানেট নাইন’ নামে নতুন একটি গ্রহের সন্ধান সৌরজগতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ
অমাবস্যার তিথিতে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে । এ সময় চাদঁ , পৃথিবীর ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে । ফলে চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর পড়ে, যা সূর্যগ্রহণ নামে পরিচিত। আবার পূর্ণিমার তিথিতে পৃথিবী চন্দ্র ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাদেঁর ওপর পড়ে । িএ ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে ।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
NASA: National Aeronautics and Space Administration । এটি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা , যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে । এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডেসিতে । নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নাম কেপকেনভিরাল । পূর্ব নাম কেপকেনেডি, যা ফ্লোরিডায় অবস্থিত ।
মহাকাশ অভিযান
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম মহাশূন্যে স্পুটনিক-১ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে । এটি মহাশূন্যে পাঠানো প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ । জীবন্ত প্রাণী বহনকারী প্রথম মহাশূন্যযান হলো স্পুটনিক-২। সোভিয়েত নির্মিত এই মহাশূন্যযানের যাত্রী ছিল কুকুর ।
পৃথিবীর প্রথম মহাশূন্যচারী মানুষ হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন। তিনি ১৯৬১ সালে ভস্টক-১ এ করে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন । প্রথম মহিলা মহাশূন্যচারী হলেন সোভিয়েতের ভেলেন্তিনা তেরেস্কোভা । তিনি ভস্টক-৬ এ করে ১৯৬৩ সালে মহাশূন্য যাত্রা করেন। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম মানুষ্যবাহী যান অ্যাপোলো-১১। এই অভিযানে অংশ নেন মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন অলড্রিন । ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানব হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠ পা রাখেন। মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে প্রেরিত একটি মার্কিন নভোযান হলো পাথ ফাইন্ডার । পাথ ফাইন্ডারের সঙ্গে পাঠানো রোবটের নাম সোয়ার্জনার । প্রথম রকেট আবিষ্কার করে রাশিয়া । চাঁদে পানির সন্ধান পাওয়া ভারতীয় মহাকাশযানটির নাম চন্দ্রযান-১। মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত আরেকটি মহাকাশযান হলো ভাইকিং । পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ হলো গ্যালিলিও । পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ কৃত্রিম উপগ্রহ আলিবার্ড হল ।
মহাকাশে প্রথম পর্যটক মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টিটো । মহাকাশে প্রথম নারী পর্যটক ইরানি বংশোদ্ভত মার্কিনি আনুশেহ আনসারি । মহাশূন্যে মনুষ্যবাহীযান উৎক্ষেপণ কারী তৃতীয় দেশ চীন । মহাশূন্যের বিভিন্ন চিত্র গ্রহণের জন্য ১৯৯০ সালে NASA এবং ESA (European Space Agency) এর যৌথ উদ্যেগে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয় টেলিস্কোপ ।প্রথম বেসরকারী মহাকাশযানের নাম ‘ড্রাগন’।
Big Bang Theory
বিগব্যাং Theory-র প্রবক্তা বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী লেমেটার । ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্বের ব্যাখা উপস্থাপন করেন স্টিফেন হকিং । যিনি ‘A brief history of time’ গ্রন্থের লেখক । বিজ্ঞানী হাবল মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলেন – মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে ।
টলমি: টলেমি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন বিখ্যাত রোমান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ । তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Almagest’ ।
গ্যালিলিও : তিনি ছিলেন ইতালীয় পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদ । গ্যালিলিওকে বলা হয় আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক ।