- Wed Aug 26, 2020 9:48 am#3092
সোনালি আঁশে সমৃদ্ধ অর্থনীতির স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের সকল পাটকল রাষ্ট্রায়ত্তকরণ করা হয়। কিন্তু ধারাবাহিক লোকসানের কারণে এবং বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানসহ পাটখাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (BJMC)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহ ১ জুলাই ২০২০ থেকে বন্ধ ঘোষণা করে।
ঐতিহাসিক পটভূমি
১৯৫২ সালে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে বাওয়া জুট মিলস লিমিটেড স্থাপনের মধ্য দিয়ে এতদাঞ্চলে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে জুট মিলের সংখ্যা ছিল ৭৫টি। ২৬ মার্চ ১৯৭২ রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৭ (The Bangladesh Industrial Enterprises Nationalization Order, 1972) অনুযায়ী, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও পরিত্যক্ত পাটকলসহ সাবেক East Pakistan Industrial Development Corporation (EPIDC) এর মোট ৬৭টি পাটকলের তদারকি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (BJMC) গঠিত হয়। ১৯৮১ সালে BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮২টি।
সরকার ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, ১৯৮২ সালের পর মোট ৮২টি পাটকলের মধ্যে ৩৫টি পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ, ৮টি পাটকলের পুঁজি প্রত্যাহার এবং ১টি পাটকল (বনানী) ময়মনসিংহ পাটকলের সাথে একীভূত করায় BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা কমে ৩৮টিতে দাঁড়ায়।
১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের বিত্তিতে পাটখাতে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি পাটকল।
বন্ধ/বিক্রয়/একীভূত করা হয়। ২২ জুন ২০০২ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর পূর্বে বন্ধ ঘোষিত ২টি পাটকল ২০১১ সালে।
নতুন নামে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় এবং ২০১৩ সালে ৩টি পাটকলের পুনরোৎপাদন শুরু করা হয়। সর্বশেষ BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকলের সংখ্যা ছিল ২৬টি।
গোল্ডেন হান্ডশেকে পাওনা পরিশোধ
গোল্ডেন হান্ডশেক সুবিধার আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহে কর্মরত (২৪,৮৮৬ জন) শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা এককালীন পরিশোধ করা হবে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩,৮৬,০০০ টাকা করে এবং সর্বোচ্চ ৫৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন। একই সাথে ২০১৩ সাল হতে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের (৮,৯৫৬ জন) ও বদলি শ্রমিকদের সমুদয় পাওনাও একত্রে পরিশোধ করা হবে। কেবল তাই নয়, শ্রমিকদের পাওনার অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে দেয়া হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের জন্য একটি বাড়তি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে।
বন্ধকৃত ২৬ পাটকল
ঢাকা
করিম জুট মিলস লি. ডেমরা
লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লি. ডেমরা
নারায়ণগঞ্জ
জুটো ফাইবার গ্ল্যাস ইন্ডাস্ট্রিজ লি.(নন.জুট), রূপগঞ্জ
মনোয়ার জুট মিলস লি., সিদ্ধিরগঞ্জ
নরসিংদী
বাংলাদেশ জুট মিলস লি., ঘোড়াশাল
ইউএমসি জুট মিলস লি.
চট্টগ্রাম
আমিন জুট মিলস., ষোলশহর
গুল আহমদ জুট মিলস লি., কুমিরা, বারবকুন্ড
হাফিজ জুট মিলস., বার আউলিয়া
এম, এম জুট মিলস., বাঁশবাড়িয়া
আর আর জুট মিলস., বাঁশবাড়িয়া
বাগদাদ-ঢাকা-কার্পেট ফ্যাক্টরি লি., নর্থ কা্ট্টলী
কেএফডি লি., রাঙ্গুনিয়া
গালফ্রা হাবিব লি., নাসিরাবাদ
মিলস ফার্নিসিং লি., নাসিরাবাদ
রাজশাহী
রাজশাহী জুট মিলস লি., শ্যামপুর
সিরাজগঞ্জ
জাতীয় জুট মিলস., রায়পুর
খুলনা
ইস্টার্ন জুট মিলস লি., আটরা শিল্প এলাকা
আলীম জুট মিলস লি., আটরা শিল্প এলাকা
ক্রিসেন্ট জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
খালিমপুর জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
দৌলতপুর জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
স্টার জুট মিলস লি., চন্দনী মহল
যশোর
কার্পেটিং জুট মিলস লি., রাজঘাট, নোয়াপাড়া
যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রাজঘাট, নোয়াপাড়া
ঐতিহাসিক পটভূমি
১৯৫২ সালে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে বাওয়া জুট মিলস লিমিটেড স্থাপনের মধ্য দিয়ে এতদাঞ্চলে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে জুট মিলের সংখ্যা ছিল ৭৫টি। ২৬ মার্চ ১৯৭২ রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৭ (The Bangladesh Industrial Enterprises Nationalization Order, 1972) অনুযায়ী, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও পরিত্যক্ত পাটকলসহ সাবেক East Pakistan Industrial Development Corporation (EPIDC) এর মোট ৬৭টি পাটকলের তদারকি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (BJMC) গঠিত হয়। ১৯৮১ সালে BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮২টি।
সরকার ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, ১৯৮২ সালের পর মোট ৮২টি পাটকলের মধ্যে ৩৫টি পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ, ৮টি পাটকলের পুঁজি প্রত্যাহার এবং ১টি পাটকল (বনানী) ময়মনসিংহ পাটকলের সাথে একীভূত করায় BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা কমে ৩৮টিতে দাঁড়ায়।
১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের বিত্তিতে পাটখাতে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি পাটকল।
বন্ধ/বিক্রয়/একীভূত করা হয়। ২২ জুন ২০০২ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর পূর্বে বন্ধ ঘোষিত ২টি পাটকল ২০১১ সালে।
নতুন নামে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় এবং ২০১৩ সালে ৩টি পাটকলের পুনরোৎপাদন শুরু করা হয়। সর্বশেষ BJMC’র নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকলের সংখ্যা ছিল ২৬টি।
গোল্ডেন হান্ডশেকে পাওনা পরিশোধ
গোল্ডেন হান্ডশেক সুবিধার আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহে কর্মরত (২৪,৮৮৬ জন) শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা এককালীন পরিশোধ করা হবে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩,৮৬,০০০ টাকা করে এবং সর্বোচ্চ ৫৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন। একই সাথে ২০১৩ সাল হতে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের (৮,৯৫৬ জন) ও বদলি শ্রমিকদের সমুদয় পাওনাও একত্রে পরিশোধ করা হবে। কেবল তাই নয়, শ্রমিকদের পাওনার অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে দেয়া হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের জন্য একটি বাড়তি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে।
বন্ধকৃত ২৬ পাটকল
ঢাকা
করিম জুট মিলস লি. ডেমরা
লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লি. ডেমরা
নারায়ণগঞ্জ
জুটো ফাইবার গ্ল্যাস ইন্ডাস্ট্রিজ লি.(নন.জুট), রূপগঞ্জ
মনোয়ার জুট মিলস লি., সিদ্ধিরগঞ্জ
নরসিংদী
বাংলাদেশ জুট মিলস লি., ঘোড়াশাল
ইউএমসি জুট মিলস লি.
চট্টগ্রাম
আমিন জুট মিলস., ষোলশহর
গুল আহমদ জুট মিলস লি., কুমিরা, বারবকুন্ড
হাফিজ জুট মিলস., বার আউলিয়া
এম, এম জুট মিলস., বাঁশবাড়িয়া
আর আর জুট মিলস., বাঁশবাড়িয়া
বাগদাদ-ঢাকা-কার্পেট ফ্যাক্টরি লি., নর্থ কা্ট্টলী
কেএফডি লি., রাঙ্গুনিয়া
গালফ্রা হাবিব লি., নাসিরাবাদ
মিলস ফার্নিসিং লি., নাসিরাবাদ
রাজশাহী
রাজশাহী জুট মিলস লি., শ্যামপুর
সিরাজগঞ্জ
জাতীয় জুট মিলস., রায়পুর
খুলনা
ইস্টার্ন জুট মিলস লি., আটরা শিল্প এলাকা
আলীম জুট মিলস লি., আটরা শিল্প এলাকা
ক্রিসেন্ট জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
খালিমপুর জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
দৌলতপুর জুট মিলস লি., টাউন খালিশপুর
স্টার জুট মিলস লি., চন্দনী মহল
যশোর
কার্পেটিং জুট মিলস লি., রাজঘাট, নোয়াপাড়া
যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রাজঘাট, নোয়াপাড়া