- Fri Mar 27, 2020 11:58 am#2465
সারা বিশ্বের নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব ঘটেছে। দেখা যাচ্ছে, যা ছিল প্রাণীর রোগ, তাতে এখন আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। যেমন সোয়াইন ফ্লু- মূলত শূকরের রোগ। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন হয়ে নতুন ভাইরাসের সৃষ্টি হয়। নতুন ভাইরাস অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কিন্তু মানুষের সংস্পর্শে এলে তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। যেমন- নিপাহ ভাইরাস। এ ভাইরাস বাদুড় বহন করে কিন্তু বাদুড় থেকে মানুষে এলেই সমস্যা তৈরি করে। এরকম কত রোগ প্রাণী থেকে মানুষে আসছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ১০ বছর আগে ঢাকার একটি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি-আটলান্টা) সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ-এর সহকারী পরিচালক পিটার বি রোল্যান্ড তার উপস্থাপনায় বলেছিলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ জীবাণু দ্বারা মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে। এসব জীবাণুর ৬১%’র উৎস প্রাণিজগৎ। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মানুষ ৮৭টি নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
নতুন রোগের সংক্রমণ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরে ৩-৪টি নতুন রোগের আবির্ভাব ঘটেছে। আবার পুরনো কিছু রোগ নতুন করেও আবির্ভূত হচ্ছে। ১৯৭০ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বে আলোচিত নতুন রোগের সংখ্যা ৩২টি, যার মধ্যে ১৮টি রোগ বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে শনাক্ত নতুন রোগ
রোগের নাম – শনাক্ত
১. জাপানিজ এনসেফালাইটিস – ১৯৭৭
২. এইচআইভি/এইডস – ১৯৮৯
৩. রোটা ভাইরাস – ১৯৯০
৪. পোলিও পি-১ ও পি-৩ – ১৯৯৬
৫. ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা – ১৯৯৭
৬. ডেঙ্গু – ২০০০
৭. লেপটোসিরোসিস – ২০০০
৮. নিপাহ ভাইরাস – ২০০১
৯. H5N1 (পোলট্রিতে) – ২০০৭
১০. H5N1(মানুষে) – ২০০৮
১১. চিকুনগুনিয়া – ২০০৮
১২. H1N1 (সোয়াইন ফ্লু) – ২০০৯
১৩। কিউট্যানিয়াস অ্যাথ্রাক্স – ২০০৯
১৪. H9N2 – ২০১১
১৫. নোরো ভাইরাস – ২০১৩
১৬. জিকা ভাইরাস – ২০১৪
১৭. নেগলেরিয়া ফাউলোরি – ২০১৪
১৮. ক্যানডিডা আউরিস*(ওষুধপ্রতিরোধী ছত্রাক) – ২০১৬
ব্রাজিলে নতুন ভাইরাস
সম্প্রতি ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এটি সম্পূর্ণ অস্বীকৃত জিন থেকে সৃষ্টি, যার ৯০ শতাংশই বিজ্ঞানীদের অজানা। আজ পর্যন্ত যেসব গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে তাতে এ ভাইরাসের বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিজ্ঞানীরা নতুন প্রজাতির এ ভাইরাসটির নাম দিয়েছেন ‘ইয়ারাভাইরাস ব্রাসিলিয়েনসিস’ বা ’ইয়ারাভাইরাস’ (Yaravirus)। ব্রাজিলের উপকথার দেবতার নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়। ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরের পামপুলহা লেক থেকে নতুন প্রজাতির এ ভাইরাস আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।
সাম্প্রতিক বছরে বিভিন্ন প্রজাতির ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি প্রজাতির নাম দেয়া হয়েছে জায়ান্টা ভাইরাস। তবে মানবদেহের ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য নয়, অপেক্ষাকৃত বড় প্রোটিন সেলের কারণে এ নাম দিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এ জায়ান্টা ভাইরাসের জিনোম (জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা) জটিল প্রকৃতির। তাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের ধারণার বাইরে বা সাধারণ ভাইরাসের মতো নয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, নিজস্ব ডিএনএ পুনর্গঠন বা নকল করতে সক্ষম এ ভাইরাস। তবে নতুন আবিষ্কৃত ইয়ারাভাইরাস জায়ান্টা ভাইরাস থেকে ভিন্ন।
নতুন রোগের সংক্রমণ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরে ৩-৪টি নতুন রোগের আবির্ভাব ঘটেছে। আবার পুরনো কিছু রোগ নতুন করেও আবির্ভূত হচ্ছে। ১৯৭০ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বে আলোচিত নতুন রোগের সংখ্যা ৩২টি, যার মধ্যে ১৮টি রোগ বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে শনাক্ত নতুন রোগ
রোগের নাম – শনাক্ত
১. জাপানিজ এনসেফালাইটিস – ১৯৭৭
২. এইচআইভি/এইডস – ১৯৮৯
৩. রোটা ভাইরাস – ১৯৯০
৪. পোলিও পি-১ ও পি-৩ – ১৯৯৬
৫. ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা – ১৯৯৭
৬. ডেঙ্গু – ২০০০
৭. লেপটোসিরোসিস – ২০০০
৮. নিপাহ ভাইরাস – ২০০১
৯. H5N1 (পোলট্রিতে) – ২০০৭
১০. H5N1(মানুষে) – ২০০৮
১১. চিকুনগুনিয়া – ২০০৮
১২. H1N1 (সোয়াইন ফ্লু) – ২০০৯
১৩। কিউট্যানিয়াস অ্যাথ্রাক্স – ২০০৯
১৪. H9N2 – ২০১১
১৫. নোরো ভাইরাস – ২০১৩
১৬. জিকা ভাইরাস – ২০১৪
১৭. নেগলেরিয়া ফাউলোরি – ২০১৪
১৮. ক্যানডিডা আউরিস*(ওষুধপ্রতিরোধী ছত্রাক) – ২০১৬
ব্রাজিলে নতুন ভাইরাস
সম্প্রতি ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এটি সম্পূর্ণ অস্বীকৃত জিন থেকে সৃষ্টি, যার ৯০ শতাংশই বিজ্ঞানীদের অজানা। আজ পর্যন্ত যেসব গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে তাতে এ ভাইরাসের বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিজ্ঞানীরা নতুন প্রজাতির এ ভাইরাসটির নাম দিয়েছেন ‘ইয়ারাভাইরাস ব্রাসিলিয়েনসিস’ বা ’ইয়ারাভাইরাস’ (Yaravirus)। ব্রাজিলের উপকথার দেবতার নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়। ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরের পামপুলহা লেক থেকে নতুন প্রজাতির এ ভাইরাস আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।
সাম্প্রতিক বছরে বিভিন্ন প্রজাতির ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি প্রজাতির নাম দেয়া হয়েছে জায়ান্টা ভাইরাস। তবে মানবদেহের ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য নয়, অপেক্ষাকৃত বড় প্রোটিন সেলের কারণে এ নাম দিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এ জায়ান্টা ভাইরাসের জিনোম (জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা) জটিল প্রকৃতির। তাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের ধারণার বাইরে বা সাধারণ ভাইরাসের মতো নয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, নিজস্ব ডিএনএ পুনর্গঠন বা নকল করতে সক্ষম এ ভাইরাস। তবে নতুন আবিষ্কৃত ইয়ারাভাইরাস জায়ান্টা ভাইরাস থেকে ভিন্ন।