- Sat Mar 07, 2020 1:12 pm#2393
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষী বুদ্ধিজীবীরা বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে দাবি ওঠে, বাংলাকেও অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যার ফলে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে সালাম-রফিক-জব্বার-বরকতসহ ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়। সেই রক্ত রঞ্জিত বাংলা ভাষা এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাপৃত।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়ে ৯ জানুয়ারি ১৯৯৮ কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি দেন। ২৩ জানুয়ারি ১৯৯৮ জাতিসংঘ থেকে ঐ উত্তরে তাকে জানানো হয় যে, নিয়ম অনুযায়ী এ সংস্থা কোনো ব্যক্তির আবেদন বিবেচনায় নিতে পারে না। আবেদন আসতে হবে জাতিসংঘের যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম কানাডা প্রবাসী আরেক বাংলাদেশি নাগরিক আবদুস সালামসহ সাতটি ভিন্ন ভাষার ১০জন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তোলেন The Mother Language Lovers of the World নামের একটি সংগঠন। ২৯ মার্চ ১৯৯৮ এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত সেই একই প্রস্তাব জাতিসংঘে পাঠানো হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের অফিস থেকে জানানো হয় যে, এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে প্যারিসে অবস্থিত সংস্থার শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা UNESCO ‘র সদর দপ্তরে। ৪ এপ্রিল ১৯৯৯ UNESCO পাঁচটি দেশের নাম এবং তাদের UNESCO অফিসের ঠিকানা দিয়ে ঐ সব দেশকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপনের অনুরোধ জানায়। দেশ পাঁচটি হচ্ছে- কানাডা, ভারত, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং বাংলাদেশ । অবশেষে UNESCO ‘র দ্বিবার্ষিক ৩০তম সাধানণ সভার শেষ দিন, অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় এবং সেদিনই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি
UNESCO ‘র পর জাতিসংঘও একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট
বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং বাংলাসহ পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (IMLI) । এটি ঢাকর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত। ৭ নভেম্বর ২০১৫ UNESCO ‘র ৩৮তম সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে UNESCO ‘র দ্বিতীয় শ্রেণির (ক্যাটাগরি-২) প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
তিন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা
বর্তমান বিশ্বের বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের সরকারি ভাষা বাংলা। অন্য দুটি দেশ হলো ভারত ও সিয়েরা লিওন।
ভারতে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা। শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ গঠনে বাঙালি সৈনিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ ডিসেম্বর ২০০২ সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা (সম্মানসূচক) হিসেবে ঘোষণা দেন।
বাংলা ভাষা
উইকিপিডিয়া: উইকিপিডিয়া একটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত বিশ্বকোষ্। ১৫ জানুয়ারি ২০০১ অনলাইন বিশ্বকোষটি যাত্রা শুরু করে। ২০০৪ সালে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষার সংস্করণ চালু হয়।
ফেসবুক: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলা ভাষা যুক্ত করে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়ে ৯ জানুয়ারি ১৯৯৮ কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি দেন। ২৩ জানুয়ারি ১৯৯৮ জাতিসংঘ থেকে ঐ উত্তরে তাকে জানানো হয় যে, নিয়ম অনুযায়ী এ সংস্থা কোনো ব্যক্তির আবেদন বিবেচনায় নিতে পারে না। আবেদন আসতে হবে জাতিসংঘের যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম কানাডা প্রবাসী আরেক বাংলাদেশি নাগরিক আবদুস সালামসহ সাতটি ভিন্ন ভাষার ১০জন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তোলেন The Mother Language Lovers of the World নামের একটি সংগঠন। ২৯ মার্চ ১৯৯৮ এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত সেই একই প্রস্তাব জাতিসংঘে পাঠানো হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের অফিস থেকে জানানো হয় যে, এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে প্যারিসে অবস্থিত সংস্থার শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা UNESCO ‘র সদর দপ্তরে। ৪ এপ্রিল ১৯৯৯ UNESCO পাঁচটি দেশের নাম এবং তাদের UNESCO অফিসের ঠিকানা দিয়ে ঐ সব দেশকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপনের অনুরোধ জানায়। দেশ পাঁচটি হচ্ছে- কানাডা, ভারত, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং বাংলাদেশ । অবশেষে UNESCO ‘র দ্বিবার্ষিক ৩০তম সাধানণ সভার শেষ দিন, অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় এবং সেদিনই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি
UNESCO ‘র পর জাতিসংঘও একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট
বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং বাংলাসহ পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (IMLI) । এটি ঢাকর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত। ৭ নভেম্বর ২০১৫ UNESCO ‘র ৩৮তম সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে UNESCO ‘র দ্বিতীয় শ্রেণির (ক্যাটাগরি-২) প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
তিন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা
বর্তমান বিশ্বের বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের সরকারি ভাষা বাংলা। অন্য দুটি দেশ হলো ভারত ও সিয়েরা লিওন।
ভারতে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা। শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ গঠনে বাঙালি সৈনিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ ডিসেম্বর ২০০২ সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা (সম্মানসূচক) হিসেবে ঘোষণা দেন।
বাংলা ভাষা
উইকিপিডিয়া: উইকিপিডিয়া একটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত বিশ্বকোষ্। ১৫ জানুয়ারি ২০০১ অনলাইন বিশ্বকোষটি যাত্রা শুরু করে। ২০০৪ সালে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষার সংস্করণ চালু হয়।
ফেসবুক: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলা ভাষা যুক্ত করে।