- Sat Mar 07, 2020 12:07 pm#2392
রাশিয়া
উৎপদনে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ বিশ্বের প্রথম ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার আকাদেমিক লোমোনোসভ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। রাশিয়া ও বিশ্ব পারমাণবিক শিল্পে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলে আকাদেমিক লোমোনোসভ হবে রাশিয়ার ১১তম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প। দেশটির উত্তরাঞ্চল ও দূরপ্রাচ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি এ প্রকল্প থেকে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা আছে। এ প্রকল্প ১৪৪ মিটার দীর্ঘ ও ৩০ মিটার প্রশস্তবিশিষ্ট। ভাসমান আকাদেমিক লোমোনোসভে দুটি KLT-40S রি-অ্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, যার প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট। ক্ষুদ্র মডিউলার রি-অ্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জলে বা স্থলে কাজ করতে সক্ষম। এ প্রকল্প রিফুয়েলিং ছাড়াই অনবরত তিন থেকে পাঁ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ রাশিয়া প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাভানগার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করে। পার্বত্যাঞ্চল উরালের অরেনবার্গ এলাকায় এ ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট মোতায়েনের মাধ্যমে রাশিয়া সামরিক সক্ষমতায় আরও এগিয়ে গেলো। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় হাইপারসনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা প্রথম কোনো দেশ রাশিয়া। বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছে সুপারসনিক অস্ত্রও নেই, আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তো দূরের কথা। অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি ২০০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতার সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করা হয়, যা দুই মেগাটনেরও বেশি ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারবে।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় উরাল পর্বতমালার দমবারোভস্কি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি থেকে চালানো ঐ পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩,৭০০ মাইল বা ৬,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।
সংবিধান পরিবর্তনের পথে পুতিন
যোসেফ স্ট্যালিনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় বিশ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পুতিন কখনো প্রেসিডেন্ট, কখনো বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাশিয়ার পুরো একটি প্রজন্ম পুতিনকে ছাড়া অন্য কোনো শাসক দেখেনি। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার বার্ষিক ’স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। তিনি এ পরিবর্তনের জন্য দেশজুড়ে গণভোটের প্রস্তাব করেন। ১৭ মার্চ ১৯৯৩’র পর এটাই হবে এ ধরনের প্রথম গণভোট।
সংবিধান পরিবর্তনে পুতিনের প্রস্তাব
• প্রেসিডেন্টের হাত থেকে ক্ষমতা পার্লামেন্টে স্থানান্তর করা।
• পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষকে আরো ক্ষমতাশালী করা, যাতে পার্লামেন্ট রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষমতা পায়।
• আন্তর্জাতিক আইনের দাপট কমানো।
• প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের নিয়ম সংশোধন করা।
• বিদেশি নাগরিকত্ব কিংবা বিদেশে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধকরণ আইন আরো সুসংহত করা।
• স্টেট কাউন্সিলকে সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক সংস্থা হিসেবে সংবিধানে স্থান দেয়া।
সরকারের পদত্যাগ ও নতুন প্রধানমন্ত্রী
পুতিনের সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের নেতৃত্বে পুরো রুশ সরকার পদত্যাগ করেন। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন রাজনৈতিভাবে অনভিজ্ঞ কর পরিষেবা প্রধান মিখাইল মিশুস্তিন।
সন্তান নিলেই ৬.৫ লাখ টাকা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের জন্মহার কমে যাওয়াকে ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষনে সন্তান জন্ম দেয়া নতুন মা-বাবার জন্য আর্থিক প্রণোদনারও অঙ্গীকার করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য মা-বাবারা এককালীন ৭,৬০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা পাবেন। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে মা-বাবাকে এ পরিমাণ টাকা দেয়া হচ্ছে। পুতিন জানান, অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া শিশু সন্তান আছে এমন দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। বর্তমানে শিশুর তিন বছর বয়স পর্যন্ত টাকা পেয়ে থাকেন মা-বাবা। নতুন পরিকল্পনায় শিশুর বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত টাকা পাবেন তারা।
উৎপদনে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ বিশ্বের প্রথম ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার আকাদেমিক লোমোনোসভ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। রাশিয়া ও বিশ্ব পারমাণবিক শিল্পে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলে আকাদেমিক লোমোনোসভ হবে রাশিয়ার ১১তম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প। দেশটির উত্তরাঞ্চল ও দূরপ্রাচ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি এ প্রকল্প থেকে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা আছে। এ প্রকল্প ১৪৪ মিটার দীর্ঘ ও ৩০ মিটার প্রশস্তবিশিষ্ট। ভাসমান আকাদেমিক লোমোনোসভে দুটি KLT-40S রি-অ্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, যার প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট। ক্ষুদ্র মডিউলার রি-অ্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জলে বা স্থলে কাজ করতে সক্ষম। এ প্রকল্প রিফুয়েলিং ছাড়াই অনবরত তিন থেকে পাঁ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ রাশিয়া প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাভানগার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করে। পার্বত্যাঞ্চল উরালের অরেনবার্গ এলাকায় এ ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট মোতায়েনের মাধ্যমে রাশিয়া সামরিক সক্ষমতায় আরও এগিয়ে গেলো। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় হাইপারসনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা প্রথম কোনো দেশ রাশিয়া। বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছে সুপারসনিক অস্ত্রও নেই, আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তো দূরের কথা। অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি ২০০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতার সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করা হয়, যা দুই মেগাটনেরও বেশি ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারবে।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় উরাল পর্বতমালার দমবারোভস্কি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি থেকে চালানো ঐ পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩,৭০০ মাইল বা ৬,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।
সংবিধান পরিবর্তনের পথে পুতিন
যোসেফ স্ট্যালিনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় বিশ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পুতিন কখনো প্রেসিডেন্ট, কখনো বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাশিয়ার পুরো একটি প্রজন্ম পুতিনকে ছাড়া অন্য কোনো শাসক দেখেনি। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার বার্ষিক ’স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। তিনি এ পরিবর্তনের জন্য দেশজুড়ে গণভোটের প্রস্তাব করেন। ১৭ মার্চ ১৯৯৩’র পর এটাই হবে এ ধরনের প্রথম গণভোট।
সংবিধান পরিবর্তনে পুতিনের প্রস্তাব
• প্রেসিডেন্টের হাত থেকে ক্ষমতা পার্লামেন্টে স্থানান্তর করা।
• পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষকে আরো ক্ষমতাশালী করা, যাতে পার্লামেন্ট রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষমতা পায়।
• আন্তর্জাতিক আইনের দাপট কমানো।
• প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের নিয়ম সংশোধন করা।
• বিদেশি নাগরিকত্ব কিংবা বিদেশে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধকরণ আইন আরো সুসংহত করা।
• স্টেট কাউন্সিলকে সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক সংস্থা হিসেবে সংবিধানে স্থান দেয়া।
সরকারের পদত্যাগ ও নতুন প্রধানমন্ত্রী
পুতিনের সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের নেতৃত্বে পুরো রুশ সরকার পদত্যাগ করেন। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন রাজনৈতিভাবে অনভিজ্ঞ কর পরিষেবা প্রধান মিখাইল মিশুস্তিন।
সন্তান নিলেই ৬.৫ লাখ টাকা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের জন্মহার কমে যাওয়াকে ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষনে সন্তান জন্ম দেয়া নতুন মা-বাবার জন্য আর্থিক প্রণোদনারও অঙ্গীকার করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য মা-বাবারা এককালীন ৭,৬০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা পাবেন। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে মা-বাবাকে এ পরিমাণ টাকা দেয়া হচ্ছে। পুতিন জানান, অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া শিশু সন্তান আছে এমন দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। বর্তমানে শিশুর তিন বছর বয়স পর্যন্ত টাকা পেয়ে থাকেন মা-বাবা। নতুন পরিকল্পনায় শিশুর বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত টাকা পাবেন তারা।