- Sat Mar 07, 2020 9:57 am#2391
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে নতুন এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসকে করোনাভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর নাম দেয়া হয় 2019 Novel Corona Virus (2019-nCoV) । সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (SARS) মতো এ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে বলে ২১ জানুয়ারি ২০২০ প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ২০০২-২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ঐ সময় চীনের মূল ভূখণ্ডে ও হংকংয়ে প্রায় আট শতাধিক মানুষ মারা যায়। এবার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর বেইজিংসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাস ছড়েয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ডেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এতটাই মারাত্নক রূপ ধারণ করেছে যে, আফ্রিকার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের মতো স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা জারির চিন্তা-ভাবনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) । এ বিষয়ে ২২ জানুয়ারি ২০২০ জরুরি বৈঠক করে সংস্থাটি ভাইরাসটির ব্যাপারে জরুরি সতর্কতা জারি করে।
করোনাভাইরাস কী
১৯৬০ সালে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এটা মূলত ভাইরাসের বড় একটি গোত্র। বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতির সংক্রমণ ঘটেছে তা এর আগে দেখা যায়নি। ভাইরাসটি মানুষ এবং পশু উভয়ের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কোনো রকম স্পর্শ ছাড়াই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় ভাইরাসটি। সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (SARS) ভাইরাসের সঙ্গে বর্তমান ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্যের ৮০% মিল রয়েছে। তবে সার্সের মতো আগ্রাসী নয় এ ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি
2019 Novel Corona Virus (2019-nCoV) এটা করোনাভাইরাসের সপ্তম বৃহৎ প্রজাতি। চীনের উহানে নতুন এ প্রজাতি শনাক্ত হয়।
• প্রথম সংক্রমণ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
• প্রথম চিহ্নিত হয় ৭ জানুয়ারি ২০২০
• ভাইরাস ছড়ায় চীনের উহানের সামুদ্রিক খাবার বা পশুপাখির বাজার থেকে।
সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণসমূহ
• জ্বর
• কাশি
• শ্বাসকষ্ট
• শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
• পেটে জ্বালাপোড়া
• পাতলা পায়খানা
মারাত্নক লক্ষণ
• নিউমোনিয়া
• সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম
• কিডনি বিকল
• মৃত্যু
চিচিৎসা
• করোনাভাইরাসের জন্য কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ নেই।
• চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ২০০২-২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ঐ সময় চীনের মূল ভূখণ্ডে ও হংকংয়ে প্রায় আট শতাধিক মানুষ মারা যায়। এবার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর বেইজিংসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাস ছড়েয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ডেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এতটাই মারাত্নক রূপ ধারণ করেছে যে, আফ্রিকার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের মতো স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা জারির চিন্তা-ভাবনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) । এ বিষয়ে ২২ জানুয়ারি ২০২০ জরুরি বৈঠক করে সংস্থাটি ভাইরাসটির ব্যাপারে জরুরি সতর্কতা জারি করে।
করোনাভাইরাস কী
১৯৬০ সালে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এটা মূলত ভাইরাসের বড় একটি গোত্র। বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতির সংক্রমণ ঘটেছে তা এর আগে দেখা যায়নি। ভাইরাসটি মানুষ এবং পশু উভয়ের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কোনো রকম স্পর্শ ছাড়াই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় ভাইরাসটি। সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (SARS) ভাইরাসের সঙ্গে বর্তমান ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্যের ৮০% মিল রয়েছে। তবে সার্সের মতো আগ্রাসী নয় এ ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি
2019 Novel Corona Virus (2019-nCoV) এটা করোনাভাইরাসের সপ্তম বৃহৎ প্রজাতি। চীনের উহানে নতুন এ প্রজাতি শনাক্ত হয়।
• প্রথম সংক্রমণ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
• প্রথম চিহ্নিত হয় ৭ জানুয়ারি ২০২০
• ভাইরাস ছড়ায় চীনের উহানের সামুদ্রিক খাবার বা পশুপাখির বাজার থেকে।
সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণসমূহ
• জ্বর
• কাশি
• শ্বাসকষ্ট
• শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
• পেটে জ্বালাপোড়া
• পাতলা পায়খানা
মারাত্নক লক্ষণ
• নিউমোনিয়া
• সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম
• কিডনি বিকল
• মৃত্যু
চিচিৎসা
• করোনাভাইরাসের জন্য কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ নেই।
• চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব।