- Fri Feb 28, 2020 7:18 pm#2366
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বিদ্রোহের নামে ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদর দপ্তরে ঘটেছিল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। পিলখানার ঐ নির্মম ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞে দায়ের করা মামলায় ৫ নভেম্বর ২০১৩ বিচারিক আদালত রায় প্রদান করেন। এরপর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গ্রহণ করে ২৬-২৭ নভেম্বর ২০১৭ রায় ঘোষণা করেন তিন বিচারপতির সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। ৮ জানুয়ারি ২০২০ উক্ত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ২৯,০৫৯ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হলো।
বিশ্বে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে আসামির দিক থেকে এবং রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা বিবেচনায় সবচেয়ে বড় মামলা এটি।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিচারিক আদালতের রায় ৫ নভেম্বর ২০১৩
মৃত্যুদণ্ড – ১৫২
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড – ১৬০
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড – ২৫৬
খালাস ২৭৭
হাইকোর্টের রায় ৮ জানুয়ারি ২০২০
মৃত্যুদণ্ড বহাল – ১৩৯
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড – ১৮৫
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড – ২০০
খালাস – ৪৫
• বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১ জন মারা যান। হাইকোর্টের রায়ে ৪ জন খালাস ও ৮ জনের সাজা কমে যাবজ্জী কারাদণ্ড হয়।
• বিচারিক আদলতে খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় হাইকোর্টের রায়ে।
হাইকোর্ট পিলখানা হত্যা মামলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, এত অল্প সময়ে একসাথে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহতের নজির পাওয়া যায়। দক্ষিণ ফিলিপাইনের বিদ্রোহে ৬ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। ১৯৬৭ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানে চীনাপন্থী কমিউনিস্টদের সমর্থনে ৭ দিনের বিদ্রোহে ১০০ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। পিলখানার ঘটনা তাকেও হার মানিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা নৃশংস, অবর্ণনীয়, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন।
সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলা
১৯ বছর পর রায় প্রদান
২০ জানুয়ারি ২০০১ রাজধানী ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক। দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০ জানুয়ারি ২০২০ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১০ আসামীর মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
বিশ্বে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে আসামির দিক থেকে এবং রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা বিবেচনায় সবচেয়ে বড় মামলা এটি।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিচারিক আদালতের রায় ৫ নভেম্বর ২০১৩
মৃত্যুদণ্ড – ১৫২
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড – ১৬০
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড – ২৫৬
খালাস ২৭৭
হাইকোর্টের রায় ৮ জানুয়ারি ২০২০
মৃত্যুদণ্ড বহাল – ১৩৯
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড – ১৮৫
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড – ২০০
খালাস – ৪৫
• বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১ জন মারা যান। হাইকোর্টের রায়ে ৪ জন খালাস ও ৮ জনের সাজা কমে যাবজ্জী কারাদণ্ড হয়।
• বিচারিক আদলতে খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় হাইকোর্টের রায়ে।
হাইকোর্ট পিলখানা হত্যা মামলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, এত অল্প সময়ে একসাথে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহতের নজির পাওয়া যায়। দক্ষিণ ফিলিপাইনের বিদ্রোহে ৬ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। ১৯৬৭ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানে চীনাপন্থী কমিউনিস্টদের সমর্থনে ৭ দিনের বিদ্রোহে ১০০ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। পিলখানার ঘটনা তাকেও হার মানিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা নৃশংস, অবর্ণনীয়, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন।
সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলা
১৯ বছর পর রায় প্রদান
২০ জানুয়ারি ২০০১ রাজধানী ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক। দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০ জানুয়ারি ২০২০ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১০ আসামীর মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।