Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#2329
নারী নেতৃত্বে ২০২০ সালের প্রথম মহাকাশ অভিযান
২০২০ সালের প্রথম মহাকাশ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্রিস্টিনা কচ ও জেসিকা মেয়ার। ১৪-১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (ISS) বাইরে সৌর অ্যারেতে বেশ কয়েকটি ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের জন্য মহাকাশে হেঁটে বেড়ান (Spacewalk)। এটা ISS ‘র পরিচালিত ২২৫তম Spacewalk। এর আগে ১৮ অক্টোবর ২০১৯ তারা প্রথমবারের মতো কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই মহাকাশে হেঁটে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ক্রিস্টিনা কচ একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আর জেসিকা মেয়ার মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন।

২০২০ সালে গ্রহণ
২০২০ সালে দেখা যাবে মোট ৬টি গ্রহণ- চারটি চন্দ্রগ্রহণ ও দুইটি সূর্যগ্রহণ। ১০ জানুয়ারি ২০২০ চন্দ্রগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২০২০ সালের গ্রহণ। এ চন্দ্রগ্রহণের কেন্দ্রীয় গতিপথ ছিল চীনের ইউনান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং এটি শেষ হয় সৌদি আরবের আলহাফিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকে।

দুই সূর্যের গ্রহ
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় ইন্টার্নশিপ যাওয়া ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী পৃথিবী থেকে ১৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এমন এক গ্রহের খোঁজ দিয়েছে, যে গ্রহটি দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। নাসার গ্রহ অনুসন্ধানকারী কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ মিশনে শিক্ষানবিশি করতে এসে উলফ কুকিয়ার নামের ঐ শিক্ষার্থী এ গ্রহটি আবিষ্কার করেন। কুকিয়ারের আবিষ্কৃত এ গ্রহটির নামকরণ করা হয় TOI 1388 b। আকারের দিক থেকে এটি নেপচুন ও শনির মাঝামাঝি। যে দুটি সূর্যকে এ গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে, তার একটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ১৫ শতাংশ বড়। TOI 1388 b গ্রহের অপর সূর্যটি তুলনামূলকভাবে কিছুটা ছোট।

চাঁদ-মঙ্গলে ছত্রাকের তৈরি বাড়ি
চাঁদ কিংবা মঙ্গলে ঘরবাড়ি বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে সেসব বাড়ি ইট, সিমেন্ট, বালু, চুন-সুরকি দিয়ে নয়, তৈরি হবে ছত্রাক দিয়ে। চাঁদ আর মঙ্গলে আমাদের নতুন বসতির সেসব ঘরে মানুষের সঙ্গে থাকবে অন্য প্রাণীও। ছত্রাকের যে অংশটিকে আমরা দেখতে পাই না সাধারণত সেই ‘মাইসেলিয়া’ দিয়েই তৈরি হবে বাড়ি। ছত্রাকের মধ্যে থাকা মাইসেলিয়ায় আছে অণুজীব, যারা বাঁচার প্রয়োজনে শুষে নেয় সৌরশক্তি। আর তা দিয়ে জল ও বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে বদলে দেয় অক্সিজেনে। কার্যত বায়ুমণ্ডলহীন চাঁদ-মঙ্গলে আমাদের নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে সেই অক্সিজেনই। জল ও বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে ভেঙে সেই অণুজীবরা বানাতে পারে আরও কিছু পদার্থ, যা খেয়েদেয়ে তারা বেঁচে থাকবে। মাইসেলিয়া মাশরুম তৈরি করে। ঠিকমতো তাপমাত্রা ও পরিবেশ পেলে তারা আরও বড় কাঠামোও তৈরি করতে পারে। চাঁদ আর মঙ্গলে মাইসেলিয়া দিয়ে যে নতুন বসতি হবে, সেগুলো একই সাথে বাস্তুতন্ত্রকেও রক্ষা করবে।

পৃথিবীতে ফিরল শক্তিশালী ইঁদুর
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে ৩৮০০ পাউন্ড ওজনের কার্গো বহন করে ৭ জানুয়ারি ২০২০ পৃথিবীতে নিরাপদে অবতরণ করে Space X ‘ র তৈরি মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এ কার্গো মহাকাশযানটির মধ্যে ছিল ৪০টি ইঁদুর, যার মধ্যে বিজ্ঞানীদের জিনগতভাবে পরিবর্তন করা অত্যন্ত পেশীবহুল আটটি ইঁদুরও ছিল। এ ইঁদুরগুলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা শক্তিশালি পেশীর এ ইঁদুরগুলো পর্যবেক্ষণ করে নভোচারীদের মহাকাশে সুস্থ রাখার বিষয়টি বিজ্ঞানীরা উদঘাটন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। ‘রোডেন্ট রিসার্চ-১৯’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ ৪০টি ইঁদুর স্পেসএক্সের মহাকাশযানে চড়ে ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌছেছিল। মহাকাশে মাইক্রোগ্রাভিটি কীভাবে পেশী ও হাড়ের ক্ষয়কে প্রভাবিত করে তা পরীক্ষা করার জন্যই এ গবেষণা প্রকল্পের উদ্যোগ নেন বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবীর অদূরেই ‘বাসযোগ্য’ গ্রহ
৬ জানুয়ারি ২০২০ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলেছে, পৃথিবীর অদূরেই একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের খোঁজ পাওয়া গেছে। নতুন এ গ্রহ পৃথিবী থেকে মাত্র ১০১.৫ আলোকবর্ষ দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের হনুলুলুতে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক বৈঠকে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি নতুন গ্রহটির সন্ধান পাওয়ার ঘোষনা দেয়। নাসার স্পিৎসার (Spitzer) স্পেস টেলিস্কোপ কর্তৃপক্ষ এ আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। নাসার গ্রহ অনুসন্ধানকারী কৃত্রিম উপগ্রহ ’ট্রানসিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ (TESS) নতুন এ গ্রহ আবিষ্কার করে। পৃথিবীর আকৃতির ঐ গ্রহের নাম দেয়া হয় TOI 700 d। এটি TOI 700 নামের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। TOI 700 নামের ঐ নক্ষত্র ও তাকে প্রদক্ষিণরত তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে TESS। এর মধ্যে TOI 700 d নক্ষত্রটি এমন দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে, যা ঐ সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূর্যের সাথে পৃথিবীর দূরত্বের বিবেচনায় এ সিদ্ধান্তে পৌছেন বিজ্ঞানীরা। এ দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে দাবি করেছে নাসা। TOI 700 সূর্যের চেয়ে আকারে ৪০ শতাংশ ছোট। এর উত্তাপও সূর্যের তুলনায় অর্ধেক। TOI 700 d গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ২০ শতাংশ বড় এবং ৩৭ দিনে TOI 700 নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া পৃথিবী সূর্য থেকে যে শক্তি পায়, তার ৮৬ শতাংশ শক্তি ঐ গ্রহ তার নক্ষত্র থেকে পায়।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    15444 Views
    by apple
    0 Replies 
    391 Views
    by sajib
    0 Replies 
    826 Views
    by rajib
    0 Replies 
    228 Views
    by kajol
    0 Replies 
    198 Views
    by tasnima
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]