Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#2320
মহাকাশের জানা-অজানা নানা তথ্যঃ পর্ব ১
মহাবিশ্বের জন্মরহস্যের খোঁজে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ
মহাবিশ্বের গভীরতম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে Sky Eye নামে পরিচিত চীনে নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ Five-hundred-meter Aperture Spherical Telescope (FAST) । এটা জানার চেষ্টা করছে কীভাবে এ বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। মহাকশের সৌরজগতের বাইরে আরো কোনো গ্রহে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণী তথা অ্যালিয়েন আছে কি-না তাও সন্ধান করছে এটি। Sky Eye বর্তমানে চালু থাকা বিশ্বের যে কোনো রেডিও টেলিস্কোপের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি সুবেদি। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইজো প্রদেশের পিংখাং পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি পাহাড়ের মাঝখানে স্থাপিত ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান এ টেলিস্কোপটির পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬। আর পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করে ১১ জানুয়ারি ২০২০।
দিনে ১৯১ কোটি সূর্যের জন্ম
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিবছর আমাদের ছায়াপথে সাতটি সূর্যের সমান নতুন ভরের নক্ষত্র সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়, আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে ১০,০০০ কোটি ছায়াপথ আছে।
বছরে গড়ে প্রতিটাতেই সাতটা করে সূর্য জন্ম নিলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০,০০০ কোটি। তা হলে একদিনে গড়ে ১৯১ কোটি সূর্য জন্ম নেয় এ মহাবিশ্বে।
মহাকাশ থেকে তিমি গণনা !
এবার মহাকাশ থেকে নজরদারি করা হবে তিমির ওপর। তিমি রক্ষায় এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে আমেরিকার একটি অ্যাকুরিয়াম কোম্পানি ও একটি প্রকৌশল সংস্থা। মহাসাগরে কত তিমি আছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানার জন্য স্যাটেলাইট সোনার এবং রাডার ব্যবহার করা হবে। অ্যালগরিদমভিত্তিক এ প্রযুক্তিতে বিশ্বের যে কোনো স্থানের তিমির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যাবে। বোস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউ ইংল্যান্ড অ্যাকুরিয়াম ও পার্শ্ববর্তী কেমব্রিজভিত্তিক সংস্থা ড্রাপার বলেছে, তিমিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য নতুন উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া উপায় নেই। তাদের এ প্রকল্পের নাম ‘মহাকাশ থেকে তিমি গণনা’। তিমি গণনার জন্য সাধারণত বিমান থেকে সমীক্ষা চালানো হয়। তবে এটা ব্যয়বহুল এবং খারাপ আবহাওয়ায় তা বিপজ্জনক হয়ে থাকে।

নারী নভোচারী ক্রিস্টিনা কচ
নারী নভোচারী হিসেবে ক্রিস্টিনা কচ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (ISS) সবচেয়ে বেশি সময় থাকার রেকর্ড গড়েছেন। ১২ জানুয়ারি ২০২০ গ্রীনিচ মান সময় রাত ১২টা ১৬ মিনিটে তিনি রেকর্ডটি গড়েন। এ সময় তার মহাকাশে থাকার মেয়াদ হয় ২৮৯ দিন ৫ ঘন্টা ১ মিনিট। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার আগে গড়া পেগি হুইটসনের রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেন। পেগি রেকর্ডটি করেছিলেন ২০১৭ সালে। কচ ১৪ মার্চ ২০১৯ থেকে ISS- এ আছেন।
প্রথমবারের মতো মঙ্গলে মানুষ
২০৩০ সালে প্রথমবারের মতো ১৩ নভোচারীকে নিয়ে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোযান। সম্প্রতি সংস্থাটির টেক্সাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঐ নভোচারীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১৮০০০ আবেদনের মধ্য থেকে ৬ জন নারী ও ৭ জন পুরুষকে বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন যুক্তরাষ্ট্রের ও দুইজন কানাডার। ১৯৫৯ সালে তৈরি করা নাসার প্রথম নভোচারী দলের নাম অনুসারে এ নভোচারী দলকে ‘মারকুরি ৭’ সিলভার পিন দেয়া হয়। সফলতার সাথে প্রথম স্পেস ফ্লাইট সম্পন্ন করার পর নভোচারীরা পাবেন স্বর্ণের পিন।

গ্রহাণুরও রয়েছে চাঁদ!
শুধুই গ্রহ নয়, গ্রহাণুরও থাকে চাঁদ। সম্প্রতি মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝামাঝি থাকা ‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’ বা গ্রহাণুপুঞ্জে অবস্থিত ‘ইউরিবেটস’ নামের গ্রহাণুতে একটি চাঁদ আবিষ্কার করে নাসার ‘লুসি মিশন’। সদ্য আবিষ্কৃত চাঁদটির ঔজ্জ্বল্য গ্রহাণু ইউরিবেটসের ৬,০০০ ভাগ। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে আকারে খুবই ছোট সেই চাঁদ। তার ব্যাস হতে পারে বড়জোর ১ কিলোমিটার।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    15435 Views
    by apple
    0 Replies 
    356 Views
    by sajib
    0 Replies 
    813 Views
    by rajib
    0 Replies 
    203 Views
    by kajol
    0 Replies 
    191 Views
    by tasnima

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]