Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#2254
১৯৬৬ সালের ছয় দফা
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবিসংবলিত একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইতিহাসে এটি ছয় দফা কর্মসূচি নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ২৩ মার্চ ১৯৬৬ লাহোরের এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ছয় দফা কর্মসূচি ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’ এর ভিত্তিতে রচিত। ছয় দফা দাবির দফাগুলো নিম্নরূপ-
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে হবে। এটি সংসদীয় পদ্ধতির যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা হবে সার্বভৌম।
২. ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়। অন্যান্য বিষয় থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
৩. দেশের দুই অঞ্চলের জন্য সহজে বিনিময়েযোগ্য দুটি মুদ্রা চালু থাকবে। মুদ্রা লেনদেনের হিসাব রাখার জন্য দুই অঞ্চলের জন্য দুটি স্বতন্ত্র স্টেট ব্যাংক থাকবে। মুদ্রা ও ব্যাংক পরিচালনার ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে অথবা দুই অঞ্চলের একই মুদ্রা থাকবে। তবে সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে এক অঞ্চলের মুদ্রা ও মূলধন অন্য অঞ্চলে পাচার হতে না পারে। একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে এবং দুটি আঞ্চলিক রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে।
৪. সব ধরনের কর ও শুল্ক ধার্য এবং আদায়য়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। আদায়কৃত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ ফেডারেল তহবিলে জমা হবে, যা দ্বারা ফেডারেল সরকার ব্যয় নির্বাহ করবে।
৫. বৈদেশিক মুদ্রা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোর হাতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ ফেডারেল সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে দেওয়া হবে।
৬. প্রদেশগুলো চাইলে তাদের আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিজস্ব মিলিশিয়া বা আধাসামরিক বাহিনী গঠন ও পরিচারনা করতে পারবে।

ছয় দফা কর্মসূচি বাঙালি জাতির ‘মুক্তির সনদ’ বা ‘ম্যাগনাকার্টা’ হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও ছয় দফা দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল পালিত হয়্ । এই দিন তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া নিহত হন। তিনি ছয় দফা আন্দোলনের প্রথম শহিদ। এ কারণে ৭ জুনকে ছয় দফা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

    ১.৩ জানুয়ারি : বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডি[…]

    ১. সমাজকল্যাণ ও সমাজকর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- প[…]

    ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (ICC)[…]

    ৭ নভেম্বর-১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ইন[…]