- Sat Jan 18, 2020 10:08 pm#2252
জাতীয় বাজেট ২০১৯ - ২০২০: শেষ পর্ব
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
২০০৫-০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের পরিমাণ ছিল ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। তা নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
আইসিটি খাত
আইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করেছে। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে Smart Phone এবং Feature Phone বর্তমানে ১০% আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। Feature Phone দেশের অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে। অপরদিকে Smart Phone দেশের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে থাকে বিধায় Smart Phone- এর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৫% করার প্রস্তাব করেছে।
এসডিজি
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫-৩০ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। এমডিজির বিভিন্ন কলক্ষ্যমাত্রা ও সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। অনুরূপভাবে এসডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জনে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে এর বাস্তবায়ন চলছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো প্রকল্প/কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে এবং প্রতিটি লক্ষ্য ও সূচকের বিপরীতে অগ্রগতি প্রতিবেদন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজি স্থানীয়করণে ৪০টি অগ্রাধিকার সূচকের তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে। ঐ অগ্রাধিকার তারিকায় ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েচে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। এ চাহিদা পূরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিকল্প অর্থায়ন হিসেবে সরকার পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহ প্রদান করছে।
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান আছে, যেখানে আনুমানিক এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। মীরসরাই, সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার ৩০,০০০ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’কে দেশের সর্ববৃহৎ পরিকল্পিত ও আধুনিক শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় এ পর্যন্ত ১৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
বিনিয়োগ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে একটি নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে বিনিয়োগ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৬ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ১৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০.৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ঋণ জিডিপির অনুপাত
ঋণ জিডিপির অনুপাত, যা ২০০৫-০৬ সালে ছিল ৪৪ শতাংশ, তা এখন কমে ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির শক্তিমত্তা ও আত্ননির্ভরশীলতার প্রমাণ।
শিক্ষা খাত
শিক্ষার হার ২০০৬ সালে ছিল ৫৩.৭ শতাংশ, বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঝরে পড়ার হার ৫০ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কারিগরি শিক্ষায় আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ছিল ২ শতাংশ, বর্তমানে তা ১৭ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৮০টি, এখন তা ১৪৮টি।
বিদ্যুৎ খাত
২০০৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৪,৩৮৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২১, ৬২৯ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ছিল ৩,২০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিডে বর্তমানে উৎপাদন ১২,৮৯৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ, তা এখন ৯৩ শতাংশ। দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ১,৪৪৩ থেকে বেড়ে বর্তমানে ২,৭৪৬ মিলিয়স কিউবিক ফুটে দাঁড়িয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
দেশের সবা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যার ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়েছে, টেলিডেনসিটি হয়েছে ৯৩ শতাংশ। সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক হচ্ছে। গত বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎপেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-সংবলিত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছে। এ অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব আঙিনায় এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের বিগত কয়েক বছরের বাজেটের পরিমাণ
অর্থবছর - বাজেটের আকার (কোটি টাকা)
২০১৯-২০ - ৫,২৩,১৯০
২০১৮-১৯ - ৪,৬৪,৫৭৩
২০১৭-১৮ - ৪,০০,২৬৬
২০১৬-১৭ - ৩,৪০,৬০৫
২০১৫-১৬ - ২,৯৫,১০০
২০১৪-১৫ - ২,৫০,৫০৬
২০১৩-১৪ - ২,২২,৪৯১
২০১২-১৩ - ১,৯১,৭৩৮
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
২০০৫-০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের পরিমাণ ছিল ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। তা নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
আইসিটি খাত
আইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করেছে। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে Smart Phone এবং Feature Phone বর্তমানে ১০% আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। Feature Phone দেশের অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে। অপরদিকে Smart Phone দেশের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে থাকে বিধায় Smart Phone- এর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৫% করার প্রস্তাব করেছে।
এসডিজি
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫-৩০ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। এমডিজির বিভিন্ন কলক্ষ্যমাত্রা ও সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। অনুরূপভাবে এসডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জনে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে এর বাস্তবায়ন চলছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো প্রকল্প/কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে এবং প্রতিটি লক্ষ্য ও সূচকের বিপরীতে অগ্রগতি প্রতিবেদন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজি স্থানীয়করণে ৪০টি অগ্রাধিকার সূচকের তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে। ঐ অগ্রাধিকার তারিকায় ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েচে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। এ চাহিদা পূরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিকল্প অর্থায়ন হিসেবে সরকার পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহ প্রদান করছে।
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান আছে, যেখানে আনুমানিক এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। মীরসরাই, সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার ৩০,০০০ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’কে দেশের সর্ববৃহৎ পরিকল্পিত ও আধুনিক শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় এ পর্যন্ত ১৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
বিনিয়োগ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে একটি নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে বিনিয়োগ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৬ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ১৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০.৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ঋণ জিডিপির অনুপাত
ঋণ জিডিপির অনুপাত, যা ২০০৫-০৬ সালে ছিল ৪৪ শতাংশ, তা এখন কমে ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির শক্তিমত্তা ও আত্ননির্ভরশীলতার প্রমাণ।
শিক্ষা খাত
শিক্ষার হার ২০০৬ সালে ছিল ৫৩.৭ শতাংশ, বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঝরে পড়ার হার ৫০ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কারিগরি শিক্ষায় আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ছিল ২ শতাংশ, বর্তমানে তা ১৭ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৮০টি, এখন তা ১৪৮টি।
বিদ্যুৎ খাত
২০০৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৪,৩৮৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২১, ৬২৯ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ছিল ৩,২০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিডে বর্তমানে উৎপাদন ১২,৮৯৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ, তা এখন ৯৩ শতাংশ। দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ১,৪৪৩ থেকে বেড়ে বর্তমানে ২,৭৪৬ মিলিয়স কিউবিক ফুটে দাঁড়িয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
দেশের সবা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যার ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়েছে, টেলিডেনসিটি হয়েছে ৯৩ শতাংশ। সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক হচ্ছে। গত বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎপেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-সংবলিত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছে। এ অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব আঙিনায় এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের বিগত কয়েক বছরের বাজেটের পরিমাণ
অর্থবছর - বাজেটের আকার (কোটি টাকা)
২০১৯-২০ - ৫,২৩,১৯০
২০১৮-১৯ - ৪,৬৪,৫৭৩
২০১৭-১৮ - ৪,০০,২৬৬
২০১৬-১৭ - ৩,৪০,৬০৫
২০১৫-১৬ - ২,৯৫,১০০
২০১৪-১৫ - ২,৫০,৫০৬
২০১৩-১৪ - ২,২২,৪৯১
২০১২-১৩ - ১,৯১,৭৩৮