Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#2251
জাতীয় বাজেট ২০১৯ - ২০২০: পর্ব ০২

ধরুন আপনি ১০০ টাকা কর দিয়েছেন। এখন দেখা যাক, এবারের ২০১৯-২০ বাজেটে এই টাকাটা কোথায় ব্যয় হবে, কারা বেশি পাবেন। যেমন আপনার ১০০ টাকার করের ১৯ টাকা ৩০ পয়সা বেতন হিসেবে পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
• বেতন-ভাতা - ১৯.৩ টাকা
• সুদ - ১৮.৩ টাকা
• সাহায্য মঞ্জুরি - ১৬.৩ টাকা
• পণ্য ও সেবা - ১০.২ টাকা
• সম্পদ সংগ্রহ - ৫.৭ টাকা
• পেনশন - ৮.৭ টাকা
• ভর্তুকি ও প্রণোদনা - ১৪.১ টাকা
• অনুন্নয়ন বিনিয়োগ - ৪.৬ টাকা
• অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য - ২.৪ টাকা
• বিবিধ ব্যয় - ০.৪ টাকা
২০১৯-২০ অর্থবচরের পরিচালন বাজেট থেকে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।
[তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ জুন ২০১৯]

এডিপির জন্য বরাদ্দ ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা
প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বাড়ছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সংশোধিত এডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগসহ অন্যান্য প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন খাতে। এছাড়া মন্ত্রণালয় হিসেবে সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

নারী উন্নয়নে বরাদ্দ
২০১৯-২০ অর্থবছরের নারী উন্নয়নে ১,৬১,২৪৭ কোটি টাকার জেন্ডার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ২৫টি মন্ত্রণালয়, ১৪টি বিভাগসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগসুবিধা বাড়ছে

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ছিল ১০ হাজার টাকা। এখন দুই হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সুরক্ষা খাতে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশে এখন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৮। ভাতা পাচ্ছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮২ জন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরাও মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা ছাড়া আরো দুটি ভাতা পেয়ে থাকেন। এর একটি হচ্ছে বিজয় দিবস ভাতা এবং অন্যটি হচ্ছে বৈশাখী ভাতা। এর মধ্যে বৈশাখী ভাতা হিসেবে পান ২ হাজার টাকা এবং বিজয় দিবসের ভাতা পান ৫ হাজার টাকা।
[তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল, ১৩ জুন ২০১৯]

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের বাজেট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার ১৩ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে থাকছে বাজেটের ১২ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
[তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২২ জুন ২০১৯]

প্রতিবন্ধীকে ভাতা
গত অর্থবছরে ১০ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়া হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেওয়া হবে মোট ১৬ লাখকে। প্রতিবন্ধীরা বর্তমানে ৭০০ টাকা করে ভাতা পান। গত অর্থবছরে এ জন্য ৮৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভাতা ৭৫০ টাকা করা হচ্ছে। বাড়ছে মোট উপারভোগী।

মাতৃত্বকালীন ভাতা
বর্তমানে ৭ লাখ দরিদ্র নারীকে মাসিক ৫০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হয়। গত অর্থবছরে এ জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো না হলেও উপকারভোগী বাড়ছে আরও ৭০ হাজার। লিভার সিরোসিস ও কিডনি রোগ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার করা হয়েছে।
প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ
প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১ হাজার ২০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩০০ টাকা করা হচ্ছে।

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল
অর্থমন্ত্রীর বাজেটে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল জোগান ও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেন। এতে সীমিত আকারে হলেও বেকার তরুণেরা দিশা খুঁজে পাবেন আর হুন্ডির দৌরাত্ন্য কিছুটা কমবে। এ ছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য ভ্যাটমুক্ত রাখা হয়েছে।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য
২০০৫-০৬ সালে আমাদের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে এর পরিমাণে ৫৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৫-৬ সালে আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা সাড়ে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    37456 Views
    by rekha
    0 Replies 
    35689 Views
    by rana
    0 Replies 
    15406 Views
    by rekha
    0 Replies 
    14991 Views
    by rafique
    0 Replies 
    6326 Views
    by romen

    ১. সমাস শব্দের অর্থ হলো – - সংক্ষেপণ ২. কোনট[…]

    ১. মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত? - ২৩ জোড়া ২. দূষি[…]

    ১. সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম &ndas[…]