- Tue Dec 17, 2019 5:09 pm#2150
আধুনিক মানুষের আদিভূমি বতসোয়ানা
আফ্রিকাকে মানবজাতির সূতিকাগার ধরা হয় দীর্ঘদিন থেকেই। তবে ঠিক আফ্রিকার কোথা থেকে মানবজাতির যাত্রা শুরু হয়, তা নিশ্চিত ছিল না। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন গবেষণা করে সেই জায়গার সন্ধান পান। আধুনিক মানবজাতির ‘আবাসস্থল’ হিসেবে বতসোয়ানার উত্তরাঞ্চলকে চিহ্নিত করেন তারা। নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত সাময়িকী ন্যাচার-এ ২৮ নভেম্বর ২০১৯ নতুন ঐ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা বলেন, হোমো স্যাপিয়েন্সকে মানুষের আধুনিক প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। আর এ প্রজাতির মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বৃহত্তর জামবেসি নদীর অববাহিকার দক্ষিণাঞ্চলে। সময়টা ছিল দুই লাখ বছর আগে। জামবেসি আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম নদী। এটি পড়েছে বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ের কিছু অংশে। নদীটির দক্ষিণে পড়েছে বতসোয়ানা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে ৭০০০০ বছর ধরে বেশ প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়েই বসবাস করে আসছিলেন আধুনিক মানবজাতির পূর্বপুরুষেরা। এরপর জলবায়ু পরিবর্তন তাদের আফ্রিকা ছাড়তে বাধ্য করে এবং ধীরে ধীরে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন সারা বিশ্বে। এর আগের কিছু জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণায় জানা যায়, আধুনিক মানবজাতির উৎপত্তি ঘটে পূর্ব আফ্রিকার থেকে। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করে সম্পাদিত নতুন গবেষণায় মানবজাতির পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে বলে নিশ্চিত করা হয়। এ অঞ্চলটি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে বতসোয়ানায় পড়েছে। এলাকাটি মাকগাদিকগাদি-ওগাভাঙ্গো নামে পরিচিত। এ এলাকায় একটি প্রকাণ্ড হ্রদ ছিল। এ হ্রদের কাছেই ছিল তাদের আবাসস্থল। এ হ্রদ ভিক্টোরিয়া হ্রদ বা লেক ভিক্টোরিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ বড় ছিল।
আধুনিক মানবজাতির আবাসস্থল চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানীরা প্রথমে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ায় বসবাসরত খোইসান জাতিগোষ্ঠির ২০০ লোকের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। কারণ, এই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ডিএনএ শাখা ‘এলো’র প্রভাব অনেক বেশি রয়েছে। এরপর ২ লাখ বছর আগ থেকে এলোর বংশানুক্রম-সংবলিত জিনগত টাইমলাইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় ভৌগোলিক বিন্যাস, প্রত্নতাত্তিক পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যায়, বতসোয়ানাতেই ছিল আধুনিক মানবজাতির উৎপত্তিস্থল।
আফ্রিকাকে মানবজাতির সূতিকাগার ধরা হয় দীর্ঘদিন থেকেই। তবে ঠিক আফ্রিকার কোথা থেকে মানবজাতির যাত্রা শুরু হয়, তা নিশ্চিত ছিল না। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন গবেষণা করে সেই জায়গার সন্ধান পান। আধুনিক মানবজাতির ‘আবাসস্থল’ হিসেবে বতসোয়ানার উত্তরাঞ্চলকে চিহ্নিত করেন তারা। নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত সাময়িকী ন্যাচার-এ ২৮ নভেম্বর ২০১৯ নতুন ঐ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা বলেন, হোমো স্যাপিয়েন্সকে মানুষের আধুনিক প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। আর এ প্রজাতির মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বৃহত্তর জামবেসি নদীর অববাহিকার দক্ষিণাঞ্চলে। সময়টা ছিল দুই লাখ বছর আগে। জামবেসি আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম নদী। এটি পড়েছে বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ের কিছু অংশে। নদীটির দক্ষিণে পড়েছে বতসোয়ানা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে ৭০০০০ বছর ধরে বেশ প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়েই বসবাস করে আসছিলেন আধুনিক মানবজাতির পূর্বপুরুষেরা। এরপর জলবায়ু পরিবর্তন তাদের আফ্রিকা ছাড়তে বাধ্য করে এবং ধীরে ধীরে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন সারা বিশ্বে। এর আগের কিছু জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণায় জানা যায়, আধুনিক মানবজাতির উৎপত্তি ঘটে পূর্ব আফ্রিকার থেকে। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করে সম্পাদিত নতুন গবেষণায় মানবজাতির পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে বলে নিশ্চিত করা হয়। এ অঞ্চলটি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে বতসোয়ানায় পড়েছে। এলাকাটি মাকগাদিকগাদি-ওগাভাঙ্গো নামে পরিচিত। এ এলাকায় একটি প্রকাণ্ড হ্রদ ছিল। এ হ্রদের কাছেই ছিল তাদের আবাসস্থল। এ হ্রদ ভিক্টোরিয়া হ্রদ বা লেক ভিক্টোরিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ বড় ছিল।
আধুনিক মানবজাতির আবাসস্থল চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানীরা প্রথমে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ায় বসবাসরত খোইসান জাতিগোষ্ঠির ২০০ লোকের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। কারণ, এই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ডিএনএ শাখা ‘এলো’র প্রভাব অনেক বেশি রয়েছে। এরপর ২ লাখ বছর আগ থেকে এলোর বংশানুক্রম-সংবলিত জিনগত টাইমলাইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় ভৌগোলিক বিন্যাস, প্রত্নতাত্তিক পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যায়, বতসোয়ানাতেই ছিল আধুনিক মানবজাতির উৎপত্তিস্থল।