Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
#1916
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তেরেসা মেকেও আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কাজেই ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যেতে লন্ডনের হাতে সময় একেবারেই কম। কিন্তু 'দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম' এর চলমান প্রতিবেদনে জানা যায় ব্রেক্সিট পরিস্থিতি নিয়ে সকল ঘটনার পাশাপাশি এখন কী-ই বা ঘটবে, এখন পর্যন্ত কী-ই বা হতে যাচ্ছে, সর্বশেষ কী-ই বা হয়েছে এই চলমান সময়ে___

প্রথমত ব্রেক্সিট কী?

সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে ব্রেক্সিট বলতে বোঝায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের ব্রি ও এক্সিট (প্রস্থান) মিলে ব্রেক্সিট শব্দটি গঠিত। অতীতে ইউরো মুদ্রা থেকে গ্রিকের বেরিয়ে আসাকেও বলা হয়েছিল গ্রেক্সিট। ২০১৬ সালের দিকে ব্রেক্সিট শব্দটি অক্সফোর্ড অভিধানে স্থান পায়।

থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা পেটার উইল্ডিং ২০১২ সালের মে মাসে ব্রেক্সিট শব্দটি লিখেছেন। তার আট মাস আগে তখনকার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা করেন, ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ঘটবে কিনা, তা নিয়ে তিনি গণভোটের আয়োজন করবেন।

কেন ইউরোপ ছাড়ছে ব্রিটেন?

অনেক ব্রিটিশ নাগরিক নিজ দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। ইইউর নিয়মানুযায়ী, ইউনিয়নের ২৮ দেশ ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলাচল করতে পারে। তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার সরকারের প্রথম মেয়াদে ইইউর বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপীয় নাগরিকদের প্রবেশ ঠেকাতে পারেননি।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দ্বিতীয় মেয়াদে ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে চার বছরের জন্য সুবিধা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেন। এতে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানের অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তারা সদস্য দেশের নাগরিকদের সুবিধা ভাতা দেয়ায় বৈষম্য হলে তা ইইউর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বলে দাবি তোলেন। আর এ কারণেই যুক্তরাজ্যকে ইইউতে রাখা না রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন তৈরি হয়।

ব্রেক্সিট প্রশ্নে ইইউভুক্ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে অভিবাসীদের সুবিধা সীমিত করাসহ চারটি সংস্কার প্রস্তাব দেন ক্যামেরন এবং পরবর্তী সময় সে প্রস্তাব নিয়ে ক্যামেরনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেন ইইউ নেতারা।

ইইউর সঙ্গে সমঝোতার পর দেশে ফিরে ব্রেক্সিটের জন্য গণভোটের তারিখ ঘোষণা করেন ক্যামেরন। ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রিটেনের ইউরোপ ছাড়ার গণভোট হয়। ব্রিটেনের ইইউতে থাকা না থাকার প্রশ্নে দেশটির জনগণই ওই গণভোটে চূড়ান্ত রায় দেন।

যাতে ৫১.৯ শতাংশ লোক ব্রেক্সিটের পক্ষে ও ৪৮.১ শতাংশ বিপক্ষে ভোট দেন। তিন কোটিরও বেশি লোক ভোট দিয়েছিলেন। ভোট পড়েছিল ৭১.৮ শতাংশ।

ভোট নিয়ে ব্রিটেনজুড়ে বিবাদ:

ইংল্যান্ডে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৫৩.৪ শতাংশ। ওয়েলসও পক্ষে ভোট দেয়। সেখানে ইউরোপ ছাড়তে রায় দেয় ৫২.৫ শতাংশ ও থাকতে চেয়েছিল ৪৭.৫ শতাংশ। বিপরীতে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে সায় দিয়েছিল। স্কটল্যান্ডের ৬২ শতাংশ লোক ইউরোপের সঙ্গে থাকতে চাইলেও ৩৮ শতাংশ ছিল বিপক্ষে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৫৫. ৮ শতাংশ ব্রেক্সিটের বিপক্ষে, আর ৪৪.২ শতাংশ ইউরোপ ছাড়ার পক্ষে ভোট দেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী?

সাধারণত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আমরা ইইউ নামে চিনি। ২৮ দেশ মিলে একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অংশীদারত্ব হচ্ছে এ ইউনিয়ন। অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের যাত্রা শুরু হয়। এতে ইউরোপীয় দেশগুলো একসঙ্গে বাণিজ্য করার ও যুদ্ধ এড়িয়ে চলার প্রতিজ্ঞার কথা জানায়।

পরে এটি একক মার্কেটে পরিণত হয়। এসব দেশের পণ্য ও লোকজন ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ পায়। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি দেশে পরিণত হয়েছে।

ইউনিয়নের ইউরো নামে নিজস্ব মুদ্রা চালু আছে। ১৯ সদস্য রাষ্ট্র এ মুদ্রা নিজেদের দেশে ব্যবহার করে। কেবল তাই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট আছে। জলবায়ু, পরিবহন, ভোক্তা অধিকার ও মোবাইল ফোনের চার্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক বিস্তৃত নীতিমালাও রয়েছে ইউরোপের।

ব্রিটেন কখন ইউরোপ ছাড়বে?

ইউরোপ ছাড়তে ব্রিটেনকে লিসবন চুক্তির দারস্ত হতে হচ্ছে। এতে কোনো দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে চাইলে ঐকমত্যে পৌঁছাতে দুই বছর সময় দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে সরকার ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। কাজেই চলতি বছরের ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় ইইউ থেকে ব্রিটেনের পূর্ণোচ্ছেদ ঘটবে।

তবে ইউরোপীয় আদালতের আদেশে বলা আছে, এ প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্তও নিতে পারবে ব্রিটেন। ইউনিয়নের ২৮ সদস্য রাজি হলে সময় বাড়িয়েও নিতে পারবে তারা। কিন্তু সব পক্ষই এখন নির্ধারিত তারিখের দিকে তাকিয়ে আছে। তেরেসা মেও এটিকে ব্রিটিশ আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন।

সত্যিই কি ইউরোপ-ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ঘটছে?

আইন অনুসারে আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে ব্রিটেন। তাতে ইউরোপের সঙ্গে দেশটি কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলেও বিচ্ছেদ ঘটবে। কাজেই ব্রেক্সিট বন্ধ করতে হলে ব্রিটিশ আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিস রায় দিয়েছে, ইউনিয়নের বাকি ২৭ দেশের অনুমতি ছাড়াই ব্রিটেন অনুচ্ছেদ ৫০ বাতিল করতে পারবে এবং চলমান শর্তেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে পারবে। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ব্রেক্সিটে কী বিলম্ব হবে?

ব্রিটেন যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে ইইউ নেতারা সম্পর্কোচ্ছেদের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সময় বাড়ানোর কোনো অনুরোধ আসেনি। যথাযোগ্য কারণে সময় বাড়ানোর অনুরোধ এলে সে ক্ষেত্রে ইইউ সদস্যভুক্ত ২৭ দেশের নেতারা ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) শেষ সময়সীমা আগামী ২৯ মার্চ। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ হবে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্য এখনও চূড়ান্ত কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হাউস অব কমন্সে তার খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন, ভোটে যা চরমভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ৬৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে চুক্তিটি ৪৩২-২০২ ভোটে হেরেছে।

আধুনিক যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর তোলা প্রস্তাব হাউস অব কমন্সে এত বড় ব্যবধানে হারল।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জ্যঁ-ক্লদ জাঙ্কার লন্ডনকে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ইচ্ছার কথা পরিষ্কারভাবে জানাতে বলেছেন। ভোটের ফল দেখে নিদারুণ হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বার্নিয়ের।

ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সীমান্ত আছে। মের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির যে বিষয়গুলো নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি ছিল, তার অন্যতম এই সীমান্ত বা ব্যাকস্টপ। মে বিচ্ছেদের পরও যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যে খুব একটা হেরফের করতে চাননি।

মঙ্গলবারের (১৯ অক্টোবর) ভোটের পর আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এখন কোনো চুক্তি ছাড়াই বিচ্ছেদের প্রস্তুতি গ্রহণ জোরদার করবে।

অবশেষে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ইইউ-ব্রিটেন সমঝোতা:

দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছল যুক্তরাজ্য।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকের আগে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছান।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা এখন ওই আইনি দিকগুলো নিয়ে কাজ করছেন। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে তাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটে সেই ঘোষণা দিয়ে বলেন, “দারুণ একটা সমঝোতায় আমরা পৌঁছেছি, পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণও ফিরেছে।”

৩১ অক্টোবরে প্রক্রিয়ামাফিক ব্রেক্সিট শেষ করার পথ সুগম করতে শনিবারই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে চুক্তির বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার আশা করছেন জনসন।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদে জাঙ্কার এক চিঠিতে বলেছেন, ইইউ এর ২৭ সদস্যরাষ্ট্রকে চুক্তিতে অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করবেন তিনি। কারণ তিনি বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার শেষ সময় এখনই।

তবে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র রাজনীতি বিষয়ক প্রধান সংবাদদাতা ভিকি ইয়াং।

তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন ডিইউপি এমপি’রা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। কিন্তু এর পক্ষে তারা ভোট দেবেন না।

নর্দার্ন আইরিশ পার্টি- যে দলটির কাছ থেকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভোটে সমর্থন পাওয়ার ভরসায় আছে- তারাও এক বিবৃতিতে বলেছে, “নতুন চুক্তিতে দেওয়া প্রস্তাবগুলো আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য সহায়ক নয় এবং এতে ইউনিয়নের অখণ্ডতা ক্ষুন্ন হবে।”

বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতার সুর আরো চড়া। তিনি বলেছেন, আগের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে যে ব্রেক্সিট চুক্তি করেছিলেন নতুন প্রস্তাবিত চুক্তি তার চেয়েও বেশি খারাপ। ফলে এমপি’দের এটি প্রত্যাখ্যান করা উচিত।

তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঙ্কার বলছেন, নতুন চুক্তি “সুষ্ঠু এবং ভারসাম্যপূর্ণ”। জাঙ্কার এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন দুইজনই নিজ নিজ পার্লামেন্টকে চুক্তিতে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জনসন বলেন, “এখন আমাদের ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা এবং তারপর ভবিষ্যতে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার সময়। আর তা যুক্তরাজ্য এবং ইইউ দু’য়ের জন্যই খুব ইতিবাচক হবে বলে আমি মনে করি।”

“আর কোনো দেরি না করেই ব্রেক্সিট হয়ে যাওয়া উচিত। যাতে সরকার দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে”, বলেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপে কি করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে হাউজ অব কমন্সে শনিবার বিশেষ কোনো অধিবেশন বসবে কিনা সে প্রশ্নে ব্রিটিশ এমপি’রা পরে ভোটাভুটি করবেন।

অধিবেশন বসার বিষয়টি ভোটে অনুমোদন পেলে সরকার তখন চুক্তির ওপর ভোট অনুষ্ঠান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন কেবিনেট অফিস মিনিস্টার মাইকেল গভ।

কী আছে জনসনের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিতে?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির প্রস্তাবগুলো বেশিরভাগই গতবছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র করা চুক্তির প্রস্তাবগুলোর মতোই। পরিবর্তনটি হয়েছে মূলত উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক প্রস্তাবগুলোতে। আর তা হচ্ছে:

* নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইইউ এর একক মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।

* বিতর্কিত ‘ব্যাকস্টপ’ থাকবে না। সমালোচকদের ভয়, এই ‘ব্যাকস্টপ’ এর কারণে যুক্তরাজ্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইইউ’র সঙ্গে কাস্টমস ইউনিয়নে থেকে যেতে হতে পারে।

* উত্তর আয়ারল্যান্ড বরং যুক্তরাজ্যের কাস্টমস টেরিটোরির অংশ হিসাবে থাকবে। ফলে ব্রেক্সিটের পর ভবিষ্যতে সরকারের যে কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে তারা অন্তর্ভক্ত থাকতে পারবে।

* কিন্তু একইসঙ্গে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইইউ এর কাস্টমস জোনে প্রবেশদ্বার হিসাবেও থাকবে।

* কোন কোন পণ্য একক বাজারে প্রবেশ করার ঝুঁকিতে আছে তা নির্ধারণ করবে ইইউ/ইউকে যৌথ কমিটি।

* উত্তর আয়ারল্যান্ড এসেম্বলি নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু রাখার প্রশ্নে প্রতি চারবছর পরপর ভোট অনুষ্ঠান করবে।

* সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।

সংগৃহিতঃ-

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]