- Tue Oct 15, 2019 11:27 pm#1906
✔তারিখঃ ১৩ অক্টোবর
কারণঃ স্তন ক্যান্সার সতর্কতা
(পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করবেন না। ক্যাপশনের ফটোটা আন্তর্জাতিক ব্রা দিবসের লগো হিসেবে পরিচিত)
প্রাচীন গ্রীসে নারীরা একটি বিশেষ পোশাক পরিধান করতেন। একে অ্যাপোডিসমোস, পরবর্তীতে মাসটোডিসমোস এবং মাসতোডিটন নামে ডাকা হতো। সবগুলোর অর্থই ‘স্তন-বন্ধনী’ প্রকারান্তরে বক্ষবন্ধনী বলা হতো। উল বা লিনেনের একটি কাপড় যা পেছন থেকে বেঁধে আড়াআড়িভাবে স্তনযুগলকে মুড়ে রাখতো।
প্রতিদিন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মহিলা যে অন্তর্বাসটি পরিধান করে থাকেন, ইংরিজিতে যার নাম ‘ব্রাসিয়ের’ কিংবা ‘ব্রা’, বাংলায় বক্ষবন্ধনী। এর পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে শত বছর আগে, ১৯১৪ সালে। তবে নারীবাদীর দ্বারা ষাটের দশকে বক্ষবন্ধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে পোড়ানো শুরু হয় বক্ষবন্ধনী। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে বেশি সময় লাগল না। আবার শিগগিরই এই পোশাকে ফিরে আসলো নারীরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গবেষণায় পোশাকটির বিভিন্ন নেতিবাচক দিক ধরা পড়ায় সচেতনতা তৈরিতে পালন করা হচ্ছে ‘নো ব্রা ডে’ অর্থাৎ ‘বক্ষবন্ধনী বিহীন দিন’।
১৩ অক্টোবর `বিশ্ব নো ব্রা ডে`। স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস এই অক্টোবর। স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতেই মূলত এই নো ব্রা দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবং অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন ব্রা ব্যবহারের ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি একটু বেশিই বৃদ্ধি পায়। ব্রা ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে আসবে। সাধারনত এইডস আর স্তন ক্যান্সার এর প্রতীক একই তবে এদের রঙ টা ভিন্ন। এইডস এর প্রতীক লাল আর স্তন ক্যান্সারের প্রতীক হচ্ছে গোলাপি।
প্রতিবছর সমগ্র ব্রিটেনে প্রায় ৫০ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা করান এবং যখন তারা অন্য একজনকে এই সমস্যায় দেখে তখন যেন তারা তাদের জীবন বাঁচাতে পারেন সেই শিক্ষা নেন।
কেন নো ব্রা ডে পালন করা হয় ?
বিষয়টা হয়তো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কল্পনা করা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নারীরা ব্রা না পরেই তার পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শপিং মল, অফিস এবং বাসা। আর দিন দিন এর সংখ্যাটা বাড়ছে।নো ব্রা ডে’ এর আন্দোলনটি ২০১১ সালে শুরু হয় এবং বেশিরভাগই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়, যেখানে মহিলাদের প্রচারে হ্যাশট্যাগে ‘নো ব্রা ডে’ ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার ডেকে আনে স্তন ক্যানসার। এর লক্ষ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং স্ব-পরীক্ষা, স্ক্রিনিং করা এবং তাদের স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নিশ্চিত করার জন্য নারীদেরকে উৎসাহিত করা।
ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশেই ব্রা ব্যবহারের হার কমছে বলে জানাচ্ছে বিপণন পরিসংখ্যান। আসলে আজকের নারী উপলব্ধি করতে পারছেন, শারীরিক আকর্ষণ বৃদ্ধির চেয়ে বাঁচার ইচ্ছার তীব্রতা ঢের বেশি। কারণ জীবন বড় বেশি সুন্দর।
বিঃদ্রঃ কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ No Bra Day কে Happy Bra Day হিসেবে পালন করে। তারা নারীদের এই সতেচনতা মূলক দিনকে যৌনতার অংশ হিসেবে নেয়। তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
Raisul Islam Hridoy
কারণঃ স্তন ক্যান্সার সতর্কতা
(পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করবেন না। ক্যাপশনের ফটোটা আন্তর্জাতিক ব্রা দিবসের লগো হিসেবে পরিচিত)
প্রাচীন গ্রীসে নারীরা একটি বিশেষ পোশাক পরিধান করতেন। একে অ্যাপোডিসমোস, পরবর্তীতে মাসটোডিসমোস এবং মাসতোডিটন নামে ডাকা হতো। সবগুলোর অর্থই ‘স্তন-বন্ধনী’ প্রকারান্তরে বক্ষবন্ধনী বলা হতো। উল বা লিনেনের একটি কাপড় যা পেছন থেকে বেঁধে আড়াআড়িভাবে স্তনযুগলকে মুড়ে রাখতো।
প্রতিদিন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মহিলা যে অন্তর্বাসটি পরিধান করে থাকেন, ইংরিজিতে যার নাম ‘ব্রাসিয়ের’ কিংবা ‘ব্রা’, বাংলায় বক্ষবন্ধনী। এর পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে শত বছর আগে, ১৯১৪ সালে। তবে নারীবাদীর দ্বারা ষাটের দশকে বক্ষবন্ধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে পোড়ানো শুরু হয় বক্ষবন্ধনী। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে বেশি সময় লাগল না। আবার শিগগিরই এই পোশাকে ফিরে আসলো নারীরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গবেষণায় পোশাকটির বিভিন্ন নেতিবাচক দিক ধরা পড়ায় সচেতনতা তৈরিতে পালন করা হচ্ছে ‘নো ব্রা ডে’ অর্থাৎ ‘বক্ষবন্ধনী বিহীন দিন’।
১৩ অক্টোবর `বিশ্ব নো ব্রা ডে`। স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস এই অক্টোবর। স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতেই মূলত এই নো ব্রা দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবং অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন ব্রা ব্যবহারের ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি একটু বেশিই বৃদ্ধি পায়। ব্রা ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে আসবে। সাধারনত এইডস আর স্তন ক্যান্সার এর প্রতীক একই তবে এদের রঙ টা ভিন্ন। এইডস এর প্রতীক লাল আর স্তন ক্যান্সারের প্রতীক হচ্ছে গোলাপি।
প্রতিবছর সমগ্র ব্রিটেনে প্রায় ৫০ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা করান এবং যখন তারা অন্য একজনকে এই সমস্যায় দেখে তখন যেন তারা তাদের জীবন বাঁচাতে পারেন সেই শিক্ষা নেন।
কেন নো ব্রা ডে পালন করা হয় ?
বিষয়টা হয়তো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কল্পনা করা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নারীরা ব্রা না পরেই তার পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শপিং মল, অফিস এবং বাসা। আর দিন দিন এর সংখ্যাটা বাড়ছে।নো ব্রা ডে’ এর আন্দোলনটি ২০১১ সালে শুরু হয় এবং বেশিরভাগই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়, যেখানে মহিলাদের প্রচারে হ্যাশট্যাগে ‘নো ব্রা ডে’ ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার ডেকে আনে স্তন ক্যানসার। এর লক্ষ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং স্ব-পরীক্ষা, স্ক্রিনিং করা এবং তাদের স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নিশ্চিত করার জন্য নারীদেরকে উৎসাহিত করা।
ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশেই ব্রা ব্যবহারের হার কমছে বলে জানাচ্ছে বিপণন পরিসংখ্যান। আসলে আজকের নারী উপলব্ধি করতে পারছেন, শারীরিক আকর্ষণ বৃদ্ধির চেয়ে বাঁচার ইচ্ছার তীব্রতা ঢের বেশি। কারণ জীবন বড় বেশি সুন্দর।
বিঃদ্রঃ কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ No Bra Day কে Happy Bra Day হিসেবে পালন করে। তারা নারীদের এই সতেচনতা মূলক দিনকে যৌনতার অংশ হিসেবে নেয়। তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
Raisul Islam Hridoy