Get on Google Play

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য
By Romana
#1725
মাইগ্রেন (ইংরেজি: Migraine) একধরনের মাথাব্যথা। মাথার একদিকে হয় বলে বিখ্যাত হলেও দুদিকেও হতে দেখা গেছে। যাদের মাইগ্রেন হবার প্রবণতা আছে, তাদের শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য ও কিছু খাবার যেমন চকলেট, আঙুরের রস, পনির ইত্যদির প্রভাবে পুনরায় নতুন করে ভয়ঙ্কর মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। তবে মাইগ্রেনে শুধু মাথাব্যথাই হয় না, তার সঙ্গে আরো কয়েকটি স্নায়বিক উপসর্গ হয়ে থাকে (যেমন কিছু আলো বা শব্দের অনুভুতি)। উপসর্গ অনুযায়ী মাইগ্রেনের মধ্যেও অনেক রকমফের আছে। কারো কারো মতে সেরকম কয়েকটি মাইগ্রেনের উপসর্গ থাকলে মাথা ব্যথা না থাকলেও মাইগ্রেন হয়েছে বলা যেতে পারে।
মাইগ্রেন" শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ ἡμικρανία (হেমিক্রানিয়া) থেকে, যার অর্থ "মাথার একদিকে ব্যথা"। ἡμι- (হেমি-), "অর্ধেক", এবং κρανίον (ক্রানিয়ন), "খুলি" থেকেই এর সৃষ্টি।

🎯 প্যাথোফিজিওলজিঃ- ধারণা করা হয়, মাইগ্রেন একধরনের নিউরোভাস্কুলার ডিজঅর্ডার। কারণ এই সমস্যা মস্তিষ্কে সৃষ্টি হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে রক্তশিরায় ছড়িয়ে যায়।কিছু গবেষক ধারণা করেন, নিউরোনাল বিষয়গুলো অধিকতর প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে কয়েকজন মনে করেন রক্তশিরাই মূল প্রভাব ফেলে। কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন এই দুই-ই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।নিউরোট্রান্সমিটার সিরোটনিন-এর উচ্চস্তরসমূহ, যা ৫-হাইড্রোক্সিট্রিপ্টামিন নামেও পরিচিত, এই ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলে ধারণা করা হয়।

🎯যাদের হয়ঃ-মাইগ্রেন সাধারণত দেখা দেয় ছোট বয়স থেকে (১০ বছর) মাঝ বয়সের (৪৫ বছর) মধ্যে। আরও কয়েকটা লক্ষণীয় জিনিস হল –
মাইগ্রেন ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশী হয়।
অনেক সময় এর পারিবারিক সূত্র থাকে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা গর্ভবতী অবস্থায় কম মাইগ্রেনে ভোগে।
উত্তেজনা, বিশেষ কোনও খাবার খাওয়া বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার দরুন মস্তিষ্কে যখন কোন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখনই মাইগ্রেনের সূত্রপাত হয়। তবে ঠিক কী ভাবে এটা ঘটে – এটা এখনো অজ্ঞাত। তবে মস্তিষ্ক থেকেই এটা শুরু - পরে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্নায়ু পথে, রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
সাধারণ ভাবে দেখা যায় মাইগ্রেন শুরু হচ্ছে –
অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ায়, মদ্যপানে, তীব্র আলো চোখে পড়লে, বিশেষ কোনও গন্ধ নাকে এলে, বিকট শব্দে ধোঁয়ার গন্ধে, শারীরিক বা মানসিক উত্তেজনায়, ঘুমের ব্যাঘাতে
কারো কারো এটা হয় বিশেষ খাবার খেলে। যেমন চকলেট, দুগ্ধজাত খাবার, যে সব খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (msg) আছে, যে সব খাবারে টাইরামাইন আছে, যেমন, লাল মদ, মেটে, ডুমুর ফল, ইত্যাদি কিছু কিছু ফলে - যেমন, কলা, কমলা জাতিয় ফল, বাদাম, পেঁয়াজ ইত্যাদি
মাইগ্রেন আসছে কিনা অনেক সময় বোঝা যায় চোখের সাময়িক সমস্যা থেকে – যেমন, ঝাপসা দেখা চোখে ব্যথা হওয়া, চোখে নানা রকমের লাইন বা তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখা, টানেল ভিসন সবার ক্ষেত্রে অবশ্য এটা ঘটে না।
মাইগ্রেনের ব্যথা চোখের পেছনে, ঘাড়ে, মাথার পেছনে – সব জায়গাতেই হতে পারে। ভীষণ ভাবে দপ দপ করা, টন টন করা – তীব্র মাইগ্রেনের লক্ষণ। মাথার একদিকে এটা বেশী ভাবে বোধ হয়। শুরু হয় প্রথমে আস্তে আস্তে, কিন্তু পরে দ্রুত এটা বাড়তে থাকে। এর জের ৬ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। আর এই উপসর্গের সঙ্গে ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, আলো বা আওয়াজে অসুবিধা, ঘামা, কথা বলতে অসুবিধা, খিদে চলে যাওয়া, ইত্যাদি থাকতে পারে। এমনকি মাইগ্রেন চলে যাবার পরও ঘাড়ে ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব, মাথাটা জ্যাম হয়ে থাকার উপসর্গ সঙ্গে সঙ্গে না মিলিয়ে যেতে পারে।
মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে), অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম করা, ঠাণ্ডা কাপর মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।
কিছু কিছু ওষুধ ডাক্তাররা দেন। অল্পস্বল্প মাইগ্রেনে উপসর্গগুলো কমানোর জন্যে অ্যাসিটামিনফিন (টাইলানল বা ক্যালপল জাতিয় ওষুধ), আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন কাজে দেয়। তীব্র মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ডাক্তারেরা আরও জোরদার ওষুধ দেবেন। এছাড়া, বমিভাব কামানোর জন্যে, ঘুমের জন্যে অন্যান্য ওষুধ ডাক্তারেরা দেন।
মাইগ্রেনের কোনও চিকিৎসা নেই। তবে যেসব অবস্থা থেকে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে, সেগুলো যাতে করে না সৃষ্টি হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। মাইগ্রেন হলে, তার আগে কি ঘটেছিল (যেগুলো থেকে মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে)

🎯কমানোর উপায়ঃ- জার্মানির মুন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন যে, যৌন সম্পর্ক মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ওষুদের মতোই কাজ করে।

সেফালাজিয়া, দ্য জার্নাল অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল হেডেক সোসাইটিতে প্রকাশিত এই রিপোর্টে বিজ্ঞানীদের দাবি, যৌন মিলন সরাসরি প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কে। এর হাত ধরেই সেরে ওঠে মাইগ্রেনের মতো অসুখ! প্রায় ৩৫০ জন মাইগ্রেন আক্রান্তের উপর এই পরীক্ষা চালান গবেষকরা। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর এদের প্রায় ৬০ শতাংশেরই ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

ব্যথার দিনগুলোয় নিয়মিত যৌন মিলন প্রতি পাঁচ জনের এক জনকে মাইগ্রেনের ব্যথা সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করেছে। বাকি ৪০ শতাংশের কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথা কিছুটা কমেছে, মাত্র ৩ শতাংশের ব্যথা কমেনি।

অন্যতম গবেষক স্টেফান এভার্সের মতে, যৌনতা শরীরে নানা হরমোন ক্ষরণ ঘটায়। নিয়মিত সুস্থ যৌনতার অনেক ভালো দিক আছে। এই হরমোনের জাদুতেই মাইগ্রেনের ব্যথাও কমে যায়। যাদের এই ব্যথা কমেনি সে ক্ষেত্রে পার্টনারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, গ্রহণযোগ্যতা, নিয়মিত যৌন জীবনে অভ্যস্ত কি না, বয়স এগুলোও খতিয়ে দেখার বিষয়।

গবেষকদের মতে, সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌন মিলনের সময় শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের দ্বারা এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। এই হরমোন মূলত ফিল গুড ফ্যাক্টরকে অনেকটা স্থায়ী করে এবং এটি অন্য যে কোনো কড়া বেদনানাশক ওষুধের চেয়েও বেশি কাজ করে। এর প্রভাবেই মাইগ্রেনের মতো নাছোড় ব্যথাও কমে যায়। তাছাড়া নিয়মিত যৌন সম্পর্কের অন্যান্য শারিরীক উপকার তো আছেই।

বিঃদ্রঃ- আমরা শুধু রোগ সম্পর্কে জানার জন্য পোস্ট করি। তাই ওষুধের নাম দিইনি।

Collected
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]