- Thu Apr 25, 2019 2:27 am#1397
মোঃ আব্দুল হাই
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
(৩৭ তম বিসিএস)
৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা একেবারেই সন্নিকটে। আর মাত্র কয়েক দিন সময় আছে। এই স্বল্প সময়ে আপনাকে কিভাবে ঝালাই করবেন?
এখন রিভিশনের সময়। প্রথমে বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আরেকবার রিভিশন দিতে হবে। এরপর এতোদিন আপনি যা যা পড়েছেন সেইগুলোকে রিভিশন দিতে থাকুন। রিভিশন দেয়ার ক্ষেত্রে যেই প্রশ্নগুলো দেখলেই আপনি পারবেন সেগুলোকে কম গুরুত্ব দিন। যেই প্রশ্নগুলো না দেখলে আপনার স্মরণে থাকার সম্ভাবনা কম সেগুলোকে ফোকাস করুন। নতুন কোন টপিকস পড়ার দরকার নেই। বিষয়ভিত্তিক ভাবে রিভিশন দিতে থাকুন।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগ ভালোভাবে আরেকবার দেখুন। আধুনিক যুগের নির্বাচিত ৯ জন লেখককে ভালোভাবে পড়ুন। এর বাইরে কিছু লেখককে অল্প করে দেখে রাখুন। বাংলা ব্যাকরণের জন্য ভাষা, ধ্বনি ও বর্ণ, ণত্ব ও ষত্ব বিধান, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি, প্রত্যয়, উপসর্গ, বানান শুদ্ধি, বাগধারা, বাক্য সংকোচন ইত্যাদি টপিকস গুলো আরেকবার রিভিশন দিন। সর্বোপরি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালো করে দেখে নিন।
ইংরেজি Grammar অংশ থেকে ২০ টি প্রশ্ন আসে। এর মধ্যে Subject-Verb-Agreement, Phrase, Clause, Verb, Preposition, Voice, Pronunciation, Synonyms, Antonyms,Correction ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশগুলো একবার করে দেখে যান। Grammar অংশের প্রশ্ন কম পুনরাবৃত্তি হয়। কিন্তু তারপরেও বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখবেন। পরীক্ষার হলে English Grammar অংশ একটু চিন্তা করে উত্তর করবেন। কারন খুব সহজ প্রশ্ন হলেও ভিতরে কিছু Tricks থাকে। এবার আসি ইংরেজি সাহিত্যে। প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে ইংরেজি সাহিত্য আপনার অনেক সহায়ক হবে। এখান থেকে ১৫ টি প্রশ্ন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্ন কমন আসে। প্রথমে ইংরেজি সাহিত্যের যুগবিভাগ ভালো করে মুখস্থ করতে হবে। এরপর কিছু লেখককে খুব ভালো করে মুখস্ত করতে হবে। যেমন- William Shakespeare, Fransis Bacon, Jhon Milton, William Wordsworth, S. T. Coleridge, Jhon Keats, P.B. Shelly, Alfred Tennyson, Charles Dickens, G.B. Shaw, Earnest Millar Hemingway ইত্যাদি। বগত বছরের প্রশ্নগুলো অবশ্যই দেখে যাবেন। পরীক্ষার আগের রাত এবং সকালে অবশ্যই ইংরেজি সাহিত্য পড়বেন। নতুবা পরীক্ষার হলে এই অংশের প্রশ্ন ভুল করার সম্ভাবনা আছে।
গনিত থেকে ১৫ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রিলিমিনারি পাশ করার জন্য গনিত অংশ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। প্রকৌশল, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীগন গনিত অংশে ভালো করে। কিন্তু আপনাকে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। মান নির্ণয়, উৎপাদক, সমাধান, সূচক, লগারিদম, ধারা, বিন্যাস ও সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, শতকরা হিসাব, সুদকষা, গড়, অনুপাত, রেখা, কোন, ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, বৃত্ত, ত্রিকোণমিতির প্রাথমিক অংশ, পরিমিতি ইত্যাদি অংশ আরেকবার ভালো করে দেখুন। যারা গনিত অংশে কিছুটা দুর্বল তারা পরীক্ষায় শেষের দিকে গনিত উত্তর করুন। কারণ প্রথমে উত্তর করতে গিয়ে মাথা গরম হয়ে গেলে অন্যান্য অংশে এর প্রভাব পড়তে পারে।
মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর। এখানকার ৭/৮ টি প্রশ্ন গনিতের প্রশ্ন। গনিতের প্রস্তুতি ভালো হলে এই প্রশ্নগুলো আপনি ভালো করবেন। বাকি প্রশ্নগুলো বাংলা বানান, ইংরেজি বানান, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, সম্পর্ক নির্ণয়, দর্পন প্রতিবিম্ব, ঘড়ির সময়, জন্মতারিখ ও বয়স গণনা ইত্যাদি বিষয় থেকে। এই বিষয়গুলো আরেকবার ভালো করে দেখে নিন। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখুন। কিছু কিছু প্রশ্ন রিপিট হয়। প্রিলি পাশ করার জন্য মানসিক দক্ষতায় ভালো করার বিকল্প নেই।
বিজ্ঞান অংশ থেকে ১৫ নম্বর। ভৌত বিজ্ঞান ৫, জীববিজ্ঞান ৫ এবং আধুনিক বিজ্ঞান থেকে ৫। সিলেবাস অনুযায়ী টপিকসগুলো রিভিশন দিন। নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই যারা পড়েছেন তা পুনরায় একবার দেখুন। বিগত বিসিএসের প্রশ্ন অবশ্যই অবশ্যই রিভিশন দিন। বিজ্ঞান অংশে অনেক প্রশ্ন (৫/৬ টি) পুনরাবৃত্তি হয়। বিজ্ঞান অংশ থেকে অবশ্যই ভালো নম্বর পেতে হবে।
কম্পিউটার অংশ থেকে ১৫ নম্বর। সিলেবাসের টপিকগুলো আরেকবার ভালোভাবে দেখুন। কম্পিউটার পেরিফেরালস, সফটওয়ার, হার্ডওয়ার, কম্পিউটার জেনারেশন, দ্বিমিক ও দশমিক, ইন্টারনেট, সোশাল মিডিয়া, মোবাইল জেনারেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো আরেকবার রিভিশন দিন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখতে ভুলবেন না।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ৩০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় সিলেবাস। গুরুত্বপূর্ণ টপিকসগুলো আরেকবার রিভিশন দিন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১), মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খুটিনাটি সহ, সংবিধান (সংশোধনী সহ), বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিচিতি (মানচিত্র নিয়ে বাংলাদেশের বেসিক তথ্যগুলো), নদী, পাহাড়, দ্বীপ, হাওর, বিল, চর, ঝর্ণা, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, পশু সম্পদ, সুন্দরবন, বিভিন্ন স্থাপনা, স্মৃতিস্তম্ভ, বাংলাদেশের আইন কানুন, খেলাধুলা, বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার, সাম্প্রতিক আলোচিত ইস্যু ইত্যাদি বিষইয়গুলো পুনরায় রিভিশন দিন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সলভ করতে ভুলবেন না।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর। নম্বরের তুলনায় এই অংশের সিলেবাস বেশ বড়। পুরো বিশ্ব এর সিলেবাস। কিন্তু গাবরানো যাবে না। টপিকস দেখে রিভিশন দিন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, স্নায়ুযুদ্ধ, পৃথিবীর মানচিত্র, উল্লেখযোগ্য স্থান, প্রণালী, সাগর, মহাসাগর, বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ (জাতিসংঘ সহ অন্যান্য সংগঠন), বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন (OIC, SAARC, OPEC, APEC, ASEAN, NATO, EU ইত্যাদি), বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, কূটনৈতিক বিষয়, বিভিন্ন কূটনৈতিক টার্ম, বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ঘটনা সমূহ ভালো ভাবে দেখুন। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আরেকবার রিভিশন দিন।
ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ১০ নম্বর। এটি তুলনামূলক সহজ। এই অংশের অনেক কিছুই বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির মানচিত্রের সাথে সম্পর্কিত। টপিকস দেখে রিভিশন দিন। দূর্যোগ অংশটি আলাদাভাবে দেখুন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখুন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশ থেকে ১০ টি প্রশ্ন আসে। পড়ার খুব বেশি কিছু নেই। ৪/৫ টি প্রশ্ন এমনিতেই উত্তর দেয়া যায়। বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর কনফিউজিং। প্রায় সবগুলো অপশনকেই সঠিক উত্তর মনে হয়। এই প্রশ্নগুলো উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বিগত ৫ বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন।
সর্বোপরি বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অবশ্যই ২ ঘন্টায় ২০০ প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এজন্য টার্গেট নিবেন ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে শেষ করবেন। ১৫ মিনিট হাতে রাখবেন। এজন্য কিছু মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সবাই ভালো দিবেন এই আশা রেখেই শেষ করছি।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
(৩৭ তম বিসিএস)
৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা একেবারেই সন্নিকটে। আর মাত্র কয়েক দিন সময় আছে। এই স্বল্প সময়ে আপনাকে কিভাবে ঝালাই করবেন?
এখন রিভিশনের সময়। প্রথমে বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আরেকবার রিভিশন দিতে হবে। এরপর এতোদিন আপনি যা যা পড়েছেন সেইগুলোকে রিভিশন দিতে থাকুন। রিভিশন দেয়ার ক্ষেত্রে যেই প্রশ্নগুলো দেখলেই আপনি পারবেন সেগুলোকে কম গুরুত্ব দিন। যেই প্রশ্নগুলো না দেখলে আপনার স্মরণে থাকার সম্ভাবনা কম সেগুলোকে ফোকাস করুন। নতুন কোন টপিকস পড়ার দরকার নেই। বিষয়ভিত্তিক ভাবে রিভিশন দিতে থাকুন।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগ ভালোভাবে আরেকবার দেখুন। আধুনিক যুগের নির্বাচিত ৯ জন লেখককে ভালোভাবে পড়ুন। এর বাইরে কিছু লেখককে অল্প করে দেখে রাখুন। বাংলা ব্যাকরণের জন্য ভাষা, ধ্বনি ও বর্ণ, ণত্ব ও ষত্ব বিধান, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি, প্রত্যয়, উপসর্গ, বানান শুদ্ধি, বাগধারা, বাক্য সংকোচন ইত্যাদি টপিকস গুলো আরেকবার রিভিশন দিন। সর্বোপরি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালো করে দেখে নিন।
ইংরেজি Grammar অংশ থেকে ২০ টি প্রশ্ন আসে। এর মধ্যে Subject-Verb-Agreement, Phrase, Clause, Verb, Preposition, Voice, Pronunciation, Synonyms, Antonyms,Correction ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশগুলো একবার করে দেখে যান। Grammar অংশের প্রশ্ন কম পুনরাবৃত্তি হয়। কিন্তু তারপরেও বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখবেন। পরীক্ষার হলে English Grammar অংশ একটু চিন্তা করে উত্তর করবেন। কারন খুব সহজ প্রশ্ন হলেও ভিতরে কিছু Tricks থাকে। এবার আসি ইংরেজি সাহিত্যে। প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে ইংরেজি সাহিত্য আপনার অনেক সহায়ক হবে। এখান থেকে ১৫ টি প্রশ্ন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্ন কমন আসে। প্রথমে ইংরেজি সাহিত্যের যুগবিভাগ ভালো করে মুখস্থ করতে হবে। এরপর কিছু লেখককে খুব ভালো করে মুখস্ত করতে হবে। যেমন- William Shakespeare, Fransis Bacon, Jhon Milton, William Wordsworth, S. T. Coleridge, Jhon Keats, P.B. Shelly, Alfred Tennyson, Charles Dickens, G.B. Shaw, Earnest Millar Hemingway ইত্যাদি। বগত বছরের প্রশ্নগুলো অবশ্যই দেখে যাবেন। পরীক্ষার আগের রাত এবং সকালে অবশ্যই ইংরেজি সাহিত্য পড়বেন। নতুবা পরীক্ষার হলে এই অংশের প্রশ্ন ভুল করার সম্ভাবনা আছে।
গনিত থেকে ১৫ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রিলিমিনারি পাশ করার জন্য গনিত অংশ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। প্রকৌশল, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীগন গনিত অংশে ভালো করে। কিন্তু আপনাকে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। মান নির্ণয়, উৎপাদক, সমাধান, সূচক, লগারিদম, ধারা, বিন্যাস ও সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, শতকরা হিসাব, সুদকষা, গড়, অনুপাত, রেখা, কোন, ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, বৃত্ত, ত্রিকোণমিতির প্রাথমিক অংশ, পরিমিতি ইত্যাদি অংশ আরেকবার ভালো করে দেখুন। যারা গনিত অংশে কিছুটা দুর্বল তারা পরীক্ষায় শেষের দিকে গনিত উত্তর করুন। কারণ প্রথমে উত্তর করতে গিয়ে মাথা গরম হয়ে গেলে অন্যান্য অংশে এর প্রভাব পড়তে পারে।
মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর। এখানকার ৭/৮ টি প্রশ্ন গনিতের প্রশ্ন। গনিতের প্রস্তুতি ভালো হলে এই প্রশ্নগুলো আপনি ভালো করবেন। বাকি প্রশ্নগুলো বাংলা বানান, ইংরেজি বানান, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, সম্পর্ক নির্ণয়, দর্পন প্রতিবিম্ব, ঘড়ির সময়, জন্মতারিখ ও বয়স গণনা ইত্যাদি বিষয় থেকে। এই বিষয়গুলো আরেকবার ভালো করে দেখে নিন। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখুন। কিছু কিছু প্রশ্ন রিপিট হয়। প্রিলি পাশ করার জন্য মানসিক দক্ষতায় ভালো করার বিকল্প নেই।
বিজ্ঞান অংশ থেকে ১৫ নম্বর। ভৌত বিজ্ঞান ৫, জীববিজ্ঞান ৫ এবং আধুনিক বিজ্ঞান থেকে ৫। সিলেবাস অনুযায়ী টপিকসগুলো রিভিশন দিন। নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই যারা পড়েছেন তা পুনরায় একবার দেখুন। বিগত বিসিএসের প্রশ্ন অবশ্যই অবশ্যই রিভিশন দিন। বিজ্ঞান অংশে অনেক প্রশ্ন (৫/৬ টি) পুনরাবৃত্তি হয়। বিজ্ঞান অংশ থেকে অবশ্যই ভালো নম্বর পেতে হবে।
কম্পিউটার অংশ থেকে ১৫ নম্বর। সিলেবাসের টপিকগুলো আরেকবার ভালোভাবে দেখুন। কম্পিউটার পেরিফেরালস, সফটওয়ার, হার্ডওয়ার, কম্পিউটার জেনারেশন, দ্বিমিক ও দশমিক, ইন্টারনেট, সোশাল মিডিয়া, মোবাইল জেনারেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো আরেকবার রিভিশন দিন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখতে ভুলবেন না।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ৩০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় সিলেবাস। গুরুত্বপূর্ণ টপিকসগুলো আরেকবার রিভিশন দিন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১), মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খুটিনাটি সহ, সংবিধান (সংশোধনী সহ), বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিচিতি (মানচিত্র নিয়ে বাংলাদেশের বেসিক তথ্যগুলো), নদী, পাহাড়, দ্বীপ, হাওর, বিল, চর, ঝর্ণা, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, পশু সম্পদ, সুন্দরবন, বিভিন্ন স্থাপনা, স্মৃতিস্তম্ভ, বাংলাদেশের আইন কানুন, খেলাধুলা, বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার, সাম্প্রতিক আলোচিত ইস্যু ইত্যাদি বিষইয়গুলো পুনরায় রিভিশন দিন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সলভ করতে ভুলবেন না।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর। নম্বরের তুলনায় এই অংশের সিলেবাস বেশ বড়। পুরো বিশ্ব এর সিলেবাস। কিন্তু গাবরানো যাবে না। টপিকস দেখে রিভিশন দিন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, স্নায়ুযুদ্ধ, পৃথিবীর মানচিত্র, উল্লেখযোগ্য স্থান, প্রণালী, সাগর, মহাসাগর, বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ (জাতিসংঘ সহ অন্যান্য সংগঠন), বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন (OIC, SAARC, OPEC, APEC, ASEAN, NATO, EU ইত্যাদি), বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, কূটনৈতিক বিষয়, বিভিন্ন কূটনৈতিক টার্ম, বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ঘটনা সমূহ ভালো ভাবে দেখুন। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আরেকবার রিভিশন দিন।
ভূগোল ও পরিবেশ অংশে ১০ নম্বর। এটি তুলনামূলক সহজ। এই অংশের অনেক কিছুই বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির মানচিত্রের সাথে সম্পর্কিত। টপিকস দেখে রিভিশন দিন। দূর্যোগ অংশটি আলাদাভাবে দেখুন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখুন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশ থেকে ১০ টি প্রশ্ন আসে। পড়ার খুব বেশি কিছু নেই। ৪/৫ টি প্রশ্ন এমনিতেই উত্তর দেয়া যায়। বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর কনফিউজিং। প্রায় সবগুলো অপশনকেই সঠিক উত্তর মনে হয়। এই প্রশ্নগুলো উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বিগত ৫ বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন।
সর্বোপরি বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অবশ্যই ২ ঘন্টায় ২০০ প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এজন্য টার্গেট নিবেন ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে শেষ করবেন। ১৫ মিনিট হাতে রাখবেন। এজন্য কিছু মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সবাই ভালো দিবেন এই আশা রেখেই শেষ করছি।