- Sun Mar 10, 2019 7:45 pm#1361
একবার একজন বিজনেস এক্সিকিউটিভ প্রচন্ড অর্থ সংকটে পড়লেন। তিনি দেনার দায়ে ডুবে ছিলেন ও সেটা থেকে মুক্তির কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, সাপ্লায়াররা তাদের অর্থ ফেরত চাচ্ছিলো।
এরকম সঙ্কটময় মূহূর্তে তিনি একটি পার্কে চুপচাপ বসে ছিলেন। ভাবছিলেন এরকম কোন উপায় বের করা যায় কিনা যাতে তিনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তার প্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাবে ব্যাঙ্কের হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া থেকে।
হঠাৎ করেই একজন বৃদ্ধ লোক সেখানে এসে দাঁড়ালেন।
বৃদ্ধঃ আপনাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে? কিছু কি হয়েছে? আমাকে কি বলা যাবে?
বিজনেস এক্সিকিউটিভ তাকে সব খুলে বললেন। সব শুনে বৃদ্ধ বললেন, “আমার বিশ্বাস আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারবো।“ তিনি লোকটিকে তার নাম জিজ্ঞেস করলেন, একটি চেক বের করে তাতে বিজনেস এক্সিকিউটিভের নাম লিখলেন ও স্বাক্ষর করে চেকটি তাকে দিলেন, বললেন, “এই চেকটি রাখুন। ঠিক এই জায়গায় আবার ১ বছর পর আমাদের দেখা হবে। তখন ইচ্ছা করলে আপনি আমার টাকা ফেরত দিতে পারেন।“
এই বলে বৃদ্ধ দ্রুত চলে গেলেন। বিজনেস এক্সিকিউটিভ দেখলেন, তার হাতে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের চেক, যেটিতে স্বাক্ষর রয়েছে জন ডি. রকফেলারের। তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন।
তিনি ভাবলেন, “এখন আমি আমার আর্থিক অনটন নিমিষেই কাটিয়ে ফেলতে পারি।“ কিন্তু তিনি সেটা না করে চেকটি নিজের কাছে রাখলেন। ভাবতে শুরু করলেন, “চেক তো আমার কাছে আছেই। কিন্তু এটা ব্যবহার না করেই কি আমি এই বিপদ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় পেতে পারি না?”
নতুন আশা, সাহস ও উদ্যোম, আর পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ধীরে ধীরে তিনি তার নিজস্ব চিন্তা ও পরিকল্পনার সাহায্য নিয়ে দেনা থেকে মুক্ত হতে শুরু করেন। এক সময় তিনি সব বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেন। কর্মীদের ও সাপ্লায়ারদের বেতন একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাঝে এনে পরিশোধ করেন। কয়েক মাসের মাঝেই তিনি আবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন।
ঠিক এক বছর পর তিনি সেই চেকটি নিয়ে সেই পার্কে এসে বৃদ্ধকে খুঁজতে শুরু করেন ও দেখা পেয়েও যান। তিনি তাকে নিজের সাফল্যের গল্প বলতে শুরু করেন। এরকম সময় একজন নার্স এসে বৃদ্ধকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। নার্স বিজনেস এক্সিকিউটিভকে বললেন, “আপনি উনার কথায় কিছু মনে করবেন না। বার্ধক্যজনিত কারণে উনি কিছুটা এলোমেলো আচরণ করেন ও নিজেকে জন ডি রকফেলার বলে দাবি করেন।“
এই বলে নার্স বৃদ্ধকে নিয়ে চলে গেলেন। হতভম্ব হয়ে ব্যবসায়ী ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে রইলেন। তিনি বুঝলেন, তার সাফল্যের কারণ আসলে চেকটি নয়। বরং তার মাঝে পুনরায় জন্ম নেয়া সাহস ও আত্মবিশ্বাসই তাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।
" বিপদের সময়ের প্রকৃত বন্ধুর নাম ‘আত্মবিশ্বাস’"
Raisul Islam Hridoy
এরকম সঙ্কটময় মূহূর্তে তিনি একটি পার্কে চুপচাপ বসে ছিলেন। ভাবছিলেন এরকম কোন উপায় বের করা যায় কিনা যাতে তিনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তার প্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাবে ব্যাঙ্কের হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া থেকে।
হঠাৎ করেই একজন বৃদ্ধ লোক সেখানে এসে দাঁড়ালেন।
বৃদ্ধঃ আপনাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে? কিছু কি হয়েছে? আমাকে কি বলা যাবে?
বিজনেস এক্সিকিউটিভ তাকে সব খুলে বললেন। সব শুনে বৃদ্ধ বললেন, “আমার বিশ্বাস আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারবো।“ তিনি লোকটিকে তার নাম জিজ্ঞেস করলেন, একটি চেক বের করে তাতে বিজনেস এক্সিকিউটিভের নাম লিখলেন ও স্বাক্ষর করে চেকটি তাকে দিলেন, বললেন, “এই চেকটি রাখুন। ঠিক এই জায়গায় আবার ১ বছর পর আমাদের দেখা হবে। তখন ইচ্ছা করলে আপনি আমার টাকা ফেরত দিতে পারেন।“
এই বলে বৃদ্ধ দ্রুত চলে গেলেন। বিজনেস এক্সিকিউটিভ দেখলেন, তার হাতে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের চেক, যেটিতে স্বাক্ষর রয়েছে জন ডি. রকফেলারের। তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন।
তিনি ভাবলেন, “এখন আমি আমার আর্থিক অনটন নিমিষেই কাটিয়ে ফেলতে পারি।“ কিন্তু তিনি সেটা না করে চেকটি নিজের কাছে রাখলেন। ভাবতে শুরু করলেন, “চেক তো আমার কাছে আছেই। কিন্তু এটা ব্যবহার না করেই কি আমি এই বিপদ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় পেতে পারি না?”
নতুন আশা, সাহস ও উদ্যোম, আর পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ধীরে ধীরে তিনি তার নিজস্ব চিন্তা ও পরিকল্পনার সাহায্য নিয়ে দেনা থেকে মুক্ত হতে শুরু করেন। এক সময় তিনি সব বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেন। কর্মীদের ও সাপ্লায়ারদের বেতন একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাঝে এনে পরিশোধ করেন। কয়েক মাসের মাঝেই তিনি আবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন।
ঠিক এক বছর পর তিনি সেই চেকটি নিয়ে সেই পার্কে এসে বৃদ্ধকে খুঁজতে শুরু করেন ও দেখা পেয়েও যান। তিনি তাকে নিজের সাফল্যের গল্প বলতে শুরু করেন। এরকম সময় একজন নার্স এসে বৃদ্ধকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। নার্স বিজনেস এক্সিকিউটিভকে বললেন, “আপনি উনার কথায় কিছু মনে করবেন না। বার্ধক্যজনিত কারণে উনি কিছুটা এলোমেলো আচরণ করেন ও নিজেকে জন ডি রকফেলার বলে দাবি করেন।“
এই বলে নার্স বৃদ্ধকে নিয়ে চলে গেলেন। হতভম্ব হয়ে ব্যবসায়ী ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে রইলেন। তিনি বুঝলেন, তার সাফল্যের কারণ আসলে চেকটি নয়। বরং তার মাঝে পুনরায় জন্ম নেয়া সাহস ও আত্মবিশ্বাসই তাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।
" বিপদের সময়ের প্রকৃত বন্ধুর নাম ‘আত্মবিশ্বাস’"
Raisul Islam Hridoy