Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#1274
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিরত এক বড়ভাইকে দেখেছিলাম মাস্টার্স কমপ্লিট করেই ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতে। বছরখানেক পর ভাইয়ের বেতন সবমিলিয়ে ২০ হাজারে গেল। ওই কোম্পানিতে আস্তে আস্তে ভাই খুব সুনাম করতে লাগলেন। একসময় সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার হিসেবে বেতন ৩৫ হাজারের উপরে চলে আসতো। সামনে আর কিছু টার্গেট পূরন করতে পারলেই প্রমোশন এন্ড স্যালারি ডাবল। বেশ ভালো দিন কাটছিল ভাইয়ের।
হঠাৎ একদিন শুনলাম বড়ভাই চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে। পরিবার পরিজন তাকে হেয় হেয় করতে লাগলো। সবাই বকাঝকাও করলো অনেক।
একদিন সময় করে আমিও গেলাম বকতে।
- এতো সাধের চাকরি কেন ছাড়লে? আর কদিন পর ই তো ৮০ র মুখ দেখতে!
উত্তরে বড়ভাই বললো, দেখো আমার টার্গেট ফিলআপ হয়ে গেছে। কিছু টাকা দরকার ছিল আর কাজটাও জানার দরকার ছিল। দুটোই যেহেতু পেয়ে গেছি তাই কলুর বলদের মতো অন্যের হয়ে কাজ করার কোন মানে হয়না। আমি এখন নিজের মেধা, অভিজ্ঞতা আর শ্রম দিয়ে নিজের কোম্পানি দাঁড় করাবো।
আমাদের সবার মন মানসিকতা যদি হয় একটা ভালো চাকরি, ভালো বেতন আর চাকরি শেষে পেনশন তাহলে জীবনে ভয়টা থেকে যাবে।
এই বুঝি আমার চাকরিটা বুঝি গেল, স্যালারি আরো একটু বেশি হলে ভালো হতো , কিংবা জমানো টাকা দিয়ে এটা ঔটা করা যাবে তো এসব ভাবলে কখনো উপরে উঠতে পারবো না। সারাজীবন মধ্যবিত্ত ই থেকে যাবো। আর মধ্যবিত্তদের আবেগ ছাড়া কিছুই থাকে না।
টাকা যদি আমার জন্য না খাটে অর্থাৎ টাকা দিয়ে যদি আমি টাকা ইনকাম করতে না পারি তাহলে আমার কাছে যতই জমানো টাকা থাকুক না কেন কিংবা যতই ভালো চাকরি থাকুক না কেন অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভয় সবসময় আমার ঘুম হারাম করে দিবে।
আমি মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্তদের সমস্যা একটাই। আবেগ নিয়ে চলি। টিফিনের টাকায় আবেগ না কিনে সে টাকা কাজে লাগালে আবেগ আমাদের পেছনে ছুটবে।
আর আমরা মধ্যবিত্তদের শখের কথা কি বলবো।
স্যালারি হয় ১৫ হাজার শখ থাকে আইফোনের, ব্রান্ডের শার্ট প্যান্টের, সুজিকি বাইকের, ডিএসএলআরের । আর এসব লোক দেখানো খরচের জন্য আমরা প্রায় ধার দেনা করি বেশি। বেতন পাওয়ার পর মাসের প্রথম সপ্তাহটা রাজার মতো থাকি আর বাকি দিনগুলো ফকিরদের মতো ঘুরি আর বড়ছেলের লাহান গার্লফ্রেন্ডকে দশ টাকার বাদাম খাওয়াইয়া আবেগের বেচাকেনা করি।
আমাদের মাইন্ডটা পুওর তাই এমনটি হয় ।
কেন টাকাটা জমানো যায়না? লোক দেখানো শখগুলো না করলে হয়না?
পুওর মাইন্ড আর রিচ মাইন্ডের লোকেদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে অবশ্য।
রিচ মাইন্ডের লোকেরা ইমোশনাল চিন্তার চেয়ে প্র্যাকটিক্যাল চিন্তাভাবনা বেশি করে।
প্রথমে তারা এসেসস্ট বানায় যা তাকে প্রত্যেক মাসে টাকা এনে দিবে। তারা সবসময় তাদের স্যালারির ২০ % নিজেকে পে করে, মানে জমা রাখে।
তারা অযথা লোক দেখানো জিনিস কিনে টাকা খরচ করেনা। একচুয়ালি তারা জিনিসটাকে ক্যালকুলেট করে যে কোন প্রোডাক্ট তাদের কতটুকু ভ্যালিয়ু প্রোভাইড করতে পারে। তারা শুধু সে প্রোডাক্ট এ পে করে।
তারা তাদের দক্ষতাকে নিয়মিত ডেবেলপড করে। পুওর মাইন্ডের লোকগুলোর মতো চাকরি শেষে ঘরে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে কিংবা আড্ডায় বসে সময় নষ্ট করেনা । তারা সবসময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করে।
রিচ মাইন্ডের লোকেরা সবসময় নিজে জিতে সাথে অন্যকেও জিততে সহযোগিতা করে। তাদের মনে আমাদের পুওর মাইন্ডের লোকদের মতো হিংসা, ইগো এসব কাজ করেনা।
রিচ মাইন্ডের লোকেদের মধ্যে পজিটিভনেস হাইলি গ্রোথ করে। তারা আমাদের পুওর মাইন্ডের লোকদের মতো প্রিমিটিভ হয়ে বসে থাকেনা। আমাদের প্রিমিটিভ চিন্তা হলো মানুষ যতই চেষ্টা করুক ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হবেনা।
আর তারা চিন্তা করে চেষ্টা করলে ভাগ্যও কদমের সাথে তাল মিলিয়ে চলে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার তারা বিলিভ করে যে, আমি যত ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যত ভালো ডিগ্রী নিয়ে আসি না কেন আমাকে উপরে উঠতে হলে সবচেয়ে নিচু স্তর থেকে কাজ শেখার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
গ্রো আপ ব্রো বাই ইওর রিচ মাইন্ড .......
লেখা : Md. Naim Uddin

    ] Global China Hardware & Trading Ltd. is[…]

    Thanks for the information.

    ইবনে সিনা ট্রাস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ নিয়োগ বিজ[…]

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]