- Wed Sep 28, 2022 4:46 pm#7478
বার্তাটি ছিল মিডিয়াম, এবং সেটি অত্যন্ত পরিষ্কার বার্তা: মোহ কাটিয়ে ওঠা আমেরিকানরাও একজন প্রার্থীকে যেকোননো প্রশ্ন করতে পারবেন, ঠিক যেভাবে মোটা টাকা বেত পাওয়া রিপোর্টাররা করে থাকেন।
আমার বিবেচনায় এটাই ১৯৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গল্প। একজন প্রার্থীর কাছে কীভাবে যাওয়া যায়, তার একটা প্রচলিত রণকৌশল ছিল, আমাদের সবার চোখের সামনে সেটা এমনভাবে পাল্টে গেল যে আমরা সরাসরি প্রার্থীদের নাগাল পেয়ে গেলাম, ঠিক যেভাবে প্রার্থীরাও সরাসরি আমাদেরকে নাগালের মধ্যে পেয়ে গেলেন। এবং, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ওয়াশিংটন হিলটনের বলরুমে সেই সন্ধ্যায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের অনেকের জন্যে স্রেফ দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয় আনকোরা নতুন এই আইডিয়া, তাঁরা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সেদিন বাড়ি ফেরার পথে রেডিও খুলেছি, নিজের সবচেয়ে পছন্দের একটা গানের স্টেশন, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক এই শব্দগুলো শুনতে পেলাপ: দি ওয়ার্ল্ড হ্যাজ গন ম্যাড টুডে। ওটা ছিল কোল পটারের এনিথিং গোজ।
এই হলো ব্যাপার। ১৯৯২ সালে আমরা শিখলাম আগে যে প্রচলিত প্রথা ছিল তার আর কোনো অস্তিত্ব নেই। এমন কি হতে পারে এটা প্রতি সহস্রাব্দে একবার ঘটে? হতে পারে দু হাজার বছর আগে সেজন্যেই খুন করা হয় সিজারক? হতে পারে টেকনলজি দুনিয়াকে যে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে নিচ্ছে এটা তার প্রতিক্রিয়া? হতে পারে কিছুই আগের মতো থাকে না, জীবনের এটাই একমাত্র ধারাবহিকতা? কিংবা হয়তো কোল পটার এইমাত্র আমাদের সআইকে কিছু একটা শেখালেন? কিন্তু আমি যখন নিজের কন্ডো-র পার্কিং লটে পৌঁছুলাম, গত ত্রিশি মিনিটের চিন্তা-ভাবনা আমার কাছে একটা জিনিস স্ফটিকের মতো পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে: সাল হিসেবে ১৯৯২ অবিশ্বাস্য একটা বছর, এটার মতো আরেকটা আমরা বোধহয় আর পাব না, এবং বিল ক্লিনটন নিশ্চয়ই খুব খুশি, যেমনটি খুশি আমি, অবশেষে সবশেষে শান্ত হয়ে এসেছে।
সংগৃহীত:-
আমার বিবেচনায় এটাই ১৯৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গল্প। একজন প্রার্থীর কাছে কীভাবে যাওয়া যায়, তার একটা প্রচলিত রণকৌশল ছিল, আমাদের সবার চোখের সামনে সেটা এমনভাবে পাল্টে গেল যে আমরা সরাসরি প্রার্থীদের নাগাল পেয়ে গেলাম, ঠিক যেভাবে প্রার্থীরাও সরাসরি আমাদেরকে নাগালের মধ্যে পেয়ে গেলেন। এবং, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ওয়াশিংটন হিলটনের বলরুমে সেই সন্ধ্যায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের অনেকের জন্যে স্রেফ দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয় আনকোরা নতুন এই আইডিয়া, তাঁরা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সেদিন বাড়ি ফেরার পথে রেডিও খুলেছি, নিজের সবচেয়ে পছন্দের একটা গানের স্টেশন, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক এই শব্দগুলো শুনতে পেলাপ: দি ওয়ার্ল্ড হ্যাজ গন ম্যাড টুডে। ওটা ছিল কোল পটারের এনিথিং গোজ।
এই হলো ব্যাপার। ১৯৯২ সালে আমরা শিখলাম আগে যে প্রচলিত প্রথা ছিল তার আর কোনো অস্তিত্ব নেই। এমন কি হতে পারে এটা প্রতি সহস্রাব্দে একবার ঘটে? হতে পারে দু হাজার বছর আগে সেজন্যেই খুন করা হয় সিজারক? হতে পারে টেকনলজি দুনিয়াকে যে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে নিচ্ছে এটা তার প্রতিক্রিয়া? হতে পারে কিছুই আগের মতো থাকে না, জীবনের এটাই একমাত্র ধারাবহিকতা? কিংবা হয়তো কোল পটার এইমাত্র আমাদের সআইকে কিছু একটা শেখালেন? কিন্তু আমি যখন নিজের কন্ডো-র পার্কিং লটে পৌঁছুলাম, গত ত্রিশি মিনিটের চিন্তা-ভাবনা আমার কাছে একটা জিনিস স্ফটিকের মতো পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে: সাল হিসেবে ১৯৯২ অবিশ্বাস্য একটা বছর, এটার মতো আরেকটা আমরা বোধহয় আর পাব না, এবং বিল ক্লিনটন নিশ্চয়ই খুব খুশি, যেমনটি খুশি আমি, অবশেষে সবশেষে শান্ত হয়ে এসেছে।
সংগৃহীত:-