- Sun Sep 25, 2022 5:28 pm#7457
একটু ভালো করে ভেবে দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের সকল শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মূলে রয়েছে দুশ্চিন্তা নামক ঘুণপোকার প্রত্যক্ষ আবদান। চিন্তা যখন দুশ্চিন্তা করা নিয়ে তখন এর জন্য সঠিক সমাধাণ বের করাটা সত্যি বেশ কষ্টকর। কারণ আমাদের কাছে এমন কোন জাদুকরী কিছু নেই যার ছোঁয়ার আমরা মুহূর্তেই সকল দুশ্চিন্তা মন থেকে গায়েব করে দিতে পারবো।
দুশ্চিন্তা (Anxiety) এমন একটি অনুভূতি যো মানুষ না করতে চাইলেও আপনা আপনি মাথায় চলে আসে। তাই বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে দুশ্চিন্তা থেকে আমারা কোনভাবেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবোনা। সমান্য কিছু কৌশল জানা থাকলেই দুশ্চিন্তা নামক এই ব্যাধি থেকে আমরা নিজেদের দূরে রাখতে পারি।
আসুন আপনার দুশ্চিন্তা করা নিয়ে চিন্তার সমাধানে কিছু পরামর্শ দেওয়া যাক
যখন দুশ্চিন্তা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে ফেলে একবার নিজে শান্ত য়ে বসে ভাবুন আপনার দুশ্চিন্তা মূলত কি নিয়ে। একবার যদি দুশ্চিন্তার জুতসই কোন কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হন তাহলে দেখবেন দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে আসবে।
খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে ভাবুন যে দুশ্চিন্তা করার পলে আপনি কি কোন সমাধানে আসতে পারছেন? নাকি আপনার দুশ্চিন্তা করার এই অভ্যাসের কারণে নিজে আরো বেশি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন? মনে রাখুন দুশ্চিন্তা করা কোন সমস্যার সমাধান নয়। এটা মেনে নিন দেখবেন দুশ্চিন্তা আপনাকে আগ্রাসন করতে পারবে না।
দুশ্চিন্তা করার আরেকটি অর্থ হলো নিজের সময় অপচয় করা। আপনি আপনার জীবনের সমগ্র সময় থেকে যে সময়গুলো শুধুমাত্র দুশ্চিন্তা করে কাটিয়েছেন সেই সময়গুলো কেবল অপচয় হয়েছে মাত্র। এই কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বান করতে শিখুন। আপনার এই বিশ্বাস আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষেরা নিজেদের একা রাখতে পছন্দ করে। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। আপনি যদি কোন ব্যাপারে দুশ্চিন্তার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিজের মধ্যে চেপে না রেখে আপনার বিশ্বস্ত মানুষের সাথে আলোচনা করুন। দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে।
যে ব্যাপারটা আপনাকে বার বার দুশ্চিন্তা করতে বাধ্য করবে সেটা আপাতত এড়িয়ে যেতে নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। এক কথায় আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন। মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে একটা সময় আপনার দুশ্চিন্তার কারণ তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে।
যেকোনো মানসিক অস্থিরতা (emotional instability) থেকে নিজেকে দূরে রাখতে মেডিটেশন (meditation)- এর তুলনা হয়না। যখনই আপনি নিজেকে দুশ্চিন্তার কবলে পড়তে দেখবেন আপনিনিজেকে মেডিটেশনের জন্য প্রস্তুত করতে থাকুন। প্রায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাই যে মেডিটেশন আপনাকে সকল চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করবে।
শারীরিক কসরত (physical exercise) করার মাধ্যমেও দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। আপনার মন দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে উঠলে সামান্য কিছু ব্যায়াম করুন। দেখবেন দুশ্চিন্তা হতাশা গ্লানি সবটা কেমন কমে আসছে।
পরিবারের মানুষগুলোর সাথে কিছু ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারেন। আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কিছু একান্ত সময় উপভোগ করতে পারেন অথবা পরিবারের ছোট সদস্যদের সাথে মেতে উঠতে পারেন হাঁসি আনন্দে। উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা কমাতে এগুলোর বিকল্প হয়না।
দুশ্চিন্তা কমাতে দুচোখ বন্ধ করে বুকভরে শ্বাস নিন আর শ্বাস ছাড়ুন। এতে আপনার শরীরে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যাবে; আপনার স্নায়ু শান্ত হয়ে আসবে এবং মস্তিষ্কে অস্কিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপনার মাংসপেশি শিথিল হয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থতা কমে যাবে।
সংগ্রহীত:-
দুশ্চিন্তা (Anxiety) এমন একটি অনুভূতি যো মানুষ না করতে চাইলেও আপনা আপনি মাথায় চলে আসে। তাই বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে দুশ্চিন্তা থেকে আমারা কোনভাবেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবোনা। সমান্য কিছু কৌশল জানা থাকলেই দুশ্চিন্তা নামক এই ব্যাধি থেকে আমরা নিজেদের দূরে রাখতে পারি।
আসুন আপনার দুশ্চিন্তা করা নিয়ে চিন্তার সমাধানে কিছু পরামর্শ দেওয়া যাক
যখন দুশ্চিন্তা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে ফেলে একবার নিজে শান্ত য়ে বসে ভাবুন আপনার দুশ্চিন্তা মূলত কি নিয়ে। একবার যদি দুশ্চিন্তার জুতসই কোন কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হন তাহলে দেখবেন দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে আসবে।
খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে ভাবুন যে দুশ্চিন্তা করার পলে আপনি কি কোন সমাধানে আসতে পারছেন? নাকি আপনার দুশ্চিন্তা করার এই অভ্যাসের কারণে নিজে আরো বেশি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন? মনে রাখুন দুশ্চিন্তা করা কোন সমস্যার সমাধান নয়। এটা মেনে নিন দেখবেন দুশ্চিন্তা আপনাকে আগ্রাসন করতে পারবে না।
দুশ্চিন্তা করার আরেকটি অর্থ হলো নিজের সময় অপচয় করা। আপনি আপনার জীবনের সমগ্র সময় থেকে যে সময়গুলো শুধুমাত্র দুশ্চিন্তা করে কাটিয়েছেন সেই সময়গুলো কেবল অপচয় হয়েছে মাত্র। এই কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বান করতে শিখুন। আপনার এই বিশ্বাস আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষেরা নিজেদের একা রাখতে পছন্দ করে। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। আপনি যদি কোন ব্যাপারে দুশ্চিন্তার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিজের মধ্যে চেপে না রেখে আপনার বিশ্বস্ত মানুষের সাথে আলোচনা করুন। দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে।
যে ব্যাপারটা আপনাকে বার বার দুশ্চিন্তা করতে বাধ্য করবে সেটা আপাতত এড়িয়ে যেতে নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। এক কথায় আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন। মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে একটা সময় আপনার দুশ্চিন্তার কারণ তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে।
যেকোনো মানসিক অস্থিরতা (emotional instability) থেকে নিজেকে দূরে রাখতে মেডিটেশন (meditation)- এর তুলনা হয়না। যখনই আপনি নিজেকে দুশ্চিন্তার কবলে পড়তে দেখবেন আপনিনিজেকে মেডিটেশনের জন্য প্রস্তুত করতে থাকুন। প্রায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাই যে মেডিটেশন আপনাকে সকল চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করবে।
শারীরিক কসরত (physical exercise) করার মাধ্যমেও দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। আপনার মন দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে উঠলে সামান্য কিছু ব্যায়াম করুন। দেখবেন দুশ্চিন্তা হতাশা গ্লানি সবটা কেমন কমে আসছে।
পরিবারের মানুষগুলোর সাথে কিছু ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারেন। আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কিছু একান্ত সময় উপভোগ করতে পারেন অথবা পরিবারের ছোট সদস্যদের সাথে মেতে উঠতে পারেন হাঁসি আনন্দে। উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা কমাতে এগুলোর বিকল্প হয়না।
দুশ্চিন্তা কমাতে দুচোখ বন্ধ করে বুকভরে শ্বাস নিন আর শ্বাস ছাড়ুন। এতে আপনার শরীরে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যাবে; আপনার স্নায়ু শান্ত হয়ে আসবে এবং মস্তিষ্কে অস্কিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপনার মাংসপেশি শিথিল হয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থতা কমে যাবে।
সংগ্রহীত:-