Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#7427
আপনার মন আপনার শক্তি আর সম্ভাবনার বিস্তৃত ক্ষেত্র। আপনি যদি আপনার মন থেকে বিশ্বাস করতে শেখেন আপনি যেকোনো কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি ঠিকই করতে পারবেন আর যদি মনে মনে বিশ্বাস করে ফেলেন আপনি দুর্বল আপনার পক্ষে কোন কিছুই করা সম্ভব না তাহলে কখনই কিছু অর্জন করতে পারবেন না।
ঠিক একইভাবে আপনার সামান্য কিছু ক্ষুদ্র চিন্তা আপনার বড় বড় স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনাকে জানতে হবে জীবনে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য সামনে রেখে কোন কোন ক্ষুদ্র চিন্তাগুলো আপনাকে বাদ দিয়ে চলতে হবে!
আমার কোন মেধা নেই
মনে রাখুন মেধা কেউ সাথে নিয়ে জন্মায় না বরং এটা নিজেকে তিলে তিলে অর্জন করতে হয়। আপনি নিজেকে নিয় বড় কোন স্বপ্ন দেখছেন কিন্তু স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের মেধা নেই এমনটা ভেবে বার বার নিজেকে স্বপ্নের খুব কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে আপনার এই ক্ষুদ্র চিন্তাই হলেক সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। সাফল্য অর্জন করতে চাইলে এই ক্ষুদ্র চিন্তা বর্জন করুন।

আমি এখনো প্রস্তুত নই
আপনার কি মনে আপনার জীবনের কোন স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে তৈরি করার দরকার আছে? যদি আপনার মনে স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছা কাজ করে তাহলে তা পূরণের জন্য আলাদা করে নিজেকে তৈরি করতে হয়না। বরং সেই স্বপ্ন পূরণের সাস্তায় চলতে গিয়েই দেখবেন আপনি নিজে থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছেন। আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য এখনো তৈরি নন এই চিন্তা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভোগাবে।

আমার থেকে অন্যরা বেশি যোগ্য
নিজেকে অন্যের সাথে মিলিয়ে দেখবেন না। যোগ্যতা কখনো পরিমাপ করা যায় না যতক্ষণ না আপনি নিজে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে না দেখাতে পারছেন। কোন কাজের জন্য নিজেকে অযোগ্য আর সামনের কাউকে যোগ্য হিসেবে ভাবা আপনার স্বপ্ন পূরণের পথের আরো একটি অন্যতম অন্তরায়। তাই নিজেকে অযোগ্য ভাববেন না।

আমার হাতে সময় কম
আপনার বড় স্বপ্ন পূরণের পথের আরো একটি বাধা হিসেবে আপনার যে ক্ষুদ্র চিন্তাটি আপনাকে ভোগাবে তা হলো সময়ের সল্পতা অনুভব করা। আপনি প্রথমেই যদি মেনে যে আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য আপনার হাতে সময় সীমিত তাহলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। আপনাকে সময়ের দিকে মনোযোগ স্থাপন না করে আপনার লক্ষ্যর দিকে দৃষ্টি স্থির করুন।

সংগৃহীত:-
#7429
Tips to Tame Your Temper

পৃথিবীতে রাগ হীন মানুষ খোঁজা আর ডাইনোসর খোঁজা সমান কথা। আমরা রেগে যাই মূলত অন্য কারও বলা খারাপ কথাতে, খোঁচা দেওয়া স্বভাবে অথবা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে। রাগ হলে কেউ ভীষণ চেঁচামেচি করি, বেউ জিনিস পত্র ভাংচুর করি, বেউ কান্নাকাটি করি, বেউ বা আবার একদম চুপচাপ হয়ে যাই।

রাগের বিপরীতে উপসর্গ যেটাই হোকনা কেন রাগ জিনিসটা কিন্তু একদম ভালো কোন গুন নয়। বরং রাগের দ্বারা অনেক সময় অনেক রকমের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আপনি বা আমি কেউই নিজেকে শতভাগ রাগ হীন মানুষ বলে দাবী করতে পারিনা। আবার রাগের উপর সব সময় নিয়ন্ত্রন রাখতেও পারিনা।

রাগ খারাপ না হলেও অতিরিক্ত রাগের অভ্যাস ভীষণ মারাত্মক। তাই রাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসুন আজ আপনাদের কিছু কার্যকরী পরামর্শ প্রদান করবো। যা দিয়ে হয়তো আপনার ফুঁসে ওঠা রাগের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

১. চুপচাপ থাকুন যতক্ষণ আপনার রাগ না কমে: আমাদের মধ্যে প্রায় ৯০% মানুষ রাগের সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। যার ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় রাগের মাথায় যা নয় তাই ধরণের কথা বাহর্তা বলে ফেলেন আর পরবর্তীতে আত্মগ্লানিতে ভুগে থাকেন। এই জন্য আপনি যখন অতিরিক্ত রাগের মধ্য দিয়ে যাবেন তখন নিজের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে চুপচাপ থাকুন

২. কিছু সময় একা থাকুন: রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে কিছুটা সময় নিজেকে একদম একা রাখুন। অনেক সময় দেখা যায় কমে আসা রাগ আবার নতুন করে বাড়িয়ে দিচ্ছে আপনার চারপাশের ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা বা আশেপাশের মানুষেরা। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে খানিকটা সময় একা থাকুন।

৩. নিজের সাথে কথা বলুন: রাগের বশবর্তী হয়ে অন্যকে যা-তা বলার চেয়ে নিজেকে একটু লোক সমাগম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসুন। এবার নিজের সাথে কথোপকথন শুরু করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন আবার নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিন। দেখবেন রাগ কমে আসতে শুরু করছে।

৪. গভীর শাবস নিন: নিজেকে সামলে নিতে একটু বিরতি নিন। গভীরভাবে কিছুক্ষণ শ্বাস নিন। আস্তে আস্তে নিজের শরীরের জেশীগুলো আলগা করে দিতে থাকুন। একটা সময় দেখবেন আপনি ঠিক শান্ত হয়ে করে দিতে থাকুন। একটা সময় দেখবেন আপনি ঠিক শান্ত হয়ে গেছেন।

৫. ঠাণ্ডা পানি খান: খুব বেশি রেগে গেলে তাত্ক্ষনিক ভাবে গ্লাস ভর্তি করে ঠাণ্ডা পানি খান। একটু সময় নিয়ে মন শান্ত করে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে বুক ভরে কয়েকবার শ্বাস নিন। দেখবেন মাথা ও মেজাজ ঠাণ্ডা হওয়ার সাথে সাথে আপনার মসও প্রশান্ত হয়ে যাচ্ছে।

৬. শুয়ে পড়ুন: খুব বেশি রাগ উঠে গেলে আশেপাশে শোয়ার ব্যবস্থা থাকলে শুয়ে পড়ুন। আর আপনি যদি এমন কোন স্থানে থাকেন যেখানে শুয়ে পড়া সম্ভব না, সেখানে বসে পড়ুন। দাঁড়ানো অবস্থা থেকে শুয়ে পড়লে রাগ অনেকটাই কমে যায়।

৭. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন: আপনার দেহের সাথে সাথে মাথা ঠাণ্ডা করতে ঠাণ্ডা পানির তুলনা হয়না। যখন আপনি খুব বেশি রেগে যান তখন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে করে রাগের বশে পড়ে কোন অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা একদম চলে যায়।

রাগেকে নিজের নিয়ন্ত্রণ না দিয়ে বরং নিজে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। এতে আপনার রাগের কদর কমবে না উল্টো বাড়বে।

সংগ্হীত:-

    কমিশনারের কার্যালয়ের অধীন কর অঞ্চল–১৮, ঢাকা[…]

    সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক জাতী[…]

    পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিঃ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালায[…]

    সংগীত বিভাগের ০২ (দুই) টি স্থায়ী প্রভাষক-এর শূন্য[…]