- Sat Jul 23, 2022 1:21 pm#7422
চাকরি পাওয়া বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। আর আপনি নিশ্চয় চাইবেন না, অনেক পরিশ্রম করে পাওয়া চাকরিটির প্রথম দিনেই আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মে যাক সবার মনে। প্রথম দিনেই যদি কারো মনে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মে যায় তবে পরবর্তীতে যতই চেষ্টা করুন না কেন সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে,
‘You Never Get A Second Chance To Make A First Impression’
তাই কর্মক্ষেত্রের প্রথম দিকের দিনগুলোতে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সদ্যই পাশ করে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য আরো অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বিধাতে ভোগেন।
সঠিক সময়ে অফিসে যান : চাকরির প্রথম দিনই যদি আপনি ১৫ মিনিট দেরি করে অফিসে পৌঁছান তবে এর পর থেকে সবার প্রথমে আসলেও আপনার সম্পর্কে কারে ধারণা বদলানো যাবে না । তাই সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখুন , যথা সময়ে অফিসে পেঁছান । যে দিন আপনাকে কাজে যোগদান করতে হবে তার আগেই অফিসে রাস্তা , যাওয়ার সময় কি পরিমাণ ট্রাফিক জ্যাম রাস্তায় থাকে , কোন ধরণের পরিবহনে আপনি অফিসে যাবেন তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে নিন । সম্ভব হলে কাজে যোগদান করার কয়েকদিন আগে থেকেই নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলের সামনে থেকে ঘুরে আসুন এবং সময়ের পরিমাপ করে ফেলুন ।
শালীন পোশাক পরুন : যদি কর্মক্ষেত্রের নির্ধারিত কোন পোশাক থাকে তবে তা পরুন আর যদি না থাকে তাহলে যতটুকু সম্ভব শালীন এবং দৃষ্টি নন্দন পোশাক পড়ে যান । কারণ কেউ আপনার সাথে কথা বলার আগেই তাকাবে আপনি কেমন পোশাক পরেছেন তার দিকে । যদি বুঝতে না পারেন কি ধরণের পোশাক পড়া উচিত সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিন ।
আত্মবিশ্বাসী হোন : অফিসের প্রথম দিন খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকে নার্ভাস হয়ে পড়েন । দেখা যায় আপনি খুব ভালো জানেন এমন অনেক কাজেও ভুল হয়ে যাচ্ছে । তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা খুব জরুরি । যে কাজটি আপনাকে দেয়া হয়েছে বা যেসব কথা আপনি বলছেন তা সাহসের সাথে বলুন । আপনার নতুন সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে ।
নোট রাখুন : প্রথম দিন আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো সহকর্মীদের সাথে । বাসায় এসেই সবার নাম ভূলে গেলেন । পরদিন এ নিয়ে আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে । তাই লিখে রাখতে পারেন সবার নাম গুলো । আপনাকে যেসব কাজ দেয়া হচ্ছে সেগুলোও নোট করে রাখতে পারেন । তাতে সবচেয়ে জটিল কাজগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে এবং কোন কাজ ভূলে যাওয়ার সম্ভাবন থাকবে না ।
প্রশ্ন করুন : আপনি নতুন , অবশ্যই এমন অনেক কাজ আপনাকে দেয়া হবে যার সম্বন্ধে আপনার স্বচ্ছ ধারণা নেই । তাই আপনার সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন যিনি আছেন তার কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন । করাণ একবার ভুল কাজ করার চেয়ে কয়েকবার জেনে নিয়ে সঠিক কাজটি করা উচিত । আপনাকে কি বলা হচ্ছে তা মন দিয়ে শুনুন । সিনিয়র বা জুনিয়র যে কথাই বলুক না কেন তা মন দিয়ে শুনুন এবং বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন । কারণ তাদের কথায় এমন অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকতে পারে যা আপনাকে পরবর্তীতে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে সাহায্য করবে । এতো কিছুতো হলো , কথা বলবেন কেমন করে ?
বাকপটু হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে
বাকপটু হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে প্রশ্নের উত্তর দেয়া । এমন কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ বলেই দেয়া সম্ভব । যেমন :
-আজকে খুব গরম তাই না ?
-তোমার কি মনে হয় আরেকটা খারাপ সময়ের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের ?
-তোমার কি মনে হয় লাল চামড়ার মানুষরা আকেটা খারাপ বছরের মুখোমুখি হতে চলেছে ?
সুন্দর কথোপকথনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশ্ন আসলে একটা বাধা । প্রশনগুলো ধরনই এমন যে উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেই তার কথা শেষ করতে পারেন । কাজেই সেই বিষয়ের আলোচনা আর এগোতে পারে না ।
কিন্তু আপনি যদি এমন প্রশ্ন করেন , যাতে উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে তার উত্তর শেষ করতে পারবেন না , তাহলে পুরো আলোচনাটা কিন্তু অন্য দিকে মোড় নেবে । কোনো প্রশ্ন না করে আপনি তার মতামত চান । বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলে গড়গড় অনেক কথা বেরিয়ে আসবে তখন , সেই সঙ্গে আলোচনাটাও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে না । নিজেরাই বুঝতে পারবেন না কখন একটা বিষয় থেকে তখন অন্য আরেকটা বিষয়ে চলে গেছেন । পার্থক্যটা দেখুন :
-’গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড গরমের কথা ভেবে হঠাৎ একটা বিষয়ে খুব ভাবতে শুরু করেছি আমি । আমার মনে হয় এই গরমের সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতার এর একটা সম্পর্ক আছে । এ ব্যাপারে তোমার কি ধারণা ?’
-’শেয়ার বাজারের মূল্য যেভাবে ওঠা-নামা করছে তাতে আমাদের অর্থনীতি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে । কি মনে হয় তোমার ? আরেকটা খারাপ বছর শুরু হতে যাচ্ছে ?’
-’ওয়াশিংটনে আসার পর থেকে আমি আসলে লাল চামড়ার মানুষদের ভক্ত হয়ে গেছি । তবে একটা কথা স্বীকার করতে হবে আমাকে । তাদের আসলে পুনর্গঠন দরকার এবং এক্ষেত্রে কাউবয়রা একটা হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে । লাল চামড়ার মানুষরা কি এই বছর নতুন কিছু করে দেখাবে ? কি মনে হয় তোমার ?’
এই ধরনের প্রশ্ন করলে আপনার সামনে বসা ভদ্রলোকটি কোনোভাবেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে তার উত্তর শেষ করতে পারবেন না । এই তিনটে প্রশ্নের বিষয়বস্তু আর আগের প্রশ্নগুলোর বিষয়বস্তু কিন্তু একই । তবে প্রথমবার প্রশ্নগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে সেগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে দেয়া সম্ভব । কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হলে বক্তাকে অনেক কথা বলতে হবে । কাজেই আলোচনা দীর্ঘ হবে ।
‘You Never Get A Second Chance To Make A First Impression’
তাই কর্মক্ষেত্রের প্রথম দিকের দিনগুলোতে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সদ্যই পাশ করে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য আরো অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বিধাতে ভোগেন।
সঠিক সময়ে অফিসে যান : চাকরির প্রথম দিনই যদি আপনি ১৫ মিনিট দেরি করে অফিসে পৌঁছান তবে এর পর থেকে সবার প্রথমে আসলেও আপনার সম্পর্কে কারে ধারণা বদলানো যাবে না । তাই সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখুন , যথা সময়ে অফিসে পেঁছান । যে দিন আপনাকে কাজে যোগদান করতে হবে তার আগেই অফিসে রাস্তা , যাওয়ার সময় কি পরিমাণ ট্রাফিক জ্যাম রাস্তায় থাকে , কোন ধরণের পরিবহনে আপনি অফিসে যাবেন তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে নিন । সম্ভব হলে কাজে যোগদান করার কয়েকদিন আগে থেকেই নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলের সামনে থেকে ঘুরে আসুন এবং সময়ের পরিমাপ করে ফেলুন ।
শালীন পোশাক পরুন : যদি কর্মক্ষেত্রের নির্ধারিত কোন পোশাক থাকে তবে তা পরুন আর যদি না থাকে তাহলে যতটুকু সম্ভব শালীন এবং দৃষ্টি নন্দন পোশাক পড়ে যান । কারণ কেউ আপনার সাথে কথা বলার আগেই তাকাবে আপনি কেমন পোশাক পরেছেন তার দিকে । যদি বুঝতে না পারেন কি ধরণের পোশাক পড়া উচিত সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিন ।
আত্মবিশ্বাসী হোন : অফিসের প্রথম দিন খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকে নার্ভাস হয়ে পড়েন । দেখা যায় আপনি খুব ভালো জানেন এমন অনেক কাজেও ভুল হয়ে যাচ্ছে । তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা খুব জরুরি । যে কাজটি আপনাকে দেয়া হয়েছে বা যেসব কথা আপনি বলছেন তা সাহসের সাথে বলুন । আপনার নতুন সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে ।
নোট রাখুন : প্রথম দিন আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো সহকর্মীদের সাথে । বাসায় এসেই সবার নাম ভূলে গেলেন । পরদিন এ নিয়ে আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে । তাই লিখে রাখতে পারেন সবার নাম গুলো । আপনাকে যেসব কাজ দেয়া হচ্ছে সেগুলোও নোট করে রাখতে পারেন । তাতে সবচেয়ে জটিল কাজগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে এবং কোন কাজ ভূলে যাওয়ার সম্ভাবন থাকবে না ।
প্রশ্ন করুন : আপনি নতুন , অবশ্যই এমন অনেক কাজ আপনাকে দেয়া হবে যার সম্বন্ধে আপনার স্বচ্ছ ধারণা নেই । তাই আপনার সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন যিনি আছেন তার কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন । করাণ একবার ভুল কাজ করার চেয়ে কয়েকবার জেনে নিয়ে সঠিক কাজটি করা উচিত । আপনাকে কি বলা হচ্ছে তা মন দিয়ে শুনুন । সিনিয়র বা জুনিয়র যে কথাই বলুক না কেন তা মন দিয়ে শুনুন এবং বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন । কারণ তাদের কথায় এমন অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকতে পারে যা আপনাকে পরবর্তীতে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে সাহায্য করবে । এতো কিছুতো হলো , কথা বলবেন কেমন করে ?
বাকপটু হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে
বাকপটু হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে প্রশ্নের উত্তর দেয়া । এমন কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ বলেই দেয়া সম্ভব । যেমন :
-আজকে খুব গরম তাই না ?
-তোমার কি মনে হয় আরেকটা খারাপ সময়ের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের ?
-তোমার কি মনে হয় লাল চামড়ার মানুষরা আকেটা খারাপ বছরের মুখোমুখি হতে চলেছে ?
সুন্দর কথোপকথনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশ্ন আসলে একটা বাধা । প্রশনগুলো ধরনই এমন যে উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেই তার কথা শেষ করতে পারেন । কাজেই সেই বিষয়ের আলোচনা আর এগোতে পারে না ।
কিন্তু আপনি যদি এমন প্রশ্ন করেন , যাতে উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে তার উত্তর শেষ করতে পারবেন না , তাহলে পুরো আলোচনাটা কিন্তু অন্য দিকে মোড় নেবে । কোনো প্রশ্ন না করে আপনি তার মতামত চান । বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলে গড়গড় অনেক কথা বেরিয়ে আসবে তখন , সেই সঙ্গে আলোচনাটাও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে না । নিজেরাই বুঝতে পারবেন না কখন একটা বিষয় থেকে তখন অন্য আরেকটা বিষয়ে চলে গেছেন । পার্থক্যটা দেখুন :
-’গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড গরমের কথা ভেবে হঠাৎ একটা বিষয়ে খুব ভাবতে শুরু করেছি আমি । আমার মনে হয় এই গরমের সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতার এর একটা সম্পর্ক আছে । এ ব্যাপারে তোমার কি ধারণা ?’
-’শেয়ার বাজারের মূল্য যেভাবে ওঠা-নামা করছে তাতে আমাদের অর্থনীতি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে । কি মনে হয় তোমার ? আরেকটা খারাপ বছর শুরু হতে যাচ্ছে ?’
-’ওয়াশিংটনে আসার পর থেকে আমি আসলে লাল চামড়ার মানুষদের ভক্ত হয়ে গেছি । তবে একটা কথা স্বীকার করতে হবে আমাকে । তাদের আসলে পুনর্গঠন দরকার এবং এক্ষেত্রে কাউবয়রা একটা হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে । লাল চামড়ার মানুষরা কি এই বছর নতুন কিছু করে দেখাবে ? কি মনে হয় তোমার ?’
এই ধরনের প্রশ্ন করলে আপনার সামনে বসা ভদ্রলোকটি কোনোভাবেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে তার উত্তর শেষ করতে পারবেন না । এই তিনটে প্রশ্নের বিষয়বস্তু আর আগের প্রশ্নগুলোর বিষয়বস্তু কিন্তু একই । তবে প্রথমবার প্রশ্নগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে সেগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে দেয়া সম্ভব । কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হলে বক্তাকে অনেক কথা বলতে হবে । কাজেই আলোচনা দীর্ঘ হবে ।