- Sat Jul 23, 2022 1:07 pm#7420
যেই হোক আপনার সঙ্গী-কথা বলার জন্য সাধারণ একটা বিষয় বেছে নিন । তবে একটা কথা মনে রাখবেন সব সময় । শুধু কথা বলে গেলেই হবে না ; সেই সঙ্গে যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে অন্যের কথাও ।
বললে বিশ্বাস করবেন না ককটেল পার্টিতে কথা বলা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ । কথা বলতে ভালো লাগে আমার । কাজেই যে কোনো পার্টিতে গিয়ে চুপ করে থাকতে পারি না আমি ।
হঠাৎ একদিন ককটেল পার্টিতে গিয়ে হাজির হয়েছি । খেয়াল করে দেখলাম বেশ বড়সড় একটা ঘরে কয়েকজন অতিথি জড়ো হয়েছেন । তাদের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার মদ খাওয়াার অভ্যাস নেই । কাজেই কোনো গ্লাস নেই হাতে । একটা ককটেল পার্টিতে কারো হাতে মদের গ্লাস না থাকা অস্বাভাবিক । বুকের ওপর হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে আছি আমি । নিজেকে আমি মেলে ধরতে পারছি না ।
যাই হোক , ভিড়ের দিকে না এগিয়ে আমি এবার একা কোনো মানুষকে খুঁজতে শুরু করলাম । মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম মানুষটা শুধু একা হলেই চলবে না , সেই সঙ্গে আশেপাশে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে অবশ্যই কৌতূহলী হতে হবে তাকে । নইলে তার সঙ্গে কথা বলে মজা পাব না আমি ।
আরেকটা কৌশল হচ্ছে ককটেল পার্টিতে গিয়ে কখনো এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না । নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হলে সবার সঙ্গে মিশে যেতে হবে আপনাকে । একটা ককটেল পার্টিতে প্রতিবেশী , সহকর্মী – এই ধরনের অতিথিই বেশি থাকেন । তারা আপনার সঙ্গে কাজ ন করলেও কাজের ক্ষেত্র কিন্তু সেই একই । কথা বলার ইচ্ছে থাকলে যে কোনো একটা দলের দিকে এগিয়ে যান । তারপর যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে শুরু করুন আলোচনা ।
সুন্দর কথোপকথনের জন্য সবার আগে প্রশ্ন হবে আপনাকে : আমি নিজেও সবকিছুর ব্যাপারে কৌতূহলী । একটা ককটেল পার্টিতে গিয়ে যে কারো সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিই আমি । তারপর সুযোগ পেলেই তাকে প্রশ্ন করি । আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রশ্ন হচ্ছে – ’কেন?’ হয়ত কোনো এক ভদ্রলোক আমাকে বললেন তিনি এবং তার পরিবার অন্য এক শহরে চলে যাচ্ছেন । সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রশ্ন করি : ‘কেন?’ কিংবা দেখা গেল কোনো ভদ্রমহিলা তার চাকরি বদলাচ্ছেন । কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রশ্ন করি ‘কেন?’
টিভি শো’তেও এই কাজ করি আমি । আমার মনে হয় অন্য কোনো টিভি শো’তে আর কেউ এত প্রশ্ন করেন না । আলোচনা দীর্ঘ করার জন্য এর চেয়ে ভালো প্রশ্ন আর হতে পারে না । কাজেই আলোচনা করতে হলে সব সময় সবাইকে প্রশ্ন করতে থাকুন । আলোচনা দীর্ঘ আর প্রাণবন্ত করতে চাইলে এর চেয়ে ভালো আর কোনো পদ্ধতি নেই ।
সব সময় আলোচনা করতে হবে এমন কোনো কথা নেই । হয়ত কোনো কারণে আপনার মন ভালো নেই । কাজেই কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগছে না আপনার । কিংবা এমনও হতে পারে যে কারো সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আলোচনা করছেন আপনি । হঠাৎ আপনার মনে হলো এবার আলোচনা বন্ধ করা উচিত । এ সব ক্ষেত্রে খুব সহজ আর ভদ্রোচিত একটা উপায় আছে । ভদ্রভাবে বলুন : ‘এক্সকিউজ মি , আমি একটু রেস্টরুমে যাব ।’ কথাটা যদি আপনি যথেষ্ট জোর দিয়ে বলে থাকেন , তাহলে আপনার সামনে থাকা ভদ্রলোকটি কোনো বাধা দেবেন না বা কিছু মনে করবেন না । বিশ্রাম নেয়ার পর ইচ্ছে হলে আবার আলোচনা শুরু করতে পারেন আপনি ।
আলোচনা থেকে বের হওয়ার আরেকটা সহজ উপায় আছে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ একঘেয়েবোধ করছেন আপনি। কিন্তু কী বলে আলোচনা থামাবেন কিংবা কীভাবে তার সঙ্গ ত্যাগ করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। কথা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে চট করে একবার আশপাশে চোখ বুলিয়ে নিন। একটা ককটেল পার্টিতে লোকজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। কাছাকাছি পরিচিত কাউকে দেখতে পেলে বলুন, ‘আরে স্টেসি! তুমি কি বিলকে দেখেছ?’ স্টেসি যখন মাথা নাড়বে তখন বলুন, ‘আমি এক মিনিটের মধ্যেই ফিরে আসছি। ততক্ষণ তোমরা কথা বলতে থাক।’
একটা ককটেল পার্টি সব সময় আলোচনায় মুখরিত থাকে। কাজেই আপনি যদি এক মিনিটের মধ্যে ফিরে না আসেন, তাহলে কেউ কিছু মনে করবে না। হয়ত আপনার কথা ভুলেই যাবেন তারা। তবে এতক্ষণ আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন, তার কথাবার্তা যদি একঘেয়ে হয়, তাহলে স্টেসি কিন্তু কখনো ক্ষমা করবেন না আপনাকে। এ ক্ষেত্রে নিচের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন।
• এই খাবারটা দারুণ লাগছে আমার। আরেকটু নিতে হবে।
• আমাকে যে একটু ছাড়তে হয়। হোস্টের সঙ্গে এখনো কথা বলা হয়নি আমার।
• আমার মনে হয় এক জায়গায় অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। বাকি সবার সঙ্গেও একটু দেখা করা উচিত।
তবে আলোচনা থেকে সরে আসার জন্য খুব বেশি কথা বলার দরকার নেই। যার সঙ্গে কথা বলছেন, তার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আশপাশে তাকাবেন না। এমনকি খুব গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করারও দরকার নেই। খুব ভদ্রভাবে কিছু একটা বলুন। তার পর সেখান থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলে যান। ‘আপনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগল আমার।’ – শুধু এই কথা বলেও তার কাছ থেকে বিদায় নিতে পারেন।
সংগৃহীত:-
বললে বিশ্বাস করবেন না ককটেল পার্টিতে কথা বলা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ । কথা বলতে ভালো লাগে আমার । কাজেই যে কোনো পার্টিতে গিয়ে চুপ করে থাকতে পারি না আমি ।
হঠাৎ একদিন ককটেল পার্টিতে গিয়ে হাজির হয়েছি । খেয়াল করে দেখলাম বেশ বড়সড় একটা ঘরে কয়েকজন অতিথি জড়ো হয়েছেন । তাদের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার মদ খাওয়াার অভ্যাস নেই । কাজেই কোনো গ্লাস নেই হাতে । একটা ককটেল পার্টিতে কারো হাতে মদের গ্লাস না থাকা অস্বাভাবিক । বুকের ওপর হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে আছি আমি । নিজেকে আমি মেলে ধরতে পারছি না ।
যাই হোক , ভিড়ের দিকে না এগিয়ে আমি এবার একা কোনো মানুষকে খুঁজতে শুরু করলাম । মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম মানুষটা শুধু একা হলেই চলবে না , সেই সঙ্গে আশেপাশে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে অবশ্যই কৌতূহলী হতে হবে তাকে । নইলে তার সঙ্গে কথা বলে মজা পাব না আমি ।
আরেকটা কৌশল হচ্ছে ককটেল পার্টিতে গিয়ে কখনো এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না । নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হলে সবার সঙ্গে মিশে যেতে হবে আপনাকে । একটা ককটেল পার্টিতে প্রতিবেশী , সহকর্মী – এই ধরনের অতিথিই বেশি থাকেন । তারা আপনার সঙ্গে কাজ ন করলেও কাজের ক্ষেত্র কিন্তু সেই একই । কথা বলার ইচ্ছে থাকলে যে কোনো একটা দলের দিকে এগিয়ে যান । তারপর যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে শুরু করুন আলোচনা ।
সুন্দর কথোপকথনের জন্য সবার আগে প্রশ্ন হবে আপনাকে : আমি নিজেও সবকিছুর ব্যাপারে কৌতূহলী । একটা ককটেল পার্টিতে গিয়ে যে কারো সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিই আমি । তারপর সুযোগ পেলেই তাকে প্রশ্ন করি । আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রশ্ন হচ্ছে – ’কেন?’ হয়ত কোনো এক ভদ্রলোক আমাকে বললেন তিনি এবং তার পরিবার অন্য এক শহরে চলে যাচ্ছেন । সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রশ্ন করি : ‘কেন?’ কিংবা দেখা গেল কোনো ভদ্রমহিলা তার চাকরি বদলাচ্ছেন । কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রশ্ন করি ‘কেন?’
টিভি শো’তেও এই কাজ করি আমি । আমার মনে হয় অন্য কোনো টিভি শো’তে আর কেউ এত প্রশ্ন করেন না । আলোচনা দীর্ঘ করার জন্য এর চেয়ে ভালো প্রশ্ন আর হতে পারে না । কাজেই আলোচনা করতে হলে সব সময় সবাইকে প্রশ্ন করতে থাকুন । আলোচনা দীর্ঘ আর প্রাণবন্ত করতে চাইলে এর চেয়ে ভালো আর কোনো পদ্ধতি নেই ।
সব সময় আলোচনা করতে হবে এমন কোনো কথা নেই । হয়ত কোনো কারণে আপনার মন ভালো নেই । কাজেই কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগছে না আপনার । কিংবা এমনও হতে পারে যে কারো সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আলোচনা করছেন আপনি । হঠাৎ আপনার মনে হলো এবার আলোচনা বন্ধ করা উচিত । এ সব ক্ষেত্রে খুব সহজ আর ভদ্রোচিত একটা উপায় আছে । ভদ্রভাবে বলুন : ‘এক্সকিউজ মি , আমি একটু রেস্টরুমে যাব ।’ কথাটা যদি আপনি যথেষ্ট জোর দিয়ে বলে থাকেন , তাহলে আপনার সামনে থাকা ভদ্রলোকটি কোনো বাধা দেবেন না বা কিছু মনে করবেন না । বিশ্রাম নেয়ার পর ইচ্ছে হলে আবার আলোচনা শুরু করতে পারেন আপনি ।
আলোচনা থেকে বের হওয়ার আরেকটা সহজ উপায় আছে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ একঘেয়েবোধ করছেন আপনি। কিন্তু কী বলে আলোচনা থামাবেন কিংবা কীভাবে তার সঙ্গ ত্যাগ করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। কথা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে চট করে একবার আশপাশে চোখ বুলিয়ে নিন। একটা ককটেল পার্টিতে লোকজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। কাছাকাছি পরিচিত কাউকে দেখতে পেলে বলুন, ‘আরে স্টেসি! তুমি কি বিলকে দেখেছ?’ স্টেসি যখন মাথা নাড়বে তখন বলুন, ‘আমি এক মিনিটের মধ্যেই ফিরে আসছি। ততক্ষণ তোমরা কথা বলতে থাক।’
একটা ককটেল পার্টি সব সময় আলোচনায় মুখরিত থাকে। কাজেই আপনি যদি এক মিনিটের মধ্যে ফিরে না আসেন, তাহলে কেউ কিছু মনে করবে না। হয়ত আপনার কথা ভুলেই যাবেন তারা। তবে এতক্ষণ আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন, তার কথাবার্তা যদি একঘেয়ে হয়, তাহলে স্টেসি কিন্তু কখনো ক্ষমা করবেন না আপনাকে। এ ক্ষেত্রে নিচের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন।
• এই খাবারটা দারুণ লাগছে আমার। আরেকটু নিতে হবে।
• আমাকে যে একটু ছাড়তে হয়। হোস্টের সঙ্গে এখনো কথা বলা হয়নি আমার।
• আমার মনে হয় এক জায়গায় অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। বাকি সবার সঙ্গেও একটু দেখা করা উচিত।
তবে আলোচনা থেকে সরে আসার জন্য খুব বেশি কথা বলার দরকার নেই। যার সঙ্গে কথা বলছেন, তার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আশপাশে তাকাবেন না। এমনকি খুব গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করারও দরকার নেই। খুব ভদ্রভাবে কিছু একটা বলুন। তার পর সেখান থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলে যান। ‘আপনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগল আমার।’ – শুধু এই কথা বলেও তার কাছ থেকে বিদায় নিতে পারেন।
সংগৃহীত:-