Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#7407
প্রার্থীর ব্যক্তিগত বিশেষ গুণাবলি

নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষ সাধারণত প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াও কিছু বিশেষ গুণাবলির দিকে দৃষ্টি আরোপ করেন। বিশেষত সুপিরিয়র সার্ভিস, বেসরকারী ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক, নির্বাহী অথবা দায়িত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এগুলোকে খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়।

এসব গুণাবলির মধ্যে রয়েছেঃ দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্যোগ, ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, চেহারা, পরিপক্কতা, আত্মবিশ্বাস, দায়িত্বশীলতা, ব্যবস্থাপনা কৌশল, মানসিক দৃঢ়তা, সৃজনশীলতা, চিন্তাশক্তি, সহকর্মী, ব্যবস্থাপনা ও অধীনস্থদের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সামর্থ্য ইত্যাদি।

নিজেকে চিনুন

ভাবতে পারেন, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে দেখছি নিজেকে, আমাকে আমি ছাড়া আর কে ভালো করে চেনে? কথাটা সত্য। তবে একটা ’কিন্তু’ আছে। নিজেকে আপনি চেনন আপনার মত করে, কিন্তু অন্যের চোখে আপনি কেমন, সেটাও ভাবতে হবে। কেবল চাকরিটাকে ভালোবাসলে চলবে না, চাকরিদাতার চোখেও আপনাকে ভালো হতে হবে।

সাধারণত নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষ দুটি দিক বিবেচনা করে নিয়োগ দেন। প্রথমটি হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব। শিক্ষাগত যোগ্যতা বুঝতে পারা যায় সহজেই – আবেদনপত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সনদপত্রের কপি থেকে তা বোঝা যায়। কিন্তু ব্যক্তিত্ব?

এক্ষেত্রে একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে- প্রথমবার চাকরিপ্রার্থীকে দেখার পর কর্তৃপক্ষের মনে যে ধারণা জন্মায় সাধারণত সেটি আর বদলায় না। অর্থাৎ প্রথম দেখাতেই যদি গোল বাধে, সেটি বদলানো কষ্টসাধ্য। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সমালোচকের দৃষ্টিতে যাচাই করুন নিজেকে। দেখে নিন আপাতদৃষ্টিতে আপনার কোন ত্রুটি চোখে পড়ে কিনা। পড়লে সংশোধন করে নিন।

সাক্ষাৎকার পর্বে অনেক ক্ষেত্রেই একজনের দায়িত্ব থাকে কেবলমাত্র প্রার্থীকে পর্যবেক্ষণ করার। অর্থাৎ প্রার্থী কোন প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দিচ্ছেন, ভয় পাচ্ছেন কিনা, ব্যবহারে উগ্রতা প্রকাশ পায় কিনা আর বিশেষত কোনভাবে ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন কিনা সেটিই তারা দেখেন। সবকিছু দেখে, শুনে, বুঝে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, কেবলমাত্র নিজের প্রতি সৎ থাকুন। কোন প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে স্বীকার করে নেওয়া উত্তম। কিন্তু অনুমানে কিছু বলবেন না; চালাকি করতে যাবেন না। কারণ এমন হাজারটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। প্রতিষ্ঠানে আপনার মত অনেক কর্মীকে তারা পরিচালনা করেন। এতএব চালাকি ধরা পড়ে যাবে আর আপনি হারাবেন চাকরির সুবর্ণ সুযোগ।

কোন বিষয় জানা না থাকলে সোজা বলে দিন জানা নেই; এতে অন্তত আপনার সততা প্রমাণিত হবে। তবে সত্যি ব্যাপারটি হলো, একজন লোক যে কাজ মোটামুটি জানে তাকে কাজ শিখিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু একজন ‘অতি চালাক’ লোককে চাকরি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। আপনি নিজেও কি অমন লোককে চাকরি দেবেন?

নথি ও প্রমাণপত্র

সাধারণত চাকরির আবেদনপত্রের সঙ্গে অনেক সনদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বলে দেয়- কোন কাগজের পর কোন কাগজ সংযোজন করতে হয়। সেভাবেই ক্রমানুসারে কাগজপত্র সাজাবেন। আর যদি বলে দেওয়া না থাকে, তবে প্রথমে আবেদনপত্র, তারপর জীবনবৃত্তান্ত এবং তারপর সনদপত্রগুলো সাজান।

সনদপত্রের কপি সংযোজন করার সময় মনে রাখবেন, আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রির সনদপত্র প্রথমে, তারপর এর আগেরটি- এভবে সাজালেই ভাল। জীবন বৃ্ত্তান্ত সংক্ষেপে কিন্তু পরিষ্কারভাবে লিখুন।

আরো কিছু টিপস
  • চাকরির প্রয়েঅজন তীব্রভঅবে অনুভব করার আগেই চাকরি খোজা শুরু করুন।
  • বিভিন্ন পথে সর্বোচ্চ অনুসন্ধান করুন।
  • নিজের মতো করে বাস্তব লক্ষ্য স্থির করুন।
  • আপনার নিজের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করুন।
  • অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বাড়ান।
  • প্রয়োজনে কৌশল পুনঃনির্ধারণ করুন।
  • প্রতিটি সম্ভাবনাময় সুযোগ ফলোআপ করুন।
  • অন্যদের সহযোগীতা নিন এবং অন্যকেও সহযোগীতা করুন।
  • প্রতিটি পদ পাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করুন।
অবহেলা করবেন না কোনকিছুই

আপনার কাঙ্খিত পথে এগিয়ে যেতে চাইলে কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়- এমন বিষয়গুলোকেও অবহেলা করবেন না। যদি আন্তজার্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ভাষার দক্ষতা বাড়াতে হবে।

যদি এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে মতবিনিময় করতে হয়, তাহলে কথোপকথন এবং ছোট বা বড় গ্রুপের মাঝে বক্তৃতা দেওয়া রপ্ত করতে হবে। ক্যারিয়ারের ব্যাপারে কোন উপদেশই অবহেলা করবেন না। সবকিছু মাথায় রাখুন, কোনটা কখন কাজে লেগে যাবে – কে বলতে পারে?

অবসরটুকু কাজে লাগান
  • আধুনিক যুগ কম্পিউটার নির্ভর। তাই কিম্পউটার অপারেটিং – এ প্রশিক্ষণ নিন। পাশাপাশি ড্রাইভিং, টুকটাক মেশিন অপারেটিং, ইলেকট্রনিক্স পার্টস, মেকানিক্স, বুককিপিং ইত্যাদি শিখতে পারেন।
  • হাতে কাজ নেই তাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বন্ধুদের সঙ্গে যোগযোগ চালিয়ে যান। সম্পর্ক গভীর হবে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুযোগ বাড়াবে।
অতিরিক্ত যা যা করবেন

আপনার আশেপাশের পাঠাগারে যান। বিজনেস ও ট্রেড ম্যাগাজিনগুলো নেড়েচেড়ে দেখুন। অনেক জানা-অজানা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, পরিচিতি পেয়ে যাবেন।

এমনও হতে পারে আপনার আবাসস্থলে থেকে অল্প কিছু দূরেই কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আছে। ম্যাগাজিনের নিবন্ধগলো আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, কর্মপরিধি, কর্পোরেট কালচার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করাবে।

কোম্পানির ব্যবসায়িক কৌশল, মার্কেট শেয়ার, অর্থনৈতিক অবস্থা জেনে নিয়ে চাকরি খোজটা আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের জন্যই প্রয়োজন।

যাত্রা হোক শুরু

ক্যারিয়অর পরিকল্পনা তৈরি করে নিস্ক্রিয় থাকবেন না। আজ নয় কাল শুরু করবো ভেবে উদ্যোগ নিতে দেরি করবেন না। প্রতিটি হাজার মাইলের ভ্রমণ কিন্তু একটি পদক্ষেপ দিয়েই শুরু হয়।

সংগৃহিতঃ-
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    542 Views
    by rafique
    0 Replies 
    438 Views
    by sajib
    0 Replies 
    866 Views
    by rajib
    0 Replies 
    274 Views
    by kajol
    0 Replies 
    205 Views
    by tasnima

    Thanks for the information.

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]

    Creating a website easily on WordPress is a popula[…]

    Creating a website on BigCommerce offers a seamles[…]